মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)
স্বামীর মৃত্যুর পর গত দুই বছর ধরে বিধবা ভাতা পেয়েছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খতেজা বেগম। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে ভাতার টাকা পাচ্ছেন না তিনি। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, অন্য নম্বরে পাঠানো হয়েছে ভাতার টাকা। প্রতারণার মাধ্যমে তাঁর ভাতার তথ্যে অন্য ব্যক্তির মোবাইল নম্বর যোগ করা হয়েছে।
টাকা ফেরত পেতে সম্প্রতি ওই কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন খতেজা। ঈদের আগে টাকা না পাওয়ায় খতেজা এখন শুধুই কাঁদছেন।
খতেজা বলেন, ‘ভাতার টাকায় তাঁর চিকিৎসা খরচ চলত। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে মানবেতর জীবন যাপন করছি। বাকিতে দোকান থেকে ওষুধ কিনেছি। সেই টাকাও পরিশোধ করতে পারছি না। দিনের পর দিন সমাজসেবা অফিসে ঘুরেও টাকা পাচ্ছি না।’
শুধু খতেজা নয়, তাঁর মতো উপজেলার অনেক ভাতাভোগী মোবাইল নম্বরের ভুলের কারণে ভাতা পাচ্ছেন না। ভাতা না পাওয়ায় ম্লান হয়েছে তাঁদের ঈদের স্বপ্ন।
সম্প্রতি টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন শতাধিক ভাতাভোগী। এর মধ্যে সমাজসেবা অফিস কিছু ভাতাভোগী অ্যাকাউন্ট ঠিক করে দিলেও বেশির ভাগ ভাতাভোগীই এখনো টাকা পায়নি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সমাজসেবা কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার গিয়েও কোনো সমাধান হচ্ছে না। যে পরিমাণ ভাতা পাওয়ার কথা বিভিন্ন অফিসে ঘুরতে ঘুরতে তার দ্বিগুণ বেশি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জবাবদিহি এড়াতে বেশির ভাগ সময়ে তাঁর কার্যালয়েই থাকেন না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে নুরুন্নাহার নুরী চার বছর আগে এ উপজেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি সকাল ১১টার পরে অফিসে আসেন। আর বেলা ৩টা বাজতে না বাজতেই চলে যান।
উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের রজব আলী ব্যাংক থেকে তাঁর বয়স্ক ভাতার টাকা তুলেছেন বেশ কয়েকবার। পরে তিনি সমাজসেবা কার্যালয়ে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দেন। তবে ভাতার টাকা মোবাইলের মাধ্যমে দেওয়া শুরু হতেই তৈরি হয় জটিলতা। গত চার বছরে তিনি কোনো ভাতা পাননি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর ভাতার সব টাকা চলে গেছে অন্য নম্বরে।
রজব আলী বলেন, ‘ভাতার টাকা কোথায় যাচ্ছে, কেন পাচ্ছি না, তা জানতে সমাজসেবা অফিসে চার বছর ঘুরছি। কারও কাছ থেকে সঠিক জবাব পাইনি। সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দিলে তিন মাসের ভাতার টাকা পেয়েছি। তবে আগের টাকার কোনো হদিস পাইনি।’
একই সমস্যার কারণে প্রায় ৩০ মাস সরকারি ভাতা বঞ্চিত বালাপাড়া ইউনিয়নের সিরাজুল হক ও ঝুনাগাছ চাপানির আলেমা বেওয়া। তাঁরা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবা কার্যালয়ে গেলে শুধু আশ্বাস দেয়, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক আর হয়নি।
নাউতারা ইউনিয়নের নিরদা বালার ছেলে সরেস চন্দ্র জানান, তাঁর মা ৪ বছর ধরে বিধবা ভাতার আওতাভুক্ত। আগে নিয়মিত ভাতা পেলেও শেষ দুই বছরে কোনো টাকা পাননি।
বালাপাড়া ইউনিয়নের ডালিমন নেছা, রাশেদা বেগম, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের মনিজা বেগম, কুলছুম বেগম, ছাতনাই ইউনিয়নের সবুর জান, নাউতারা ইউনিয়নের আলেয়াসহ অন্তত ৫০ জন ভাতাভোগী জানান, তাঁদের টাকা পাঠানো হয়েছে ভুল নম্বরে।
ডালিমন নেছার ছেলে পাষান আলী বলেন, ‘এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি। মোবাইলে কয়েক দফা টাকা উত্তোলনের পর একই মানুষের ভাতার টাকা ভুল নম্বরে যায় কীভাবে।’
সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ২৩০। এর মধ্যে বয়স্ক ১২ হাজার ১৮৫, প্রতিবন্ধী ৬ হাজার ৪৭ এবং বিধবা ভাতাধারী ৭ হাজার ৮৯৮ জন। আগে সুবিধাভোগীরা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তিন মাস পরপর ভাতার টাকা পেতেন। পরে ব্যাংক হিসাবের পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ টাকা দেওয়ার সুবিধা চালু করে সরকার। এ জন্য প্রত্যেক ভাতাভোগীর মোবাইল হিসাব নম্বর সংগ্রহ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
অভিযোগ উঠেছে, ওই ভাতাভোগীদের অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসার পর তালিকায় নাম থাকা অনেক ভাতাভোগী ভাতা পায়নি। অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। অনেকের মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ জন্য ভুক্তভোগীরা দায়ী করছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মোবাইল ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষকে।
তাদের ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে মোবাইল নম্বরে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে সমাজসেবা কার্যালয়ে খোঁজ নিলে তারা বলেন, ‘আপনার ভাতার টাকা ভুল নম্বরে গিয়েছে বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে সমাজসেবা অফিসে এসে মোবাইল নম্বর ঠিক করে গেলেও টাকা গেছে অন্য মোবাইলে। আবার বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করলেও আগের টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ছাড়া নতুন ভাতা ভোগীদের অনেকেই টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ব্যক্তির তালিকায় নাম উঠলেও টাকা চলে যাচ্ছে ভুল অ্যাকাউন্টে।
পচারহাট গ্রামের জামিলা বেগম বিধবা ভাতা কার্ড পেয়েছেন সাত মাস আগে। কিন্তু তিন মাস পর পর যে টাকা পাওয়ার কথা তাঁর তার মোবাইলে আসেনি।
জামিলা অভিযোগ করেন, অফিসে গিয়ে সঠিক মোবাইল নম্বর দিয়ে আসলেও তাঁর দুই দফার টাকা অন্য মোবাইলে চলে গেছে। জমিলার আফসোস সামনে ঈদ। এখন অবদি তিনি কোনো টাকা পাননি।
খালিশা চাপানি গ্রামের আবেদা বেগম ৭ বছর ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। তবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে (নগদ) টাকা বিতরণ শুরুর পর গত এক বছরে তিন দফায় টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
উত্তর ঝুনাগাছ চাপানী গ্রামের বাক্প্রতিবন্ধী কুলছুম বেগমও এক বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পাননি বলে অভিযোগ করে তার স্বজনরা। তাদের ভাষ্যমতে, তারা কোনো ফোন বা খুদে বার্তা পাননি। তারপরও পিন নম্বর পরিবর্তন করে নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুন্নাহার নুরীর মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নীলফামারী সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বরের পিন অনেক সময় হ্যাক হয়ে যায়। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেন না। হ্যাকাররা নম্বর হ্যাক করে অন্য মোবাইল দিয়ে টাকা তুলতে পারে।
তিনি জানান, কতজন ভাতাভোগীর টাকা অন্যের মোবাইলে গেছে বা টাকা পাচ্ছে না তাদের তথ্য ওই উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বামীর মৃত্যুর পর গত দুই বছর ধরে বিধবা ভাতা পেয়েছেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খতেজা বেগম। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে ভাতার টাকা পাচ্ছেন না তিনি। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, অন্য নম্বরে পাঠানো হয়েছে ভাতার টাকা। প্রতারণার মাধ্যমে তাঁর ভাতার তথ্যে অন্য ব্যক্তির মোবাইল নম্বর যোগ করা হয়েছে।
টাকা ফেরত পেতে সম্প্রতি ওই কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন খতেজা। ঈদের আগে টাকা না পাওয়ায় খতেজা এখন শুধুই কাঁদছেন।
খতেজা বলেন, ‘ভাতার টাকায় তাঁর চিকিৎসা খরচ চলত। কিন্তু টাকা না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে মানবেতর জীবন যাপন করছি। বাকিতে দোকান থেকে ওষুধ কিনেছি। সেই টাকাও পরিশোধ করতে পারছি না। দিনের পর দিন সমাজসেবা অফিসে ঘুরেও টাকা পাচ্ছি না।’
শুধু খতেজা নয়, তাঁর মতো উপজেলার অনেক ভাতাভোগী মোবাইল নম্বরের ভুলের কারণে ভাতা পাচ্ছেন না। ভাতা না পাওয়ায় ম্লান হয়েছে তাঁদের ঈদের স্বপ্ন।
সম্প্রতি টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন শতাধিক ভাতাভোগী। এর মধ্যে সমাজসেবা অফিস কিছু ভাতাভোগী অ্যাকাউন্ট ঠিক করে দিলেও বেশির ভাগ ভাতাভোগীই এখনো টাকা পায়নি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সমাজসেবা কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার গিয়েও কোনো সমাধান হচ্ছে না। যে পরিমাণ ভাতা পাওয়ার কথা বিভিন্ন অফিসে ঘুরতে ঘুরতে তার দ্বিগুণ বেশি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাদের অভিযোগ, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জবাবদিহি এড়াতে বেশির ভাগ সময়ে তাঁর কার্যালয়েই থাকেন না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে নুরুন্নাহার নুরী চার বছর আগে এ উপজেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি সকাল ১১টার পরে অফিসে আসেন। আর বেলা ৩টা বাজতে না বাজতেই চলে যান।
উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের রজব আলী ব্যাংক থেকে তাঁর বয়স্ক ভাতার টাকা তুলেছেন বেশ কয়েকবার। পরে তিনি সমাজসেবা কার্যালয়ে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দেন। তবে ভাতার টাকা মোবাইলের মাধ্যমে দেওয়া শুরু হতেই তৈরি হয় জটিলতা। গত চার বছরে তিনি কোনো ভাতা পাননি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর ভাতার সব টাকা চলে গেছে অন্য নম্বরে।
রজব আলী বলেন, ‘ভাতার টাকা কোথায় যাচ্ছে, কেন পাচ্ছি না, তা জানতে সমাজসেবা অফিসে চার বছর ঘুরছি। কারও কাছ থেকে সঠিক জবাব পাইনি। সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দিলে তিন মাসের ভাতার টাকা পেয়েছি। তবে আগের টাকার কোনো হদিস পাইনি।’
একই সমস্যার কারণে প্রায় ৩০ মাস সরকারি ভাতা বঞ্চিত বালাপাড়া ইউনিয়নের সিরাজুল হক ও ঝুনাগাছ চাপানির আলেমা বেওয়া। তাঁরা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবা কার্যালয়ে গেলে শুধু আশ্বাস দেয়, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ঠিক আর হয়নি।
নাউতারা ইউনিয়নের নিরদা বালার ছেলে সরেস চন্দ্র জানান, তাঁর মা ৪ বছর ধরে বিধবা ভাতার আওতাভুক্ত। আগে নিয়মিত ভাতা পেলেও শেষ দুই বছরে কোনো টাকা পাননি।
বালাপাড়া ইউনিয়নের ডালিমন নেছা, রাশেদা বেগম, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের মনিজা বেগম, কুলছুম বেগম, ছাতনাই ইউনিয়নের সবুর জান, নাউতারা ইউনিয়নের আলেয়াসহ অন্তত ৫০ জন ভাতাভোগী জানান, তাঁদের টাকা পাঠানো হয়েছে ভুল নম্বরে।
ডালিমন নেছার ছেলে পাষান আলী বলেন, ‘এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি। মোবাইলে কয়েক দফা টাকা উত্তোলনের পর একই মানুষের ভাতার টাকা ভুল নম্বরে যায় কীভাবে।’
সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ২৩০। এর মধ্যে বয়স্ক ১২ হাজার ১৮৫, প্রতিবন্ধী ৬ হাজার ৪৭ এবং বিধবা ভাতাধারী ৭ হাজার ৮৯৮ জন। আগে সুবিধাভোগীরা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তিন মাস পরপর ভাতার টাকা পেতেন। পরে ব্যাংক হিসাবের পরিবর্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ টাকা দেওয়ার সুবিধা চালু করে সরকার। এ জন্য প্রত্যেক ভাতাভোগীর মোবাইল হিসাব নম্বর সংগ্রহ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
অভিযোগ উঠেছে, ওই ভাতাভোগীদের অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসার পর তালিকায় নাম থাকা অনেক ভাতাভোগী ভাতা পায়নি। অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। অনেকের মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ জন্য ভুক্তভোগীরা দায়ী করছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও মোবাইল ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষকে।
তাদের ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে মোবাইল নম্বরে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে সমাজসেবা কার্যালয়ে খোঁজ নিলে তারা বলেন, ‘আপনার ভাতার টাকা ভুল নম্বরে গিয়েছে বা অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে সমাজসেবা অফিসে এসে মোবাইল নম্বর ঠিক করে গেলেও টাকা গেছে অন্য মোবাইলে। আবার বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করলেও আগের টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ছাড়া নতুন ভাতা ভোগীদের অনেকেই টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ব্যক্তির তালিকায় নাম উঠলেও টাকা চলে যাচ্ছে ভুল অ্যাকাউন্টে।
পচারহাট গ্রামের জামিলা বেগম বিধবা ভাতা কার্ড পেয়েছেন সাত মাস আগে। কিন্তু তিন মাস পর পর যে টাকা পাওয়ার কথা তাঁর তার মোবাইলে আসেনি।
জামিলা অভিযোগ করেন, অফিসে গিয়ে সঠিক মোবাইল নম্বর দিয়ে আসলেও তাঁর দুই দফার টাকা অন্য মোবাইলে চলে গেছে। জমিলার আফসোস সামনে ঈদ। এখন অবদি তিনি কোনো টাকা পাননি।
খালিশা চাপানি গ্রামের আবেদা বেগম ৭ বছর ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। তবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে (নগদ) টাকা বিতরণ শুরুর পর গত এক বছরে তিন দফায় টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
উত্তর ঝুনাগাছ চাপানী গ্রামের বাক্প্রতিবন্ধী কুলছুম বেগমও এক বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পাননি বলে অভিযোগ করে তার স্বজনরা। তাদের ভাষ্যমতে, তারা কোনো ফোন বা খুদে বার্তা পাননি। তারপরও পিন নম্বর পরিবর্তন করে নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুন্নাহার নুরীর মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নীলফামারী সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বরের পিন অনেক সময় হ্যাক হয়ে যায়। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেন না। হ্যাকাররা নম্বর হ্যাক করে অন্য মোবাইল দিয়ে টাকা তুলতে পারে।
তিনি জানান, কতজন ভাতাভোগীর টাকা অন্যের মোবাইলে গেছে বা টাকা পাচ্ছে না তাদের তথ্য ওই উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
১ মিনিট আগেযশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে