পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কোনো জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। স্বার্থান্বেষী একটি চক্র গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। যার ফলে সীমান্তে ঢল নেমেছিল। হামলার খবর গুজব।
আজ শনিবার দুপুরে হাতীবান্ধা থানা হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি), তিস্তা–২,৬১ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর এ এফ এম জুলকার নাঈন।
এ সময় তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের ওপর কখনো কোনো হামলা হবে না। যেহেতু কোনো হামলা হয় নাই সে ক্ষেত্রে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা বিজিবি আপনাদের আশ্বস্ত করছি। আপনারা নিজ নিজ বাসা বাড়িতে থাকুন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে সব সময় প্রস্তুত।’
মেজর এ এফ এম জুলকার নাঈন আরও বলেন, ‘হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বা অন্য যেকোনো ধর্মের যাঁরা রয়েছে, আমরা সকলেই বাংলাদেশি। সবার নিরাপত্তা প্রদান গুরুত্বপূর্ণ। বিজিবি ও বিওপি ক্যাম্পসমূহের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সীমান্ত এলাকার অন্য ধর্মাবলম্বী কারও ওপরে কোনো ধরনের আঘাত আসে নাই।’
পুলিশসহ প্রশাসনকেও সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এ সময় হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানসহ পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে হাতীবান্ধা সীমান্তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জড়ো হওয়ার ব্যাপারে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আজ বিকেলে উপজেলার গোতামারী (ডিএনএসসি) উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অশ্বিনী কুমার বসুনিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে এ উপজেলার উত্তর গোতামারী শ্মশানঘাট গ্রাম সীমান্তে হঠাৎ করে মাঝবয়সী ৫০ হতে ৬০ জন ছেলে জড়ো হন। পরে সংবাদ পেয়ে বিজিবির দইখাওয়া বিজিবি কমান্ডার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় তাদের বুঝিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে ফেরত নিয়ে আসার চেষ্টা করে। ক্রমান্বয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী অন্যান্য উপজেলা ও জেলা থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন অল্প সময়ে সীমান্তে জড়ো হতে শুরু করে। তাঁদের মধ্যে ২০০ থেকে আড়াই শ জন লোক ওই সীমান্তের শূন্য লাইনের খরপো নদীতে অবস্থান নেন। এ সময় বিজিবি জনবল বৃদ্ধি করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে আগত লোকজন যেন শূন্য লাইন অতিক্রম না করে সে বিষয়টি তাঁদের বোঝানো হয়। সরকার পতনের পর লালমনিরহাট জেলায় বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জান ও মালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিজিবিসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ আরও বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা আমাদের ভাই ও বোন। তাঁদের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যে কোনো সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
লালমনিরহাটের কোনো জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। স্বার্থান্বেষী একটি চক্র গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। যার ফলে সীমান্তে ঢল নেমেছিল। হামলার খবর গুজব।
আজ শনিবার দুপুরে হাতীবান্ধা থানা হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি), তিস্তা–২,৬১ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক মেজর এ এফ এম জুলকার নাঈন।
এ সময় তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের ওপর কখনো কোনো হামলা হবে না। যেহেতু কোনো হামলা হয় নাই সে ক্ষেত্রে আপনাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা বিজিবি আপনাদের আশ্বস্ত করছি। আপনারা নিজ নিজ বাসা বাড়িতে থাকুন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে সব সময় প্রস্তুত।’
মেজর এ এফ এম জুলকার নাঈন আরও বলেন, ‘হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বা অন্য যেকোনো ধর্মের যাঁরা রয়েছে, আমরা সকলেই বাংলাদেশি। সবার নিরাপত্তা প্রদান গুরুত্বপূর্ণ। বিজিবি ও বিওপি ক্যাম্পসমূহের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সীমান্ত এলাকার অন্য ধর্মাবলম্বী কারও ওপরে কোনো ধরনের আঘাত আসে নাই।’
পুলিশসহ প্রশাসনকেও সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এ সময় হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানসহ পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে হাতীবান্ধা সীমান্তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জড়ো হওয়ার ব্যাপারে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আজ বিকেলে উপজেলার গোতামারী (ডিএনএসসি) উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অশ্বিনী কুমার বসুনিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে এ উপজেলার উত্তর গোতামারী শ্মশানঘাট গ্রাম সীমান্তে হঠাৎ করে মাঝবয়সী ৫০ হতে ৬০ জন ছেলে জড়ো হন। পরে সংবাদ পেয়ে বিজিবির দইখাওয়া বিজিবি কমান্ডার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় তাদের বুঝিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে ফেরত নিয়ে আসার চেষ্টা করে। ক্রমান্বয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী অন্যান্য উপজেলা ও জেলা থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন অল্প সময়ে সীমান্তে জড়ো হতে শুরু করে। তাঁদের মধ্যে ২০০ থেকে আড়াই শ জন লোক ওই সীমান্তের শূন্য লাইনের খরপো নদীতে অবস্থান নেন। এ সময় বিজিবি জনবল বৃদ্ধি করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে আগত লোকজন যেন শূন্য লাইন অতিক্রম না করে সে বিষয়টি তাঁদের বোঝানো হয়। সরকার পতনের পর লালমনিরহাট জেলায় বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জান ও মালের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিজিবিসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ আরও বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁরা আমাদের ভাই ও বোন। তাঁদের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যে কোনো সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৩ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৩ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে