কুড়িগ্রাম ও ফুলবাড়ী প্রতিনিধি
হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীর (১৭) সঙ্গে ৩৫ বছর বয়সী মুসলিম যুবকের অসম প্রেম। সেই প্রেমের সম্পর্কের জেরে যুবক কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। শেষ পর্যন্ত যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক, তাঁর ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে ‘অপহরণের’ অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ফুলবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান মামলা নথিভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত যুবকের নাম আলিনুর রহমান (৩৫)। তিনি কাশিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অন্তপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী একই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার এজাহারে কিশোরীর বাবা উল্লেখ করেছেন, আসামি আলিনুর তাঁর দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে স্কুল যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখানোসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি কিশোরী তার পরিবারকে জানালে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক করে অভিযুক্ত আলিনুরকে সতর্ক করে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এ নিয়ে আলিনুর ও তাঁর পরিবারের লোকজন কিশোরীর পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সম্প্রতি আসামিরা ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুসলিম করার ঘোষণাসংবলিত একটি কাগজ মেয়েটির বাড়ির সামনের জামগাছে সাঁটিয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলিনুরসহ অন্য আসামিদের সহায়তায় ওই কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে বুধবার রাতে আসামি আলিনুরের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করে তাঁকে ফেরত চাইলে পরিবারের লোকজন কিশোরীর বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ঘটনার অনুসন্ধানে যা জানা গেল
কিশোরী ‘অপহরণ’ হওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসে থানা-পুলিশ। ঘটনার অনুসন্ধানে নামে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ হিন্দুধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। উভয় পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলিনুরের বাড়ি থেকে কিশোরীর বাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। আলিনুরের বাড়ির পথ ধরেই প্রতিদিন স্কুলে যায় ওই কিশোরী। এই সুযোগে আলিনুর তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বয়স ও ধর্মের বিবেচনায় অসম এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে কিশোরীর পরিবারের অনুরোধে সালিস বৈঠক হয়। দেড় মাস আগে হওয়া সেই সালিসে আলিনুরকে সতর্ক করে দেন স্থানীয় মাতবররা। কিছুদিন সংযত থাকেন আলিনুর।
সালিসের কয়েক দিনের মধ্যে আলিনুরকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। মাস ঘুরতে না ঘুরতে সেই সংসার ভেঙে যায়। পরিবার সতর্ক থাকায় আলিনুর ও কিশোরী কৌশলে পরস্পর যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। যদিও আলিনুরের পরিবারের দাবি, কিশোরীর অব্যাহত চাপে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন আলিনুর।
এমন দাবি করে আলিনুরের মা আনোয়ারা বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ হলে সালিস হয়। আলিনুরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁকে পেটানো হয়। এরপর তাঁকে আমরা বিয়ে দিই। কিন্তু ওই হিন্দু মেয়ে আমার ছেলেকে তালাকের জন্য চাপ দিতে তাকে। বউ না ছাড়লে ছেলের ঘরে এসে গলায় ফাঁস দেওয়ার হুমকি দেয়। ছেলে বউ ছাড়ে। এরপর এই ঘটনা ঘটল।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছালেক বলেন, ‘দেড় মাস আগে সালিস করে ছেলেকে শাসন করা হয়েছিল। এরপর বুধবার বিকেলে মেয়েকে নিয়ে চলে যায়।’
কিশোরীকে তুলে নিয়ে মুসলিম করার ঘোষণা
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কিশোরীর বাড়ির সামনে একটি জামগাছে কাগজে লেখা একটি ঘোষণাপত্র সাঁটানো দেখতে পান স্থানীয়রা। তাতে লেখা ছিল, ‘৭ দিনের মধ্যে এই বাড়ির মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে, মেয়েকে মুসলমান করা হবে।’ এ ঘটনায় আতঙ্ক প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা রজিত চন্দ্র অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে ওই জিডি নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি, পুলিশ ওই জিডির বিষয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, ‘গাছে হুমকির চিঠি দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। হুমকিদাতা তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করল। মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। মামলা করেছি। আমার মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই।’
অ্যাফিডেভিট করে ধর্মান্তরিত হয়েছে কিশোরী
এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে অ্যাফিডেভিট করে ওই কিশোরী ধর্মান্তরিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অ্যাফিডেভিটের একটি কপি এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। ধর্মান্তরিত হয়ে তার নতুন নাম এখন সাজেদা খাতুন। অ্যাফিডেভিটে স্বাক্ষরকারী কুড়িগ্রামের আইনজীবী সোহেল রানা বাবুর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয়রা যা বলছেন
আলিনুরের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয়দেরও জানা। তবে বয়সের দূরত্ব ও ধর্মীয় পার্থক্যের কারণে তাতে কারও সমর্থন ছিল না।
ওই গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পবালা (৬০) বলেন, ‘উভয়ের মধ্যে একটি বোঝাপড়া ছিল। না থাকলে দুজনে চলে যাইতে পারে না।’
কিশোরীর প্রতিবেশী উত্তম রায় বলেন, ‘মেয়ের ইচ্ছাতেই ছেলে তাকে নিয়ে গেছে।’
গ্রাম পুলিশ অনিল চন্দ্র বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ধরা পড়ার পর প্রায় এক–দেড়শ লোকের উপস্থিতিতে সালিস হয়। তখন থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সবার জানা।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ওই যুবকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানাতে পারি। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিসও হয়েছিল। তবে মেয়ের পরিবার প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পরিবারের নিষেধ থাকার পরও অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলছাত্রীকে এভাবে নিয়ে যাওয়া আইনসম্মত হয়নি। আমি আইনি বিহিত দাবি করছি।’
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পাওয়া গেছে। মেয়ের বাবার এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার ও কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশি চেষ্টা চলছে।’
হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীর (১৭) সঙ্গে ৩৫ বছর বয়সী মুসলিম যুবকের অসম প্রেম। সেই প্রেমের সম্পর্কের জেরে যুবক কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। শেষ পর্যন্ত যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক, তাঁর ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে ‘অপহরণের’ অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ফুলবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান মামলা নথিভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত যুবকের নাম আলিনুর রহমান (৩৫)। তিনি কাশিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অন্তপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী একই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার এজাহারে কিশোরীর বাবা উল্লেখ করেছেন, আসামি আলিনুর তাঁর দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে স্কুল যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখানোসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি কিশোরী তার পরিবারকে জানালে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক করে অভিযুক্ত আলিনুরকে সতর্ক করে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এ নিয়ে আলিনুর ও তাঁর পরিবারের লোকজন কিশোরীর পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সম্প্রতি আসামিরা ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুসলিম করার ঘোষণাসংবলিত একটি কাগজ মেয়েটির বাড়ির সামনের জামগাছে সাঁটিয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলিনুরসহ অন্য আসামিদের সহায়তায় ওই কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে বুধবার রাতে আসামি আলিনুরের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করে তাঁকে ফেরত চাইলে পরিবারের লোকজন কিশোরীর বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ঘটনার অনুসন্ধানে যা জানা গেল
কিশোরী ‘অপহরণ’ হওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসে থানা-পুলিশ। ঘটনার অনুসন্ধানে নামে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ হিন্দুধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। উভয় পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলিনুরের বাড়ি থেকে কিশোরীর বাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। আলিনুরের বাড়ির পথ ধরেই প্রতিদিন স্কুলে যায় ওই কিশোরী। এই সুযোগে আলিনুর তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বয়স ও ধর্মের বিবেচনায় অসম এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে কিশোরীর পরিবারের অনুরোধে সালিস বৈঠক হয়। দেড় মাস আগে হওয়া সেই সালিসে আলিনুরকে সতর্ক করে দেন স্থানীয় মাতবররা। কিছুদিন সংযত থাকেন আলিনুর।
সালিসের কয়েক দিনের মধ্যে আলিনুরকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। মাস ঘুরতে না ঘুরতে সেই সংসার ভেঙে যায়। পরিবার সতর্ক থাকায় আলিনুর ও কিশোরী কৌশলে পরস্পর যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। যদিও আলিনুরের পরিবারের দাবি, কিশোরীর অব্যাহত চাপে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন আলিনুর।
এমন দাবি করে আলিনুরের মা আনোয়ারা বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ হলে সালিস হয়। আলিনুরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁকে পেটানো হয়। এরপর তাঁকে আমরা বিয়ে দিই। কিন্তু ওই হিন্দু মেয়ে আমার ছেলেকে তালাকের জন্য চাপ দিতে তাকে। বউ না ছাড়লে ছেলের ঘরে এসে গলায় ফাঁস দেওয়ার হুমকি দেয়। ছেলে বউ ছাড়ে। এরপর এই ঘটনা ঘটল।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছালেক বলেন, ‘দেড় মাস আগে সালিস করে ছেলেকে শাসন করা হয়েছিল। এরপর বুধবার বিকেলে মেয়েকে নিয়ে চলে যায়।’
কিশোরীকে তুলে নিয়ে মুসলিম করার ঘোষণা
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কিশোরীর বাড়ির সামনে একটি জামগাছে কাগজে লেখা একটি ঘোষণাপত্র সাঁটানো দেখতে পান স্থানীয়রা। তাতে লেখা ছিল, ‘৭ দিনের মধ্যে এই বাড়ির মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে, মেয়েকে মুসলমান করা হবে।’ এ ঘটনায় আতঙ্ক প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা রজিত চন্দ্র অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে ওই জিডি নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি, পুলিশ ওই জিডির বিষয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, ‘গাছে হুমকির চিঠি দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। হুমকিদাতা তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করল। মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। মামলা করেছি। আমার মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই।’
অ্যাফিডেভিট করে ধর্মান্তরিত হয়েছে কিশোরী
এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে অ্যাফিডেভিট করে ওই কিশোরী ধর্মান্তরিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অ্যাফিডেভিটের একটি কপি এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। ধর্মান্তরিত হয়ে তার নতুন নাম এখন সাজেদা খাতুন। অ্যাফিডেভিটে স্বাক্ষরকারী কুড়িগ্রামের আইনজীবী সোহেল রানা বাবুর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয়রা যা বলছেন
আলিনুরের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয়দেরও জানা। তবে বয়সের দূরত্ব ও ধর্মীয় পার্থক্যের কারণে তাতে কারও সমর্থন ছিল না।
ওই গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পবালা (৬০) বলেন, ‘উভয়ের মধ্যে একটি বোঝাপড়া ছিল। না থাকলে দুজনে চলে যাইতে পারে না।’
কিশোরীর প্রতিবেশী উত্তম রায় বলেন, ‘মেয়ের ইচ্ছাতেই ছেলে তাকে নিয়ে গেছে।’
গ্রাম পুলিশ অনিল চন্দ্র বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ধরা পড়ার পর প্রায় এক–দেড়শ লোকের উপস্থিতিতে সালিস হয়। তখন থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সবার জানা।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ওই যুবকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানাতে পারি। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিসও হয়েছিল। তবে মেয়ের পরিবার প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পরিবারের নিষেধ থাকার পরও অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলছাত্রীকে এভাবে নিয়ে যাওয়া আইনসম্মত হয়নি। আমি আইনি বিহিত দাবি করছি।’
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পাওয়া গেছে। মেয়ের বাবার এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার ও কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশি চেষ্টা চলছে।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৯ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে