দিনাজপুর প্রতিনিধি
‘ধানের যে দাম চলেছে এই দাম হিসাবে তো পোষায় না। গোটা ধানের মৌসুমটাত কোন পানি (বৃষ্টি) নাই, আর কাটিবার সময় ধানতো শুতি (হেলে পড়েছে) গেল। এক বিঘা জমির ধান কাটিতে আট-নয় হাজার টাকা লাগিছে। ধানের দাম চলেছে ৮০০ সাড়ে ৮০০ টাকা মণ। তো গেরস্থক (জমির মালিক) দিমো কি আর হামার থাকিবে কি? জমি যদি নিজের হয় তাইলে কিছুটা পোষায় কিন্তু হামরা (আমরা) তো ওইন্যের জমিত আবাদ করি কেংকরি পোষাইবেন। এইবার খালি খরচ আর খরচ।’ দিনাজপুর শহরের গোপালগঞ্জ ধান হাটে আলাপচারিতায় কথাগুলো বলছিলেন, কৃষক আবুল হোসেন। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার উ. ভবানীপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
আজ সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ ধানের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ব্রি-২৮ জাতের ধান (শুকনা) বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা (দুই মণ) ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা, ব্রি-২৯ ধান প্রতি বস্তা ২০০০-২১৫০ টাকা, জিরা-৯০ ধান প্রতি বস্তা ২ হাজার ৪০০-২ হাজার ৫০০ টাকা, বগুড়া সম্পা ২ হাজার ৩০০-২ হাজার ৪৫০ টাকা, ব্রি-৫১ ধান ২ হাজার ৪৫০-২ হাজার ৫০০ টাকা দরে। তবে এসব জাতের ধান কাঁচায় বস্তা প্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৮ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৫ মেট্রিকটন। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে।
বিরলের রাজারামপুর থেকে বাজারে ধান বিক্রি করতে আসছেন খবিরউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কৃষক লাভ দেখা পায় না। এইবার অতিরিক্ত খরায় সেচ খরচ বেশি পরেছে প্রায় ১ হাজার টাকা। পরে শেষ দিকে ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ হেলে পড়ায় কাটা-মাড়াই খরচ বাড়ল দেড় হাজার টাকা। দুই পাশে প্রায় আড়াই হাজার টাকা ধরা। গতবারের চেয়ে এবার প্রতি প্রকার ধানে বস্তা প্রতি ২০০-২৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বর্গাচাষি এবার তাদের লোকসান হিসাব করা যাবে না। যে জমি ১০-১২ হাজার টাকায় বর্গা পাওয়া গেছিল সেই জমি এখন ১৮-২২ হাজার টাকায় চুক্তি নিতে হচ্ছে।’
একই উপজেলার পুরিয়া গ্রামের আদর্শ চাষি মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে ব্রি-২৯ ধান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায় আর ব্রি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। ধান কাটার সময় থেকে বৃষ্টির কারণে কৃষক ধান শুকানো যাচ্ছে না। এমনিতেও এবার ধানের চাহিদা কম। ফলে ধানের বাজার এবার পড়তির দিকে। কৃষকও কম দামে ধান বেচতে বাধ্য হচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ বাজারের ধান ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘এখানে মৌসুমে প্রতি হাটে অন্তত ৪০০ থেকে হাজার বস্তা ধান বিক্রি হয়। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বা পাইকার আছেন যারা গ্রামের প্রান্তিক চাষিদের কাছে কাচা ধান কিনেছেন। পরে নিজস্ব চাতালে শুকিয়ে হাটে বিক্রি করছেন। কেউ আছেন ওই সব স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের কাছে ধান কিনে মিল মালিকের প্রতিনিধির কাছে বিক্রি করছেন। আবার কিছু কৃষক আছেন যারা উৎপাদন ও ধান কেনা-বেচার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।’
ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে ধান কেনা-বেচা করছি। সাধারণত আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে ধান কাচায় কিনি। শুকানোর পরে প্রতি বস্তায় ৫০-১০০ টাকা লাভ থাকে আমাদের।’
ধানের দাম কম পাওয়া কিংবা কৃষকদের লোকসানের বিষয়টি স্বীকার করছেন খোদ মিলমালিকরাও। দিনাজপুর মক্কা অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মখলেছুর রহমান আজিম বলেন, ‘ধানের উৎপাদন বেশি। সে অর্থে মিলমালিকেরা এখনো ধান কিনছে না। অনেক মিলে গত বারেরই ধান রয়ে গেছে। চাল করতে পারেনি।
তিনি বলেন, এবার কৃষকেরা প্রতি বস্তায় ১৫০-২০০ টাকা কম পাচ্ছে। এ ছাড়াও এবার বোরো আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়েছে ফলে বাজার যদি না বাড়ে তাহলে কৃষকেরা দুই দিকেই ক্ষতির মুখে পরবে।
‘ধানের যে দাম চলেছে এই দাম হিসাবে তো পোষায় না। গোটা ধানের মৌসুমটাত কোন পানি (বৃষ্টি) নাই, আর কাটিবার সময় ধানতো শুতি (হেলে পড়েছে) গেল। এক বিঘা জমির ধান কাটিতে আট-নয় হাজার টাকা লাগিছে। ধানের দাম চলেছে ৮০০ সাড়ে ৮০০ টাকা মণ। তো গেরস্থক (জমির মালিক) দিমো কি আর হামার থাকিবে কি? জমি যদি নিজের হয় তাইলে কিছুটা পোষায় কিন্তু হামরা (আমরা) তো ওইন্যের জমিত আবাদ করি কেংকরি পোষাইবেন। এইবার খালি খরচ আর খরচ।’ দিনাজপুর শহরের গোপালগঞ্জ ধান হাটে আলাপচারিতায় কথাগুলো বলছিলেন, কৃষক আবুল হোসেন। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার উ. ভবানীপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
আজ সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ ধানের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ব্রি-২৮ জাতের ধান (শুকনা) বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা (দুই মণ) ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা, ব্রি-২৯ ধান প্রতি বস্তা ২০০০-২১৫০ টাকা, জিরা-৯০ ধান প্রতি বস্তা ২ হাজার ৪০০-২ হাজার ৫০০ টাকা, বগুড়া সম্পা ২ হাজার ৩০০-২ হাজার ৪৫০ টাকা, ব্রি-৫১ ধান ২ হাজার ৪৫০-২ হাজার ৫০০ টাকা দরে। তবে এসব জাতের ধান কাঁচায় বস্তা প্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪১৮ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৫ মেট্রিকটন। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে।
বিরলের রাজারামপুর থেকে বাজারে ধান বিক্রি করতে আসছেন খবিরউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কৃষক লাভ দেখা পায় না। এইবার অতিরিক্ত খরায় সেচ খরচ বেশি পরেছে প্রায় ১ হাজার টাকা। পরে শেষ দিকে ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ হেলে পড়ায় কাটা-মাড়াই খরচ বাড়ল দেড় হাজার টাকা। দুই পাশে প্রায় আড়াই হাজার টাকা ধরা। গতবারের চেয়ে এবার প্রতি প্রকার ধানে বস্তা প্রতি ২০০-২৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বর্গাচাষি এবার তাদের লোকসান হিসাব করা যাবে না। যে জমি ১০-১২ হাজার টাকায় বর্গা পাওয়া গেছিল সেই জমি এখন ১৮-২২ হাজার টাকায় চুক্তি নিতে হচ্ছে।’
একই উপজেলার পুরিয়া গ্রামের আদর্শ চাষি মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে ব্রি-২৯ ধান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায় আর ব্রি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। ধান কাটার সময় থেকে বৃষ্টির কারণে কৃষক ধান শুকানো যাচ্ছে না। এমনিতেও এবার ধানের চাহিদা কম। ফলে ধানের বাজার এবার পড়তির দিকে। কৃষকও কম দামে ধান বেচতে বাধ্য হচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ বাজারের ধান ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘এখানে মৌসুমে প্রতি হাটে অন্তত ৪০০ থেকে হাজার বস্তা ধান বিক্রি হয়। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী বা পাইকার আছেন যারা গ্রামের প্রান্তিক চাষিদের কাছে কাচা ধান কিনেছেন। পরে নিজস্ব চাতালে শুকিয়ে হাটে বিক্রি করছেন। কেউ আছেন ওই সব স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীদের কাছে ধান কিনে মিল মালিকের প্রতিনিধির কাছে বিক্রি করছেন। আবার কিছু কৃষক আছেন যারা উৎপাদন ও ধান কেনা-বেচার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।’
ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে ধান কেনা-বেচা করছি। সাধারণত আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছে ধান কাচায় কিনি। শুকানোর পরে প্রতি বস্তায় ৫০-১০০ টাকা লাভ থাকে আমাদের।’
ধানের দাম কম পাওয়া কিংবা কৃষকদের লোকসানের বিষয়টি স্বীকার করছেন খোদ মিলমালিকরাও। দিনাজপুর মক্কা অটোরাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মখলেছুর রহমান আজিম বলেন, ‘ধানের উৎপাদন বেশি। সে অর্থে মিলমালিকেরা এখনো ধান কিনছে না। অনেক মিলে গত বারেরই ধান রয়ে গেছে। চাল করতে পারেনি।
তিনি বলেন, এবার কৃষকেরা প্রতি বস্তায় ১৫০-২০০ টাকা কম পাচ্ছে। এ ছাড়াও এবার বোরো আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়েছে ফলে বাজার যদি না বাড়ে তাহলে কৃষকেরা দুই দিকেই ক্ষতির মুখে পরবে।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
৩৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে