বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের কথা গ্রামবাসীকে জানান তিনি। পরে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে করে ফেললেন তাঁর স্বপ্নপূরণ।
এমন ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের শ্মশান ঘাটে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকঢোল বাজিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষকে নেমন্তন্ন করে উৎসবমুখর পরিবেশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের বিয়ে দিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দুধর্মের রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিক কার্য সম্পাদন করেছেন ওই গ্রামের ঠাকুর জগদীশ চক্রবর্তী। বিয়েতে অতিথির তালিকায় ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ।
দুই বৃক্ষের বিয়েতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি গ্রামের মানুষজন। কনে পাকুড়গাছের নামকরণ করা হয় স্বর্ণলতা, আর বর বটগাছের নামকরণ করা হয় গৌরব।
রীতি অনুসারে, কনের বাবা ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সিংহ করেন সব আয়োজন এবং বরের বাবার হাতে কন্যাদান করেন। অন্যদিকে বরের বাবা জীতেন চন্দ্র সিংহ গ্রহণ করে নেন পুত্রবধূকে। এ ছাড়া কন্যার সাত ভাই এবং বরের দুই ভাই এক বোন বিবাহ অনুষ্ঠানে রীতির সব নিয়ম পূরণ করেন।
আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, চার গ্রামের মাঝে মাঠের ভেতর শ্মশান ঘাটের একপাশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের নিচে অপেক্ষা করছেন কনে পক্ষের ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ। কিছু সময় পর বর পক্ষের ৪০০-৫০০ নারী-পুরুষ আসেন ঢাকঢোল বাজাতে বাজাতে। এরপরে দুই পক্ষের আনা কাপড়চোপড়, চুড়ি, গয়না ও মালা দিয়ে সাজানো বর-কনেকে (দুই গাছকে)। ডাকা হয় ঠাকুরকে। মন্ত্র পড়ে মালাবদল ও সিঁদুরদান করে বিয়ে সম্পন্ন হয় দুই গাছের।
গাছের বিয়ে দেখতে পাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে আসা রবিন চন্দ্র বলেন, ‘গাছের বিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। এখানে শ্বশুরবাড়ি, তাই খবর পেয়েই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছুটে এসেছি।’
পীরগঞ্জ উপজেলার কাহারোল থেকে এসেছেন হিমালয় চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। খবর পেয়ে বিয়ের গাছের বিয়ে দেখা এবং ভিডিও ধারণ দুটোই একসঙ্গে হলো।’
বরের বোন জবা রানী বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম গাছের বিয়ের। এবার সরাসরি দেখার সুযোগ হলো। সেই সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে বরের বোন হিসেবে। বৌদির জন্য সব কেনাকাটা করেছি নিজেই।’
দুই গাছের বিয়েতে ঘটকালি করেছেন ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কৃষক অলিন চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বরের বাবার প্রস্তাব কনের বাবাকে দিই। এরপরে দুজনে রাজি হওয়ার পর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জীবনে অন্য কোনো বিয়ের ঘটকালি করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই বিয়ের অভিজ্ঞতায় বেশ আনন্দিত।’
বর বটগাছের বাবা জীতেন চন্দ্র বলেন, ‘স্বপ্নের কথা গ্রামের লোকজনকে জানালে সবাই রাজি হয়ে যায়। দ্রুত দিনক্ষণ ঠিক করে আজ ছেলের বিয়ে দিলাম। বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের অনেকেই উপোস রয়েছে।’
পাকুড়গাছ স্বর্ণলতা রানীর বাবা কার্তিক চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘আমি মেয়ের বাবা হিসেবে কন্যাদান করেছি। এই বিয়ে এবং গাছ দুটি আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে, সমাজের অশান্তি দূর করবে।’
ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জি নূপুর বলেন, ‘বিয়ে উপলক্ষে দাওয়াত পালন করতে এসেছি। এর আগেও পাশের ইউনিয়নে একই রকম দুটি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো দেখার সুযোগ হয়নি। বিয়েতে আপ্যায়ন ব্যতীত সবকিছুই অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের মতোই হয়েছে।’
শ্মশান ঘাটে চার বছর আগে একটি বটগাছ এবং দুই বছর আগে একটি পাকুড়গাছ লাগিয়েছিলেন স্থানীয় স্কুলশিক্ষক জীতেন চন্দ্র সিংহ। উদ্দেশ্যে ছিল শ্মশানে বটবৃক্ষ ছায়া দেবে এবং পাকুড়গাছের পাতা কাজে লাগবে মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধের সময়। তবে কয়েক দিন আগে তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান—বিয়ে দিতে হবে সেই গাছ দুটোর। এরপর স্বপ্নের কথা গ্রামবাসীকে জানান তিনি। পরে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে করে ফেললেন তাঁর স্বপ্নপূরণ।
এমন ঘটনা ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের শ্মশান ঘাটে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকঢোল বাজিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষকে নেমন্তন্ন করে উৎসবমুখর পরিবেশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের বিয়ে দিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দুধর্মের রীতি অনুযায়ী বিয়ের আনুষ্ঠানিক কার্য সম্পাদন করেছেন ওই গ্রামের ঠাকুর জগদীশ চক্রবর্তী। বিয়েতে অতিথির তালিকায় ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ।
দুই বৃক্ষের বিয়েতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেনি গ্রামের মানুষজন। কনে পাকুড়গাছের নামকরণ করা হয় স্বর্ণলতা, আর বর বটগাছের নামকরণ করা হয় গৌরব।
রীতি অনুসারে, কনের বাবা ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র সিংহ করেন সব আয়োজন এবং বরের বাবার হাতে কন্যাদান করেন। অন্যদিকে বরের বাবা জীতেন চন্দ্র সিংহ গ্রহণ করে নেন পুত্রবধূকে। এ ছাড়া কন্যার সাত ভাই এবং বরের দুই ভাই এক বোন বিবাহ অনুষ্ঠানে রীতির সব নিয়ম পূরণ করেন।
আজ বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, চার গ্রামের মাঝে মাঠের ভেতর শ্মশান ঘাটের একপাশে বটগাছ আর পাকুড়গাছের নিচে অপেক্ষা করছেন কনে পক্ষের ৩০-৪০ জন নারী-পুরুষ। কিছু সময় পর বর পক্ষের ৪০০-৫০০ নারী-পুরুষ আসেন ঢাকঢোল বাজাতে বাজাতে। এরপরে দুই পক্ষের আনা কাপড়চোপড়, চুড়ি, গয়না ও মালা দিয়ে সাজানো বর-কনেকে (দুই গাছকে)। ডাকা হয় ঠাকুরকে। মন্ত্র পড়ে মালাবদল ও সিঁদুরদান করে বিয়ে সম্পন্ন হয় দুই গাছের।
গাছের বিয়ে দেখতে পাশের কয়েকটি উপজেলা থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে আসা রবিন চন্দ্র বলেন, ‘গাছের বিয়ে দেখার সুযোগ হয়নি। এখানে শ্বশুরবাড়ি, তাই খবর পেয়েই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ছুটে এসেছি।’
পীরগঞ্জ উপজেলার কাহারোল থেকে এসেছেন হিমালয় চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। খবর পেয়ে বিয়ের গাছের বিয়ে দেখা এবং ভিডিও ধারণ দুটোই একসঙ্গে হলো।’
বরের বোন জবা রানী বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম গাছের বিয়ের। এবার সরাসরি দেখার সুযোগ হলো। সেই সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে বরের বোন হিসেবে। বৌদির জন্য সব কেনাকাটা করেছি নিজেই।’
দুই গাছের বিয়েতে ঘটকালি করেছেন ঝুকুরঝাড়ী গ্রামের কৃষক অলিন চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বরের বাবার প্রস্তাব কনের বাবাকে দিই। এরপরে দুজনে রাজি হওয়ার পর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জীবনে অন্য কোনো বিয়ের ঘটকালি করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই বিয়ের অভিজ্ঞতায় বেশ আনন্দিত।’
বর বটগাছের বাবা জীতেন চন্দ্র বলেন, ‘স্বপ্নের কথা গ্রামের লোকজনকে জানালে সবাই রাজি হয়ে যায়। দ্রুত দিনক্ষণ ঠিক করে আজ ছেলের বিয়ে দিলাম। বিয়ে উপলক্ষে গ্রামের অনেকেই উপোস রয়েছে।’
পাকুড়গাছ স্বর্ণলতা রানীর বাবা কার্তিক চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘আমি মেয়ের বাবা হিসেবে কন্যাদান করেছি। এই বিয়ে এবং গাছ দুটি আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে, সমাজের অশান্তি দূর করবে।’
ধনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সমর চ্যাটার্জি নূপুর বলেন, ‘বিয়ে উপলক্ষে দাওয়াত পালন করতে এসেছি। এর আগেও পাশের ইউনিয়নে একই রকম দুটি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলো দেখার সুযোগ হয়নি। বিয়েতে আপ্যায়ন ব্যতীত সবকিছুই অন্যান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের মতোই হয়েছে।’
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
২৬ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
২৬ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
২৭ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে