গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে টিকিট পাচ্ছেন না গাইবান্ধার যাত্রীরা। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফেরার সময় বিড়ম্বনায় পড়ছেন কর্মজীবীরা। টিকিটের জন্য বাস টার্মিনাল ও রেলওয়ের কাউন্টারগুলোতে ছোটাছুটি করছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, এসব টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে গেছে। কালোবাজারিদের বাড়তি টাকা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত টিকিট। টিকিট নেই, টিকিট আছে— এমন নাটকে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে যাত্রীদের মধ্য। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে ফেরা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, ঈদে সব যাত্রীরা একবারে কর্মস্থলে ফেরার কারণে এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গাইবান্ধা বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা যায়, টিকিটের জন্য যাত্রীরা কাউন্টারে যাচ্ছেন। কাউন্টারে দায়িত্বরতরা সাফ বলে দিচ্ছেন, কোনো টিকিট নেই, বিক্রি শেষ। অনেক কাউন্টারে পরিচিত মুখ দেখে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আবার কাউন্টারের বাইরে বেশি দাম দিলেই টিকিট মিলছে।
ঢাকা ফিরতে সদর উপজেলার ঘাগোয়া থেকে গাইবান্ধা শহরে এসেছেন শহরে মজনু মিয়া। তিনি ঢাকার গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। আগামীকাল রোববার তাঁর ডিউটি। বেশ কয়েকটি গাড়ির কাউন্টারে টিকিটের জন্য ঘুরে টিকিট পাননি। শেষমেশ ৬৫০ টাকার টিকিট তিনি বাইরে ১৪০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
তিনি বলেন, ‘কাউন্টারে গিয়ে টিকিটের কথা বললেই বলে, শেষ হয়ে গেছে। কথা বলার সময় নাই, এই কথা বলে দেয়। আমি সারা দিন ৭-৮টা গাড়ির কাউন্টারে গেছি। সবারই একই কথা। পরে এক কাউন্টারে লোক বাইরে এসে আমাকে বলেন, ‘‘মানুষের উপকার করাও তো মুশকিল। আমার কাছে একটি টিকিট আছে, সহজ ডটকম থেকে কিনছি। এই টিকিটের একদাম পড়বে ১৪০০ টাকা।’’ কর্মে তো যেতে হবে, তাই টিকিটটি নিলাম।’
আরেক যাত্রী সুরুজ্জামান বলেন, ‘এক কাউন্টারে আমার সামনেই ড্রয়ারের মধ্য থেকে টিকিট বের করে বিক্রি করছে। আমি টিকিট চাইতেই কাউন্টারের লোক বলল, ‘‘পঁচিশ তারিখের পরের টিকিট লাগলে বলেন, দেওয়া যাবে।’’ আমার দরকার ২৩ তারিখের টিকিট। আর কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে পঁচিশ তারিখের টিকিট। কি আর বলব? বলার ভাষা নেই। সাধারণ মানুষের ওপর সবাই নির্যাতন করে।’
বিকেল ৪টার দিকে ঢাকামুখী বাস টার্মিনালে তিন সন্তান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন পোশাককর্মী সুমনা বেগম। ৪টি টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরেছেন বিভিন্ন কাউন্টারে। কিন্তু কোনো টিকিট পাননি। টার্মিনালের গাড়ি যাতায়াতের প্রবেশ মুখে দাঁড়িয়ে আছে। যে গাড়িই টার্মিনাল থেকে বের হচ্ছে সেই গাড়ির সুপারভাইজার বলেছেন, চারজন মানুষ চান্দ্রা নিয়ে যাবেন। কিন্তু কোনো গাড়ির সুপারভাইজার তার কথায় সাড়া দিতে দেখা যায় নেই।
একটি সূত্রে জানা গেছে, বাসের টিকিটের মতো ট্রেনের টিকিটও কালোবাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনের যাত্রীরা বলছেন, টিকিট নিয়ে সব জায়গাতেই এমন অবৈধ বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। অথচ এ বিষয়ে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের (১০৭) সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বাদশা দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদে গাইবান্ধায় যাত্রীর তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অর্ধেক। তাই যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বলতে ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে রেগুলার ভাড়ার চেয়ে অনেকেই বিভিন্নভাবে একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। এটা ঈদের সময় ধরা যাবে না।’
গাইবান্ধা ষ্ট্রেশন ম্যানেজার আবুল কাশেম বলেন, ‘ষ্ট্রেশনে টিকিট নিয়ে কোনো অনিয়ম হয় না। তবে টিকিট অনলাইন থেকে কেটে বাইরে বিক্রি করলে এর দায় আমরা নেব না।’
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে টিকিট পাচ্ছেন না গাইবান্ধার যাত্রীরা। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলে ফেরার সময় বিড়ম্বনায় পড়ছেন কর্মজীবীরা। টিকিটের জন্য বাস টার্মিনাল ও রেলওয়ের কাউন্টারগুলোতে ছোটাছুটি করছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, এসব টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে গেছে। কালোবাজারিদের বাড়তি টাকা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত টিকিট। টিকিট নেই, টিকিট আছে— এমন নাটকে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে যাত্রীদের মধ্য। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে ফেরা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দাবি, ঈদে সব যাত্রীরা একবারে কর্মস্থলে ফেরার কারণে এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গাইবান্ধা বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা যায়, টিকিটের জন্য যাত্রীরা কাউন্টারে যাচ্ছেন। কাউন্টারে দায়িত্বরতরা সাফ বলে দিচ্ছেন, কোনো টিকিট নেই, বিক্রি শেষ। অনেক কাউন্টারে পরিচিত মুখ দেখে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আবার কাউন্টারের বাইরে বেশি দাম দিলেই টিকিট মিলছে।
ঢাকা ফিরতে সদর উপজেলার ঘাগোয়া থেকে গাইবান্ধা শহরে এসেছেন শহরে মজনু মিয়া। তিনি ঢাকার গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। আগামীকাল রোববার তাঁর ডিউটি। বেশ কয়েকটি গাড়ির কাউন্টারে টিকিটের জন্য ঘুরে টিকিট পাননি। শেষমেশ ৬৫০ টাকার টিকিট তিনি বাইরে ১৪০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
তিনি বলেন, ‘কাউন্টারে গিয়ে টিকিটের কথা বললেই বলে, শেষ হয়ে গেছে। কথা বলার সময় নাই, এই কথা বলে দেয়। আমি সারা দিন ৭-৮টা গাড়ির কাউন্টারে গেছি। সবারই একই কথা। পরে এক কাউন্টারে লোক বাইরে এসে আমাকে বলেন, ‘‘মানুষের উপকার করাও তো মুশকিল। আমার কাছে একটি টিকিট আছে, সহজ ডটকম থেকে কিনছি। এই টিকিটের একদাম পড়বে ১৪০০ টাকা।’’ কর্মে তো যেতে হবে, তাই টিকিটটি নিলাম।’
আরেক যাত্রী সুরুজ্জামান বলেন, ‘এক কাউন্টারে আমার সামনেই ড্রয়ারের মধ্য থেকে টিকিট বের করে বিক্রি করছে। আমি টিকিট চাইতেই কাউন্টারের লোক বলল, ‘‘পঁচিশ তারিখের পরের টিকিট লাগলে বলেন, দেওয়া যাবে।’’ আমার দরকার ২৩ তারিখের টিকিট। আর কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে পঁচিশ তারিখের টিকিট। কি আর বলব? বলার ভাষা নেই। সাধারণ মানুষের ওপর সবাই নির্যাতন করে।’
বিকেল ৪টার দিকে ঢাকামুখী বাস টার্মিনালে তিন সন্তান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন পোশাককর্মী সুমনা বেগম। ৪টি টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘুরেছেন বিভিন্ন কাউন্টারে। কিন্তু কোনো টিকিট পাননি। টার্মিনালের গাড়ি যাতায়াতের প্রবেশ মুখে দাঁড়িয়ে আছে। যে গাড়িই টার্মিনাল থেকে বের হচ্ছে সেই গাড়ির সুপারভাইজার বলেছেন, চারজন মানুষ চান্দ্রা নিয়ে যাবেন। কিন্তু কোনো গাড়ির সুপারভাইজার তার কথায় সাড়া দিতে দেখা যায় নেই।
একটি সূত্রে জানা গেছে, বাসের টিকিটের মতো ট্রেনের টিকিটও কালোবাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনের যাত্রীরা বলছেন, টিকিট নিয়ে সব জায়গাতেই এমন অবৈধ বাণিজ্যের মহোৎসব চলছে। অথচ এ বিষয়ে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের (১০৭) সভাপতি মো. আশরাফুল আলম বাদশা দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদে গাইবান্ধায় যাত্রীর তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অর্ধেক। তাই যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। কালোবাজারে টিকিট বিক্রি বলতে ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে রেগুলার ভাড়ার চেয়ে অনেকেই বিভিন্নভাবে একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছেন। এটা ঈদের সময় ধরা যাবে না।’
গাইবান্ধা ষ্ট্রেশন ম্যানেজার আবুল কাশেম বলেন, ‘ষ্ট্রেশনে টিকিট নিয়ে কোনো অনিয়ম হয় না। তবে টিকিট অনলাইন থেকে কেটে বাইরে বিক্রি করলে এর দায় আমরা নেব না।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে