শিপুল ইসলাম, রংপুর ও আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে রংপুরের মিঠাপুকুরের মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে সাত পদে নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে দিয়েছেন কলেজের দাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আখেরুজ্জামান। এর আগে ৬ মে ওইসব নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলে আখেরুজ্জামান মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তবে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ মুশফিকুর। কার্যালয়ে অভিযোগ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমিন।
মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ‘২০২১ সালে করোনার সময়ে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেন মুশফিকুর। এরপর তিনি রেজিস্ট্রেশন ফি, পরীক্ষার ফিসহ কলেজের বিভিন্ন আয়ের টাকা আত্মসাৎ করেন।’ নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা অধ্যক্ষ তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন আখেরুজ্জামান।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ওই কলেজে ল্যাব সহকারী পদে ৪ জন, অফিস সহকারী পদে ২ জন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ১ জনকে নিয়োগ দিতে গত বছরের ২২ নভেম্বর দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই সাতটি পদের বিপরীতে শতাধিক আবেদন পড়ে। ২৭ জানুয়ারি সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষার আগেই নিয়োগ নিয়ে দর–কষাকষির কারণে অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেননি।
কলেজের দাতা সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আখেরুজ্জামান বলেন, ‘ল্যাব সহকারী প্রতিটি পদে ১৫ লাখ এবং অন্য তিন পদে ১০ লাখ করে টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ মুশফিকুর। এই টাকার মধ্য থেকে পরবর্তীতে তিনি তাঁর স্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্য আফরোজা বেগমের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছেন। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে ঋণ শোধ করার এত টাকা তিনি কোথায় পেলেন?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ‘যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের অনেকেই নিয়োগ পাওয়ার আগে বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করেছেন। বিভিন্নভাবে শুনেছি সাতটি নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। কিন্তু এই টাকা গেল কোথায়? আমরা তো কোনো টাকা পাইলাম না। কলেজেরও তো উন্নয়ন হলো না। বিষয়টির সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের আরেক শিক্ষক বলেন, ‘ওই সাতটি পদে নিয়োগে অধ্যক্ষ বাণিজ্য করেছেন একজন জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে। এ কারণে নিয়োগের পর কলেজের সভাপতিও নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে প্রথম দিকে মুখ খুলেছিলেন। পরে তাঁর মুখ বন্ধ করা হয়।’
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রানু বলেন, ‘ওই নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কিছু জানার থাকলে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমি নিয়োগে কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। বিধি অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সাত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভাই, এ নিয়ে পত্রিকায় লেখার দরকার নাই। কোথায় আছেন, দেখা হবে।’
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ‘ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারী আখেরুজ্জামানকে আমার দপ্তরে ডেকেছিলাম। তাঁর কাছ থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পেলে তদন্তে নামা হবে।’
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে রংপুরের মিঠাপুকুরের মির্জাপুর বছির উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে সাত পদে নিয়োগ দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে দিয়েছেন কলেজের দাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আখেরুজ্জামান। এর আগে ৬ মে ওইসব নিয়োগ বাতিলের দাবি তুলে আখেরুজ্জামান মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তবে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ মুশফিকুর। কার্যালয়ে অভিযোগ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. রুহুল আমিন।
মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ‘২০২১ সালে করোনার সময়ে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেন মুশফিকুর। এরপর তিনি রেজিস্ট্রেশন ফি, পরীক্ষার ফিসহ কলেজের বিভিন্ন আয়ের টাকা আত্মসাৎ করেন।’ নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা অধ্যক্ষ তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন আখেরুজ্জামান।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ওই কলেজে ল্যাব সহকারী পদে ৪ জন, অফিস সহকারী পদে ২ জন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ১ জনকে নিয়োগ দিতে গত বছরের ২২ নভেম্বর দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই সাতটি পদের বিপরীতে শতাধিক আবেদন পড়ে। ২৭ জানুয়ারি সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষার আগেই নিয়োগ নিয়ে দর–কষাকষির কারণে অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেননি।
কলেজের দাতা সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আখেরুজ্জামান বলেন, ‘ল্যাব সহকারী প্রতিটি পদে ১৫ লাখ এবং অন্য তিন পদে ১০ লাখ করে টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্যক্ষ মুশফিকুর। এই টাকার মধ্য থেকে পরবর্তীতে তিনি তাঁর স্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্য আফরোজা বেগমের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছেন। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে ঋণ শোধ করার এত টাকা তিনি কোথায় পেলেন?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ‘যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের অনেকেই নিয়োগ পাওয়ার আগে বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করেছেন। বিভিন্নভাবে শুনেছি সাতটি নিয়োগে কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। কিন্তু এই টাকা গেল কোথায়? আমরা তো কোনো টাকা পাইলাম না। কলেজেরও তো উন্নয়ন হলো না। বিষয়টির সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের আরেক শিক্ষক বলেন, ‘ওই সাতটি পদে নিয়োগে অধ্যক্ষ বাণিজ্য করেছেন একজন জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে। এ কারণে নিয়োগের পর কলেজের সভাপতিও নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে প্রথম দিকে মুখ খুলেছিলেন। পরে তাঁর মুখ বন্ধ করা হয়।’
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রানু বলেন, ‘ওই নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কিছু জানার থাকলে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তিনিই ভালো বলতে পারবেন।’
কলেজের অধ্যক্ষ মুশফিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমি নিয়োগে কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। বিধি অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সাত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ভাই, এ নিয়ে পত্রিকায় লেখার দরকার নাই। কোথায় আছেন, দেখা হবে।’
ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ‘ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারী আখেরুজ্জামানকে আমার দপ্তরে ডেকেছিলাম। তাঁর কাছ থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পেলে তদন্তে নামা হবে।’
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১১ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
১ ঘণ্টা আগে