নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে জমি দখলের জন্য বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. আওয়াল (৫২) নামের এক ব্যক্তি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। আমার বাড়ি পোড়াল কেন?’
আজ শুক্রবার সকালে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আওয়ালের বাড়ি নগরের লক্ষ্মীপুর টিবি রোড এলাকায়। পেশায় তিনি মুদি দোকানি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এলাকার কিছু ব্যক্তি আওয়ালের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির সঙ্গে থাকা আওয়ালের মুদি দোকান, তাঁর ছেলে লিমনের ফলের দোকান এবং ভাই বুলবুলের চায়ের দোকানও ভাঙচুর করা হয়। দোকানের সব মালামাল লুট করে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়াল অভিযোগ করেন, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ফিরোজ (৩০), আলামিন (৩৫), লিটনসহ (৪৫) ১০-১২ জন এই হামলা চালিয়েছেন। আওয়াল দাবি করেন, বদিউজ্জামান বদি নামের এক ব্যক্তি তাঁকে উচ্ছেদ করতে এসব করাচ্ছেন। তিনি আওয়ালের জমি দখল করতে চান। আওয়াল বলেন, বদি পর পর তিনবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ভোট করেন এবং প্রতিবারই পরাজিত হন। ভোটের সময় বদির পক্ষে কাজ না করায় এখন এই নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এখন ভাঙা বাড়িতে কোনোরকমে তাঁরা আছেন। ছাদ ভেঙে দেওয়ায় বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আওয়ালের দাদা আমির শেখ এলাকায় ছয় কাঠা জমি কিনেছিলেন। এর মধ্যে ৩ কাঠা জমিতে ১৯৫৯ সাল থেকে তারা বসবাস করছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরদিন বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ড্রেজার দিয়ে। এ নিয়ে আওয়াল নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করতে যান। তবে পুলিশের পরামর্শে তিনি আদালতে মামলা করেন।
আওয়াল বলেন, মামলা করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা ১৫ সেপ্টেম্বর আবারও হামলা চালায়। সেদিন কাজল (৪৮), মলি (৩৫), বদি (৫১), টুটুল (৩৬), বাঁধন (২৮), রিংকু (৩৫), ফিরোজ (৩০), মিম (২৮), আলামিন (৩৫) ও আনন্দসহ (২০) ২৫-৩০ জন আবারও হামলা চালায়। এ দিন আওয়ালের ছোট ভাই বুলবুলের বাড়ির সঙ্গে থাকা চায়ের দোকান ভাঙচুর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। একপর্যায়ে ঘরে ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
আওয়াল আরও বলেন, ‘এগুলো করেই সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হয়নি। তারা পরে আমাদের তিন ভাইসহ পরিবারের প্রায় সব সদস্যের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মিথ্যা মামলা করা হয়। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আসামিরা আমাদের বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় বৃদ্ধ মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি।’
আওয়াল তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। পাশাপাশি যারা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন তাদের শাস্তির দাবি জানান। এ ছাড়া নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাও দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ালের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বদিউজ্জামান বদি বলেন, ‘ওরা সরকারি জায়গা দখল করে আছে। স্থানীয়রা বলেছে, দোকানগুলো ভেঙে নিয়ে তারা যেন রাস্তাটা ক্লিয়ার করে রাখে। এত দূর জানি। কেউ হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করেছে বলে শুনিনি। আর এগুলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা কেন আমার নাম জড়িয়েছে সেটাই বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি থানায় যোগ দিয়েছি ১৮ সেপ্টেম্বর। এর আগের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে। কেউ ভুক্তভোগী হলে তাঁকে অবশ্যই আইনগত সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
রাজশাহীতে জমি দখলের জন্য বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. আওয়াল (৫২) নামের এক ব্যক্তি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। আমার বাড়ি পোড়াল কেন?’
আজ শুক্রবার সকালে নগরের একটি রেস্তোরাঁয় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আওয়ালের বাড়ি নগরের লক্ষ্মীপুর টিবি রোড এলাকায়। পেশায় তিনি মুদি দোকানি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এলাকার কিছু ব্যক্তি আওয়ালের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির সঙ্গে থাকা আওয়ালের মুদি দোকান, তাঁর ছেলে লিমনের ফলের দোকান এবং ভাই বুলবুলের চায়ের দোকানও ভাঙচুর করা হয়। দোকানের সব মালামাল লুট করে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়াল অভিযোগ করেন, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ফিরোজ (৩০), আলামিন (৩৫), লিটনসহ (৪৫) ১০-১২ জন এই হামলা চালিয়েছেন। আওয়াল দাবি করেন, বদিউজ্জামান বদি নামের এক ব্যক্তি তাঁকে উচ্ছেদ করতে এসব করাচ্ছেন। তিনি আওয়ালের জমি দখল করতে চান। আওয়াল বলেন, বদি পর পর তিনবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ভোট করেন এবং প্রতিবারই পরাজিত হন। ভোটের সময় বদির পক্ষে কাজ না করায় এখন এই নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এখন ভাঙা বাড়িতে কোনোরকমে তাঁরা আছেন। ছাদ ভেঙে দেওয়ায় বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আওয়ালের দাদা আমির শেখ এলাকায় ছয় কাঠা জমি কিনেছিলেন। এর মধ্যে ৩ কাঠা জমিতে ১৯৫৯ সাল থেকে তারা বসবাস করছেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরদিন বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ড্রেজার দিয়ে। এ নিয়ে আওয়াল নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করতে যান। তবে পুলিশের পরামর্শে তিনি আদালতে মামলা করেন।
আওয়াল বলেন, মামলা করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা ১৫ সেপ্টেম্বর আবারও হামলা চালায়। সেদিন কাজল (৪৮), মলি (৩৫), বদি (৫১), টুটুল (৩৬), বাঁধন (২৮), রিংকু (৩৫), ফিরোজ (৩০), মিম (২৮), আলামিন (৩৫) ও আনন্দসহ (২০) ২৫-৩০ জন আবারও হামলা চালায়। এ দিন আওয়ালের ছোট ভাই বুলবুলের বাড়ির সঙ্গে থাকা চায়ের দোকান ভাঙচুর করা হয়। বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়। একপর্যায়ে ঘরে ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
আওয়াল আরও বলেন, ‘এগুলো করেই সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হয়নি। তারা পরে আমাদের তিন ভাইসহ পরিবারের প্রায় সব সদস্যের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মিথ্যা মামলা করা হয়। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আসামিরা আমাদের বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় বৃদ্ধ মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি।’
আওয়াল তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। পাশাপাশি যারা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছেন তাদের শাস্তির দাবি জানান। এ ছাড়া নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাও দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ালের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বদিউজ্জামান বদি বলেন, ‘ওরা সরকারি জায়গা দখল করে আছে। স্থানীয়রা বলেছে, দোকানগুলো ভেঙে নিয়ে তারা যেন রাস্তাটা ক্লিয়ার করে রাখে। এত দূর জানি। কেউ হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করেছে বলে শুনিনি। আর এগুলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা কেন আমার নাম জড়িয়েছে সেটাই বুঝতে পারছি না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি থানায় যোগ দিয়েছি ১৮ সেপ্টেম্বর। এর আগের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে। কেউ ভুক্তভোগী হলে তাঁকে অবশ্যই আইনগত সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে