বগুড়া প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
তবে এই দাবি ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে হিরো আলম পাঁচ-ছয় শর বেশি ভোট পেতেন না; বরং ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকে মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।
এদিকে বগুড়ায় এখন সর্বস্তরে আলোচনায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। কেউ বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের একাংশের ভোট পেয়েছেন হিরো আলম। আবার কেউ বলছেন, সাধারণ মানুষ ভালোবেসেই তাঁকে ভোট দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার এ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের অনেকে মনে করেন, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে হারানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দিয়ে জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
রিকশাচালক খোরশেদ, জুম্মান, রবিউল বিশ্বাস মনে করেন, সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে হিরো আলমকে ভোটে জিততে দেওয়া হয়নি। ফুটপাতে ফল বিক্রেতা করিম, আসালত, ছালাম ও আখের আলীর ধারণা, হিরো আলম পাস করলে সংসদে তাঁর পাশে বসতে এমপি-মন্ত্রীদের লজ্জা লাগবে। এ কারণে অনেক ভোট পাওয়ার পরও হিরো আলমকে জয়ী ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
হিরো আলমের পরাজয় মানতে পারছেন না অনেকেই। বগুড়া শহরের রাজাবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভোটের দিন কাহালু-নন্দীগ্রামে মানুষের মুখে যা শুনেছি, তাতে হিরো আলম নির্বাচিত হওয়ার কথা। আমার মনে হয়, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু ফল পাল্টে দিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছে।’
সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে সংসদকে হাস্যকর বানানোর উদ্দেশ্যেই হিরো আলমের মতো একজন জোকারকে তাঁরা গোপনে ভোট দিতে বলেছেন তাঁদের লোকজনকে। এ ছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে হিরো আলমের প্রতি আসক্তি থেকে কিছু তরুণ ভোটারও হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানে দাবি, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে, হিরো আলম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা মিডিয়ার কাছে এ কথা বলেছেন। বিএনপি-জামায়াতের শেখানো কথা বলছেন হিরো আলম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই হিরো আলমকে তাঁদের লোকজন ভোট দিয়েছে।’
কাহালু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ বলেন, ‘বিএনপির লোকজন ভোট দিলে ১৫ ভাগ ভোট পড়ত না। বিএনপি ভোটে গেলে হিরো আলমের ভোট পাঁচ-ছয় শর বেশি হতো না।’ তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সমাজের সেই অংশটি হিরো আলমকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের অবস্থান কোথায় তা দেখিয়েছে।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকেই মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ ভোটকেন্দ্রে যাননি। এই আসনে নৌকা প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেকেই হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
সাধারণ মানুষ হিরো আলমকে প্রতিবাদ হিসেবে ভোট দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে কাহালু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কলেজশিক্ষক মাকছুদার রহমান মাছুদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি, কথার সঙ্গে কাজের মিল না থাকা, ভোটে জেতার পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন কারণে তাঁদের প্রতি ক্ষোভ ও বিতৃষ্ণা জন্মেছে মানুষের মধ্যে। হিরো আলমকে ভোট দিয়ে তারা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র নেই, এটা স্বীকার করতে হবে। সাধারণ মানুষ থেকে তারা দূরে সরে গেছে। রাজনীতিবিদদের নিয়ে সাধারণ মানুষ একধরনের হতাশায় ভুগছে। সেই হতাশা থেকেই আবেগপ্রবণ বাঙালি হিরো আলমকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বগুড়া-৪ আসনে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। ভোট পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১টি। আর বগুড়া-৬ আসনে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম প্রার্থী হয়েছিলেন বগুড়া-৪ আসনে। সেবার তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৩২টি। কিন্তু এবার এত ভোট কীভাবে পেলেন হিরো আলম, এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মতে, জামায়াত-বিএনপির হাত রয়েছে হিরো আলমের ভোটের পেছনে।
জাতীয় সংসদকে হাস্যকর বানাতে সাধারণ মানুষকে হিরো আলমের পক্ষে ভোট দিতে বিএনপি-জামায়াত গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
তবে এই দাবি ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে হিরো আলম পাঁচ-ছয় শর বেশি ভোট পেতেন না; বরং ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকে মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।
এদিকে বগুড়ায় এখন সর্বস্তরে আলোচনায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। কেউ বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের একাংশের ভোট পেয়েছেন হিরো আলম। আবার কেউ বলছেন, সাধারণ মানুষ ভালোবেসেই তাঁকে ভোট দিয়েছেন।
আজ শুক্রবার এ নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের অনেকে মনে করেন, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু তাঁকে হারানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দিয়ে জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
রিকশাচালক খোরশেদ, জুম্মান, রবিউল বিশ্বাস মনে করেন, সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে হিরো আলমকে ভোটে জিততে দেওয়া হয়নি। ফুটপাতে ফল বিক্রেতা করিম, আসালত, ছালাম ও আখের আলীর ধারণা, হিরো আলম পাস করলে সংসদে তাঁর পাশে বসতে এমপি-মন্ত্রীদের লজ্জা লাগবে। এ কারণে অনেক ভোট পাওয়ার পরও হিরো আলমকে জয়ী ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
হিরো আলমের পরাজয় মানতে পারছেন না অনেকেই। বগুড়া শহরের রাজাবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘ভোটের দিন কাহালু-নন্দীগ্রামে মানুষের মুখে যা শুনেছি, তাতে হিরো আলম নির্বাচিত হওয়ার কথা। আমার মনে হয়, হিরো আলম পাস করেছিলেন, কিন্তু ফল পাল্টে দিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছে।’
সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম এত ভোট পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে সংসদকে হাস্যকর বানানোর উদ্দেশ্যেই হিরো আলমের মতো একজন জোকারকে তাঁরা গোপনে ভোট দিতে বলেছেন তাঁদের লোকজনকে। এ ছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে হিরো আলমের প্রতি আসক্তি থেকে কিছু তরুণ ভোটারও হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানে দাবি, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে, হিরো আলম ছাড়া অন্য প্রার্থীরা মিডিয়ার কাছে এ কথা বলেছেন। বিএনপি-জামায়াতের শেখানো কথা বলছেন হিরো আলম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই হিরো আলমকে তাঁদের লোকজন ভোট দিয়েছে।’
কাহালু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন আজাদ বলেন, ‘বিএনপির লোকজন ভোট দিলে ১৫ ভাগ ভোট পড়ত না। বিএনপি ভোটে গেলে হিরো আলমের ভোট পাঁচ-ছয় শর বেশি হতো না।’ তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সমাজের সেই অংশটি হিরো আলমকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে তাদের অবস্থান কোথায় তা দেখিয়েছে।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীক না থাকায় আর আওয়ামী লীগের ওপর ক্ষোভ থেকেই মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির কেউ ভোটকেন্দ্রে যাননি। এই আসনে নৌকা প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের অনেকেই হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন।’
সাধারণ মানুষ হিরো আলমকে প্রতিবাদ হিসেবে ভোট দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে কাহালু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও কলেজশিক্ষক মাকছুদার রহমান মাছুদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি, কথার সঙ্গে কাজের মিল না থাকা, ভোটে জেতার পর জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন কারণে তাঁদের প্রতি ক্ষোভ ও বিতৃষ্ণা জন্মেছে মানুষের মধ্যে। হিরো আলমকে ভোট দিয়ে তারা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক চরিত্র নেই, এটা স্বীকার করতে হবে। সাধারণ মানুষ থেকে তারা দূরে সরে গেছে। রাজনীতিবিদদের নিয়ে সাধারণ মানুষ একধরনের হতাশায় ভুগছে। সেই হতাশা থেকেই আবেগপ্রবণ বাঙালি হিরো আলমকে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বগুড়া-৪ আসনে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি। ভোট পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১টি। আর বগুড়া-৬ আসনে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৭৪ ভোট।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে হিরো আলম প্রার্থী হয়েছিলেন বগুড়া-৪ আসনে। সেবার তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৩২টি। কিন্তু এবার এত ভোট কীভাবে পেলেন হিরো আলম, এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে মাঠে কাজ শুরু করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের মতে, জামায়াত-বিএনপির হাত রয়েছে হিরো আলমের ভোটের পেছনে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগেযশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে