আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম শহরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন ষাটোর্ধ্ব ওয়াহেদ। উচ্চমূল্যের কারণে সর্বশেষ কবে গরুর মাংস কিনে খেয়েছেন তা স্মরণ করতে পারেন না। সাধ্যের মধ্যে থাকায় মাঝে মধ্যে ব্রয়লার মুরগি কিনে মাংস খাওয়ার সাধ মেটান। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন সেই ব্রয়লার মুরগিও তাঁর ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
আজ রোববার দুপুরে শহরের জিয়া বাজার এলাকায় কথা হয় রিকশা চালক ওয়াহেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কামাই তো (উপার্জন) বাড়ে নাই। সউগ জিনিসের দাম বাড়ছে। কিনবার পাই না জন্যে গরুর গোশত খাওয়া বাদ দিছি। ঈদত (কোরবানি ঈদ) মাইষে না দিলে ভাগ্যে জোটে না। ব্রয়লারের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে হামার মতো গরিব মাইনষক গোশত খাওয়া বাদ দেওয়া লাগবে।’
কথা হয় আরেক রিকশাচালক মজনু মিয়ার (৬৫) সঙ্গে। এখনো প্যাডেল ঘুরিয়ে রিকশা চালানো এই বৃদ্ধ বেলা পৌনে তিনটা পর্যন্ত আয় করতে পেরেছেন মাত্র ত্রিশ টাকা। সংসারের খরচ মেটানো নিয়ে দিশেহারা মজনু মিয়া পৌর শহরের পেশকার পাড়ায় বসবাস করেন। উপার্জন ও বাজার মূল্য নিয়ে মজনু মিয়া বলেন, ‘সবজি কিনতে ধইন সইন। গোশত কী দিয়া কিনমো। কোনো রকম খায়া পড়ি বাঁচি আছি।’
ক্রমবর্ধমান দ্রব্য মূল্যের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে অন্য প্রজাতির মুরগি ও গরুর মাংসের দামও। পিছিয়ে নেই কাঁচা মরিচ ও রসুন। কুড়িগ্রাম শহরের বাজারগুলোতে ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম পৌর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী ঈমান আলী ও এরশাদ বলেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। লেয়ার ও দেশি মুরগির দাম কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেড়ে যথাক্রমে ২৮০-৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই হারে বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম এবার অস্বাভাবিক বেড়েছে।
ঈমান আলী বলেন, ‘এবার ব্রয়লার মুরগির দাম খুব বেশি বেড়েছে। সরবরাহ সংকট ও ফিডের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
তবে ব্যবসায়ীদের এই তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন উলিপুরের এক পোলট্রি খামারি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই খামারি বলেন, ‘আমি এই লাইনে নতুন। মুরগির দাম কেন বাড়ল তা আমার জানা নেই। দাম বাড়ার পেছনে কারা তাও জানি না। গত এক মাসে ফিডের (খাবারের) দাম বাড়েনি কিন্তু খামার পর্যায়ে হঠাৎ মুরগির দাম বেড়েছে। এতে অবশ্য খামারিরা এবার লাভবান হচ্ছেন।’
‘গত মাসে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকা। একই খরচে এক মাস পর এই মুরগি গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ২৫৫ টাকা কেজি। বাজার এটাই চলছে তাই আমিও এই দামে বিক্রি করছি।’
মুরগির দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। কুড়িগ্রাম শহরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৬০ টাকা এবং খাসি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। দাম বাড়ার পেছনে গরু ও ছাগলের সরবরাহ সংকটের কথা বলছেন মাংস বিক্রেতারা।
মাংসের বাজার চড়া হলেও সবজির দামে কিছুটা স্বস্তিতে আছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে আলু ও শীতকালীন সবজির দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতারা হাফ ছাড়ছেন। তবে কাঁচা মরিচ ও রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ক্রেতাদের সেই হাফ ক্ষণিকেই মিলিয়ে যাচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, খুচরা পর্যায়ে ১৩০ টাকা।
শহরের জিয়া বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মমিন বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে রসুন ছিল প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা। বর্তমানে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।
একই বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মুয়াজ বলেন, রসুনের দাম বেড়ে প্রতি কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
কুড়িগ্রাম শহরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন ষাটোর্ধ্ব ওয়াহেদ। উচ্চমূল্যের কারণে সর্বশেষ কবে গরুর মাংস কিনে খেয়েছেন তা স্মরণ করতে পারেন না। সাধ্যের মধ্যে থাকায় মাঝে মধ্যে ব্রয়লার মুরগি কিনে মাংস খাওয়ার সাধ মেটান। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন সেই ব্রয়লার মুরগিও তাঁর ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
আজ রোববার দুপুরে শহরের জিয়া বাজার এলাকায় কথা হয় রিকশা চালক ওয়াহেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কামাই তো (উপার্জন) বাড়ে নাই। সউগ জিনিসের দাম বাড়ছে। কিনবার পাই না জন্যে গরুর গোশত খাওয়া বাদ দিছি। ঈদত (কোরবানি ঈদ) মাইষে না দিলে ভাগ্যে জোটে না। ব্রয়লারের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে হামার মতো গরিব মাইনষক গোশত খাওয়া বাদ দেওয়া লাগবে।’
কথা হয় আরেক রিকশাচালক মজনু মিয়ার (৬৫) সঙ্গে। এখনো প্যাডেল ঘুরিয়ে রিকশা চালানো এই বৃদ্ধ বেলা পৌনে তিনটা পর্যন্ত আয় করতে পেরেছেন মাত্র ত্রিশ টাকা। সংসারের খরচ মেটানো নিয়ে দিশেহারা মজনু মিয়া পৌর শহরের পেশকার পাড়ায় বসবাস করেন। উপার্জন ও বাজার মূল্য নিয়ে মজনু মিয়া বলেন, ‘সবজি কিনতে ধইন সইন। গোশত কী দিয়া কিনমো। কোনো রকম খায়া পড়ি বাঁচি আছি।’
ক্রমবর্ধমান দ্রব্য মূল্যের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০-৬০ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে অন্য প্রজাতির মুরগি ও গরুর মাংসের দামও। পিছিয়ে নেই কাঁচা মরিচ ও রসুন। কুড়িগ্রাম শহরের বাজারগুলোতে ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম পৌর বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী ঈমান আলী ও এরশাদ বলেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। লেয়ার ও দেশি মুরগির দাম কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেড়ে যথাক্রমে ২৮০-৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই হারে বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম এবার অস্বাভাবিক বেড়েছে।
ঈমান আলী বলেন, ‘এবার ব্রয়লার মুরগির দাম খুব বেশি বেড়েছে। সরবরাহ সংকট ও ফিডের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
তবে ব্যবসায়ীদের এই তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন উলিপুরের এক পোলট্রি খামারি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই খামারি বলেন, ‘আমি এই লাইনে নতুন। মুরগির দাম কেন বাড়ল তা আমার জানা নেই। দাম বাড়ার পেছনে কারা তাও জানি না। গত এক মাসে ফিডের (খাবারের) দাম বাড়েনি কিন্তু খামার পর্যায়ে হঠাৎ মুরগির দাম বেড়েছে। এতে অবশ্য খামারিরা এবার লাভবান হচ্ছেন।’
‘গত মাসে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকা। একই খরচে এক মাস পর এই মুরগি গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ২৫৫ টাকা কেজি। বাজার এটাই চলছে তাই আমিও এই দামে বিক্রি করছি।’
মুরগির দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। কুড়িগ্রাম শহরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৬০ টাকা এবং খাসি প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। দাম বাড়ার পেছনে গরু ও ছাগলের সরবরাহ সংকটের কথা বলছেন মাংস বিক্রেতারা।
মাংসের বাজার চড়া হলেও সবজির দামে কিছুটা স্বস্তিতে আছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে আলু ও শীতকালীন সবজির দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতারা হাফ ছাড়ছেন। তবে কাঁচা মরিচ ও রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ক্রেতাদের সেই হাফ ক্ষণিকেই মিলিয়ে যাচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকা, খুচরা পর্যায়ে ১৩০ টাকা।
শহরের জিয়া বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মমিন বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে রসুন ছিল প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা। বর্তমানে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।
একই বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মুয়াজ বলেন, রসুনের দাম বেড়ে প্রতি কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
শেরপুরের নকলায় পরিত্যক্ত একটি ডোবা থেকে এক দরজির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গৌড়দ্বার ইউনিয়নের রুণীগাঁও মধ্যপাড়া গ্রামের এক ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মুখ ও গলায় একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
৬ মিনিট আগেরাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেপ্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
২৭ মিনিট আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস উৎসবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে ভরপুর কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রাঙ্গণসহ কুয়াকাটার আশপাশ।
১ ঘণ্টা আগে