ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
ডিমলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মদন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে শ্যালককে সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা–ই নয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পে আত্মীয়করণ ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তাঁর নামে। নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ছোট ও রোগাক্রান্ত গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি উপকারভোগীদের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ বিভাগ উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলে বসবাস করা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাস ও জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প নেয়। এর আওতায় নীলফামারীর ডিমলায় ২০ পরিবারকে ১টি করে গরু, ৪২ পরিবারকে ঘরসহ ৩টি করে ভেড়া ও ২টি করে ছাগল এবং ৬২ পরিবারকে মুরগি পালনের ঘর দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ৪৫০ উপকারভোগী এ সহায়তা পাওয়ার কথা।
উপকারভোগীদের অভিযোগ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা বিতরণে শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়স্বজনদের নাম ব্যবহার করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার রায়। প্রতিটি উপকারভোগী পরিবারকে সর্বনিম্ন ১২০ কেজি ওজনের গরু দেওয়ার কথা থাকলেও ৫০-৬০ কেজি ওজনের ছোট ও রোগাক্রান্ত গরু দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৭ কেজির জায়গায় ৩-৪ কেজির ভেড়া ও ৮ কেজির জায়গায় ২-৪ কেজির ছাগল মিলেছে।
একাধিক সচ্ছল ব্যক্তিও অনুদানের গবাদিপশু পেয়েছেন। বিতরণ করা গবাদিপশুগুলো রুগ্ণ ও হাড্ডিসার ছিল। বরাদ্দের অর্ধেক দামেও কেনা হয়নি এসব প্রাণী। বাড়িতে আনার পর অনেকের পশু মারা গেছে বলে অভিযোগ তোলেন উপকারভোগীরা।
উপজেলার ঠাঁটারিপাড়া গ্রামের উপকারভোগী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘আমাকে যে দুটো ছাগল দেওয়া হয়েছিল এর ওজন ২ কেজির বেশি হবে না। অসুস্থ ছাগল দুটো বাড়িতে আনার ১০ দিনের মধ্যে মরে গেছে।’
একই অভিযোগ করেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগী সোনালি বেগম, ছকিনা ও আমিনুর রহমানসহ অন্তত ২০ জন। তাঁদের অভিযোগ, সহজ-সরল পেয়ে তাঁদের ঠকানো হয়েছে। তাঁদের অনেকে এসব পশু নিতে চাননি। তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এগুলো নিতে বাধ্য করেন।
গবাদিপশু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে মদন কুমার রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দরপত্র অনুযায়ী গবাদিপশুর ওজন কম হওয়ায় তখন বিতরণ কাজ স্থগিত করেছিলাম। পরে উপকারভোগীদের দাবিতে কম ওজনের পশুই বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করেছেন কিন্তু আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যোগদানের আগেই এসব গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা জানা নেই।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে দরপত্র অনুযায়ী এসব গবাদিপশু বিতরণ করা হয়। ঠিকাদারের কাছে দরপত্র অনুযায়ী গবাদিপশু বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার। দরপত্র অনুযায়ী শর্ত পূরণ না করে পশু বিতরণ করলে এর দায়ভার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এড়াতে পারেন না। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মদন কুমার রায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে ২০২২ এ উপজেলায় যোগদান করেন। উপজেলার গয়াবাড়ি এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। তাঁর শ্যালকের নাম শংকর সরকার। তিনি উপজেলার দক্ষিণ গয়াবাড়ি শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য লাল রঙের একটি ১০০ সিসি মোটরসাইকেল প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিমলা উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেয়। মাঠপর্যায়ে চিকিৎসাসেবা দেখার জন্য মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করবেন ভেটেরিনারি সার্জন। কিন্তু যোগদানের পর থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার শ্যালক ব্যক্তিগত কাজে মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করছেন।
ডিমলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মদন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে শ্যালককে সরকারি মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা–ই নয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পে আত্মীয়করণ ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তাঁর নামে। নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ছোট ও রোগাক্রান্ত গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি উপকারভোগীদের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ বিভাগ উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলে বসবাস করা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাস ও জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প নেয়। এর আওতায় নীলফামারীর ডিমলায় ২০ পরিবারকে ১টি করে গরু, ৪২ পরিবারকে ঘরসহ ৩টি করে ভেড়া ও ২টি করে ছাগল এবং ৬২ পরিবারকে মুরগি পালনের ঘর দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ৪৫০ উপকারভোগী এ সহায়তা পাওয়ার কথা।
উপকারভোগীদের অভিযোগ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা বিতরণে শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়স্বজনদের নাম ব্যবহার করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মদন কুমার রায়। প্রতিটি উপকারভোগী পরিবারকে সর্বনিম্ন ১২০ কেজি ওজনের গরু দেওয়ার কথা থাকলেও ৫০-৬০ কেজি ওজনের ছোট ও রোগাক্রান্ত গরু দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৭ কেজির জায়গায় ৩-৪ কেজির ভেড়া ও ৮ কেজির জায়গায় ২-৪ কেজির ছাগল মিলেছে।
একাধিক সচ্ছল ব্যক্তিও অনুদানের গবাদিপশু পেয়েছেন। বিতরণ করা গবাদিপশুগুলো রুগ্ণ ও হাড্ডিসার ছিল। বরাদ্দের অর্ধেক দামেও কেনা হয়নি এসব প্রাণী। বাড়িতে আনার পর অনেকের পশু মারা গেছে বলে অভিযোগ তোলেন উপকারভোগীরা।
উপজেলার ঠাঁটারিপাড়া গ্রামের উপকারভোগী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘আমাকে যে দুটো ছাগল দেওয়া হয়েছিল এর ওজন ২ কেজির বেশি হবে না। অসুস্থ ছাগল দুটো বাড়িতে আনার ১০ দিনের মধ্যে মরে গেছে।’
একই অভিযোগ করেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উপকারভোগী সোনালি বেগম, ছকিনা ও আমিনুর রহমানসহ অন্তত ২০ জন। তাঁদের অভিযোগ, সহজ-সরল পেয়ে তাঁদের ঠকানো হয়েছে। তাঁদের অনেকে এসব পশু নিতে চাননি। তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এগুলো নিতে বাধ্য করেন।
গবাদিপশু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে মদন কুমার রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দরপত্র অনুযায়ী গবাদিপশুর ওজন কম হওয়ায় তখন বিতরণ কাজ স্থগিত করেছিলাম। পরে উপকারভোগীদের দাবিতে কম ওজনের পশুই বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করেছেন কিন্তু আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিরাজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যোগদানের আগেই এসব গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা জানা নেই।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে দরপত্র অনুযায়ী এসব গবাদিপশু বিতরণ করা হয়। ঠিকাদারের কাছে দরপত্র অনুযায়ী গবাদিপশু বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার। দরপত্র অনুযায়ী শর্ত পূরণ না করে পশু বিতরণ করলে এর দায়ভার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এড়াতে পারেন না। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মদন কুমার রায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে ২০২২ এ উপজেলায় যোগদান করেন। উপজেলার গয়াবাড়ি এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। তাঁর শ্যালকের নাম শংকর সরকার। তিনি উপজেলার দক্ষিণ গয়াবাড়ি শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য লাল রঙের একটি ১০০ সিসি মোটরসাইকেল প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ডিমলা উপজেলার জন্য বরাদ্দ দেয়। মাঠপর্যায়ে চিকিৎসাসেবা দেখার জন্য মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করবেন ভেটেরিনারি সার্জন। কিন্তু যোগদানের পর থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার শ্যালক ব্যক্তিগত কাজে মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করছেন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেযশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে