তানিম আহমেদ, পঞ্চগড় থেকে ফিরে
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পিছিয়ে পড়া এই জনপদেও পড়েছে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কৃষিনির্ভর জনপদে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। পরিবর্তনের সুফল হিসেবে মানুষের জীবনমান হয়েছে উন্নত। পিছিয়ে পড়া এই জনপদটিই এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সম্প্রতি পঞ্চগড় ঘুরে এই চিত্র জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলায় ১২ লাখ মানুষের বাস। মাত্র দেড় দশকের ব্যবধানে শিক্ষার হার ৪৮ শতাংশ থেকে ৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ধান, আখ ও পাট উৎপাদনের পাশাপাশি বালু ও পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করত এখানকার বেশির ভাগ মানুষ। শিল্পকারখানা বলতে ছিল পঞ্চগড় চিনিকল। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
বাংলাবান্ধার সুফল উত্তরবঙ্গে
১৯৯৭ সালে চালু হওয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গেই আমদানি-রপ্তানি হতো। কিন্তু ২০১১ সালে আমদানি-রপ্তানি নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হয় এই বন্দর ব্যবহার করে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। ২০১৬ সালে এই বন্দরের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন চালু হওয়া কয়েকটি জেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য সহজে ভারত যেতে পারছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহসিন আলী বলেন, আমাদের অনেক দুঃখ ছিল, সেই সময়। আমাদের কাছেই ভারত, অথচ এখান দিয়ে আমরা যেতে পারব না। এখন আমরা যেতে পারছি।’
দিনাজপুরের বাসিন্দা এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলাম। সরকার বন্দরকে আধুনিক করায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এতে আমাদের সময় সাশ্রয় হচ্ছে।’
বাংলাবান্ধা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ব্যাটারি, সিসা, পাট, ফলের রস, ওয়েস্ট কটন, কাপড়, কাঠ ও প্লাস্টিকের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়। এ ছাড়া ভারত থেকে পাথর ও নেপাল থেকে ডাল আমদানি করা হয়। বর্তমানে এই বন্দরের কলেবর ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে আধুনিক বন্দরে রূপান্তরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে, যার বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি বাংলাদেশের একমাত্র চতুর দেশীয় স্থলবন্দর। এই বন্দরের সঙ্গে ভারত, ভুটান, নেপাল সংযুক্ত হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির কাজ থেকে শুরু করে ভারত, ভুটান, নেপালে যাচ্ছে মানুষ। বন্দরকেন্দ্রিক প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১৪ বছরে এই বন্দরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতি দিন ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।
চা চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ৯২৫ একর জমিতে চা চাষ হতো। আর এখন চাষ হয় ১৭ হাজার ৭৯ একরে। এ জেলায় ৯টি বড় ও ৮ হাজার ৩৫৫টি ক্ষুদ্র চা-বাগান রয়েছে। বর্তমানে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক এই শিল্পে যুক্ত আছেন। লাভ বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই চা চাষে ঝুঁকেছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের সমতলের চা-শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এ জেলায় দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দিয়েছেন, যা খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।
সহজ যোগাযোগে বদলে গেছে গ্রামীণ চিত্র
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, জেলার বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক কাঁচা থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হতো সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মানুষের কষ্ট হতো দ্বিগুণ। কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হতো বলে জানান রবিউল। এতে গ্রামীণ কৃষক উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হতো। কিন্তু গত এক দশকে বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক পাকা করায় কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রবিউল বলেন, একসময় বোদা থেকে পঞ্চগড় শহরে কৃষিপণ্য আনতে এক দিন সময় লাগত। এতে কৃষকের সময় ও অর্থের অপচয় হতো। কিন্তু এখন সরাসরি ঢাকায় পণ্য পাঠানো যায়, যা ১০-১৫ ঘণ্টায় পৌঁছায়। এতে কৃষক উপকৃত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত এলজিইডির আওতায় পঞ্চগড়ের ৩০৫ সড়ক নির্মিত হয়। অন্যদিকে ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৭৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৬৯০টি সড়ক পাকা করা হয়। একই সঙ্গে উন্নত করা হয় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কও।
রেলযোগাযোগে পঞ্চগড় দেশের পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেই চিত্র আমূল পরিবর্তন হয়। বর্তমানে পঞ্চগড় থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে পাঁচটিই আন্তনগর। ২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের নামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত দৃষ্টিনন্দন একটি রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া হয়ে আন্তরাষ্ট্রীয় রেলযোগাযোগের জন্য আধুনিক রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
ক্যাশলেস নাগরিক সুবিধা
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশ লেস সেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়, যা বর্তমানে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে চালু হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নগদ অর্থ ছাড়া মুঠোফোনের মাধ্যমে নগদ ও বিকাশসহ অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ভূমিহীন সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, অবিবাহিত সনদসহ ১৯টি নাগরিক সেবা নেওয়া যায়।
তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদে গত শনিবার কথা হয় জাহানারা বেগমের সঙ্গে। তিনি গত দুই বছর ধরেই মাতৃ ভাতা পাচ্ছেন। প্রথম ছয় মাস সরাসরি টাকা তাঁর নামে বরাদ্দ হতো। কাগজপত্র সই করে সেই টাকা সংগ্রহ করতেন তিনি। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে মাতৃ ভাতার টাকা জাহানারা বেগমের মোবাইল ফোনেই চলে আসে। তিনি তিন-চার মাস পরপর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গত ১৯ বছর ধরেই প্রতিবন্ধী জহুরুল ইসলাম। আগে ব্যাংক গিয়ে সিরিয়াল ধরে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করতে হতো তাঁর। কিন্তু গত তিন বছর ধরেই জহুরুলের মোবাইল ফোনে চলে আসে ভাতার টাকা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। তাঁর জন্য সব সময় দোয়া করি। আল্লাহ পাক যেন তাঁকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম গত শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ক্যাশলেস ইউপি সেবা সিস্টেম একটি অন্যতম উপাদান। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সময়, খরচ কমিয়ে মানুষ এখন ঘরে বসেই এই সেবা পাচ্ছে। দেশে কোনো জেলা হিসেবে পঞ্চগড়েই এটা প্রথম।
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। পিছিয়ে পড়া এই জনপদেও পড়েছে সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া। শিল্প, যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কৃষিনির্ভর জনপদে এসেছে অভূতপূর্ব পরিবর্তন। পরিবর্তনের সুফল হিসেবে মানুষের জীবনমান হয়েছে উন্নত। পিছিয়ে পড়া এই জনপদটিই এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সম্প্রতি পঞ্চগড় ঘুরে এই চিত্র জানা গেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলায় ১২ লাখ মানুষের বাস। মাত্র দেড় দশকের ব্যবধানে শিক্ষার হার ৪৮ শতাংশ থেকে ৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ধান, আখ ও পাট উৎপাদনের পাশাপাশি বালু ও পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করত এখানকার বেশির ভাগ মানুষ। শিল্পকারখানা বলতে ছিল পঞ্চগড় চিনিকল। বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানে এসেছে আমূল পরিবর্তন।
বাংলাবান্ধার সুফল উত্তরবঙ্গে
১৯৯৭ সালে চালু হওয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গেই আমদানি-রপ্তানি হতো। কিন্তু ২০১১ সালে আমদানি-রপ্তানি নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হয় এই বন্দর ব্যবহার করে। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। ২০১৬ সালে এই বন্দরের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন চালু হওয়া কয়েকটি জেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য সহজে ভারত যেতে পারছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহসিন আলী বলেন, আমাদের অনেক দুঃখ ছিল, সেই সময়। আমাদের কাছেই ভারত, অথচ এখান দিয়ে আমরা যেতে পারব না। এখন আমরা যেতে পারছি।’
দিনাজপুরের বাসিন্দা এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলাম। সরকার বন্দরকে আধুনিক করায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। এতে আমাদের সময় সাশ্রয় হচ্ছে।’
বাংলাবান্ধা বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে নেপালে ব্যাটারি, সিসা, পাট, ফলের রস, ওয়েস্ট কটন, কাপড়, কাঠ ও প্লাস্টিকের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়। এ ছাড়া ভারত থেকে পাথর ও নেপাল থেকে ডাল আমদানি করা হয়। বর্তমানে এই বন্দরের কলেবর ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে আধুনিক বন্দরে রূপান্তরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে, যার বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি বাংলাদেশের একমাত্র চতুর দেশীয় স্থলবন্দর। এই বন্দরের সঙ্গে ভারত, ভুটান, নেপাল সংযুক্ত হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির কাজ থেকে শুরু করে ভারত, ভুটান, নেপালে যাচ্ছে মানুষ। বন্দরকেন্দ্রিক প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১৪ বছরে এই বন্দরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে প্রায় প্রতি দিন ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।
চা চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ৯২৫ একর জমিতে চা চাষ হতো। আর এখন চাষ হয় ১৭ হাজার ৭৯ একরে। এ জেলায় ৯টি বড় ও ৮ হাজার ৩৫৫টি ক্ষুদ্র চা-বাগান রয়েছে। বর্তমানে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক এই শিল্পে যুক্ত আছেন। লাভ বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই চা চাষে ঝুঁকেছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড়ের সমতলের চা-শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এ জেলায় দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালুর ঘোষণা দিয়েছেন, যা খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।
সহজ যোগাযোগে বদলে গেছে গ্রামীণ চিত্র
ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, জেলার বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক কাঁচা থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হতো সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মানুষের কষ্ট হতো দ্বিগুণ। কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হতো বলে জানান রবিউল। এতে গ্রামীণ কৃষক উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতেও ভোগান্তিতে পড়তে হতো। কিন্তু গত এক দশকে বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়ক পাকা করায় কৃষকের ভাগ্য বদল হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রবিউল বলেন, একসময় বোদা থেকে পঞ্চগড় শহরে কৃষিপণ্য আনতে এক দিন সময় লাগত। এতে কৃষকের সময় ও অর্থের অপচয় হতো। কিন্তু এখন সরাসরি ঢাকায় পণ্য পাঠানো যায়, যা ১০-১৫ ঘণ্টায় পৌঁছায়। এতে কৃষক উপকৃত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত এলজিইডির আওতায় পঞ্চগড়ের ৩০৫ সড়ক নির্মিত হয়। অন্যদিকে ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৭৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৬৯০টি সড়ক পাকা করা হয়। একই সঙ্গে উন্নত করা হয় ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কও।
রেলযোগাযোগে পঞ্চগড় দেশের পিছিয়ে পড়া একটি জনপদ ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেই চিত্র আমূল পরিবর্তন হয়। বর্তমানে পঞ্চগড় থেকে ছয় জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে পাঁচটিই আন্তনগর। ২০১৯ সালে পঞ্চগড় জেলায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের নামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত দৃষ্টিনন্দন একটি রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া হয়ে আন্তরাষ্ট্রীয় রেলযোগাযোগের জন্য আধুনিক রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
ক্যাশলেস নাগরিক সুবিধা
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশ লেস সেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়, যা বর্তমানে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নে চালু হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নগদ অর্থ ছাড়া মুঠোফোনের মাধ্যমে নগদ ও বিকাশসহ অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে ট্রেড লাইসেন্স, চারিত্রিক সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ভূমিহীন সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, অবিবাহিত সনদসহ ১৯টি নাগরিক সেবা নেওয়া যায়।
তিরনইহাট ইউনিয়ন পরিষদে গত শনিবার কথা হয় জাহানারা বেগমের সঙ্গে। তিনি গত দুই বছর ধরেই মাতৃ ভাতা পাচ্ছেন। প্রথম ছয় মাস সরাসরি টাকা তাঁর নামে বরাদ্দ হতো। কাগজপত্র সই করে সেই টাকা সংগ্রহ করতেন তিনি। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে মাতৃ ভাতার টাকা জাহানারা বেগমের মোবাইল ফোনেই চলে আসে। তিনি তিন-চার মাস পরপর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গত ১৯ বছর ধরেই প্রতিবন্ধী জহুরুল ইসলাম। আগে ব্যাংক গিয়ে সিরিয়াল ধরে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে টাকা সংগ্রহ করতে হতো তাঁর। কিন্তু গত তিন বছর ধরেই জহুরুলের মোবাইল ফোনে চলে আসে ভাতার টাকা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি। তাঁর জন্য সব সময় দোয়া করি। আল্লাহ পাক যেন তাঁকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম গত শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ক্যাশলেস ইউপি সেবা সিস্টেম একটি অন্যতম উপাদান। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সময়, খরচ কমিয়ে মানুষ এখন ঘরে বসেই এই সেবা পাচ্ছে। দেশে কোনো জেলা হিসেবে পঞ্চগড়েই এটা প্রথম।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
৩৯ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
১ ঘণ্টা আগে