রাবি প্রতিনিধি
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সমন্বয়কারীদের মধ্যে বিভাজন দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে সমন্বয়কদের একাংশ। তবে আন্দোলন চালু রাখতে আজ রোববার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর ব্যানারে ১৭ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন সমন্বয়কেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি এখনো মানা হয়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখতে নতুন এ কমিটি করা হয়েছে।
১৭ সদস্যের সমন্বয়কারীর মধ্যে রয়েছেন গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু, মাসুদ রানা, মেহেদী হাসান মুন্না, নওসাজ জামান, তানভীর আহমেদ রিদম, মেহেদী সজীব, আকিল বিন তালেব, ফুয়াদ রাতুল, ফাহিম রেজা, তাসিন খান, মেহেদী হাসান মারুফ, ফৌজিয়া নৌরিন, সালাউদ্দিন আম্মার, মৃত্তিকা, মাহাদী হাসান মাহির, নুরুল ইসলাম শহীদ ও আতাউল্লাহ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়। তবে এ কমিটি কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছিল না। এ কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন। তাঁদের প্রধান শর্তই ছিল কেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি দেওয়া। কিন্তু তাঁদের মধ্যে পাঁচজন সদস্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচির তোয়াক্কা না করে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। এসব সমন্বয়হীনতার কারণে আজ রোববার বিকেলে কেন্দ্র থেকে রাবির ১৭ সদস্যের নতুন সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সমন্বয়কদের এ সমন্বয়হীনতার বিষয়ে নতুন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘হয়তো কোনো চাপের মুখে আন্দোলনকারীদের একাংশ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলন প্রত্যাহার করে। তবে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি এখনো মেনে নেওয়া হয়নি। যেহেতু শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ই আমাদের মূল লক্ষ্য, সেহেতু শিক্ষার্থীদের সকল দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখতে কেন্দ্র থেকে নতুন এ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে।’
তবে আন্দোলন প্রত্যাহারকারী মোকাররম হোসেন বলেন, ‘কেউ চাপ দিয়ে আমাদের সংবাদ সম্মেলন করায়নি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আমরা যারা বুঝতে পারছি আন্দোলনটা সহিংস রূপ নিতে যাচ্ছে, এ কারণে আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করেছি। দেশ ও জাতির ক্ষতি করার জন্য আমরা আন্দোলনে নামিনি। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য মাঠে নেমেছিলাম।’
মোকাররম হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করি, যেন কারও উদ্দেশ্য হাসিল করতে গিয়ে আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয়। এ কারণেই আমরা আপাতত প্রত্যাহার করেছি। তবে আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাইনি। যদি আমাদের আট দফা দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমরা আবার আন্দোলনে নামব।’
আন্দোলন প্রত্যাহারকারী আরেকজন তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ‘কারও চাপে পড়ে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করিনি। গুটিকয়েক লোকজন তো চাইবেই, ব্যাপারটাকে ঘোলাটে করার। সালাউদ্দিনসহ সকল প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সবার ফোন বন্ধ ছিল। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের সে দাবি তো মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি যে সাত দফা দাবি আমাদের ছিল, তা নিয়ে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এখন কেউ যদি আমাদের ব্যানারে আন্দোলনে নামে, তাহলে এর দায় তাকে নিতে হবে। এখন আন্দোলন করার মতো কোনো ইস্যু নেই। তারপরও কেউ নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করার কোনো সুযোগ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে কেউ যদি বিপদে ফেলে, তাহলে যে ডেকে এনেছে তাকে এ দায়িত্ব নিতে হবে।’
জানতে চাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী সালাউদ্দিন আম্মার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতত ফোন বন্ধ রেখেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। তবে আমি আগে যেখানে বাসা নিয়ে থাকতাম ও যেসব জায়গায় আমাকে নিয়মিত দেখা যেত, সেসব জায়গায় বিভিন্ন পরিচয়ে সাদা পোশাকে আমাকে খোঁজা হচ্ছে।’
আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘যারা এ সংবাদ সম্মেলন করেছে, তারা কারও সঙ্গে পরামর্শ করে এ কাজ করেনি। আমি সংবাদ সম্মেলন দেখার আগে পর্যন্ত জানতাম না যে, তারা এমন কাজ করবে। আমি কিছু জায়গা থেকে শুনতে পেয়েছি যে, তাদের পাঁচজনকে চাপ প্রয়োগ করে এ সংবাদ সম্মেলন করানো হয়েছে। আমাদের যে ১৮ জনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদল ছিল, তাদের প্রায় সকলেই নানা অজুহাত দেখিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এ কারণে আন্দোলন চালিয়ে নিতে কেন্দ্র থেকে রাবির জন্য ১৭ সদস্যের নতুন সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে এখন থেকে আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সমন্বয়কারীদের মধ্যে বিভাজন দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে সমন্বয়কদের একাংশ। তবে আন্দোলন চালু রাখতে আজ রোববার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’–এর ব্যানারে ১৭ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন সমন্বয়কেরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের সব দাবি এখনো মানা হয়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখতে নতুন এ কমিটি করা হয়েছে।
১৭ সদস্যের সমন্বয়কারীর মধ্যে রয়েছেন গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু, মাসুদ রানা, মেহেদী হাসান মুন্না, নওসাজ জামান, তানভীর আহমেদ রিদম, মেহেদী সজীব, আকিল বিন তালেব, ফুয়াদ রাতুল, ফাহিম রেজা, তাসিন খান, মেহেদী হাসান মারুফ, ফৌজিয়া নৌরিন, সালাউদ্দিন আম্মার, মৃত্তিকা, মাহাদী হাসান মাহির, নুরুল ইসলাম শহীদ ও আতাউল্লাহ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুর দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়। তবে এ কমিটি কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে কোনো কর্মসূচি দিচ্ছিল না। এ কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন। তাঁদের প্রধান শর্তই ছিল কেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি দেওয়া। কিন্তু তাঁদের মধ্যে পাঁচজন সদস্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচির তোয়াক্কা না করে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। এসব সমন্বয়হীনতার কারণে আজ রোববার বিকেলে কেন্দ্র থেকে রাবির ১৭ সদস্যের নতুন সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সমন্বয়কদের এ সমন্বয়হীনতার বিষয়ে নতুন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, ‘হয়তো কোনো চাপের মুখে আন্দোলনকারীদের একাংশ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলন প্রত্যাহার করে। তবে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি এখনো মেনে নেওয়া হয়নি। যেহেতু শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ই আমাদের মূল লক্ষ্য, সেহেতু শিক্ষার্থীদের সকল দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান রাখতে কেন্দ্র থেকে নতুন এ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে।’
তবে আন্দোলন প্রত্যাহারকারী মোকাররম হোসেন বলেন, ‘কেউ চাপ দিয়ে আমাদের সংবাদ সম্মেলন করায়নি। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আমরা যারা বুঝতে পারছি আন্দোলনটা সহিংস রূপ নিতে যাচ্ছে, এ কারণে আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করেছি। দেশ ও জাতির ক্ষতি করার জন্য আমরা আন্দোলনে নামিনি। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য মাঠে নেমেছিলাম।’
মোকাররম হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা এ সংবাদ সম্মেলন করি, যেন কারও উদ্দেশ্য হাসিল করতে গিয়ে আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয়। এ কারণেই আমরা আপাতত প্রত্যাহার করেছি। তবে আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাইনি। যদি আমাদের আট দফা দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমরা আবার আন্দোলনে নামব।’
আন্দোলন প্রত্যাহারকারী আরেকজন তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ‘কারও চাপে পড়ে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করিনি। গুটিকয়েক লোকজন তো চাইবেই, ব্যাপারটাকে ঘোলাটে করার। সালাউদ্দিনসহ সকল প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সবার ফোন বন্ধ ছিল। আমরা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের সে দাবি তো মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি যে সাত দফা দাবি আমাদের ছিল, তা নিয়ে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এখন কেউ যদি আমাদের ব্যানারে আন্দোলনে নামে, তাহলে এর দায় তাকে নিতে হবে। এখন আন্দোলন করার মতো কোনো ইস্যু নেই। তারপরও কেউ নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করার কোনো সুযোগ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে কেউ যদি বিপদে ফেলে, তাহলে যে ডেকে এনেছে তাকে এ দায়িত্ব নিতে হবে।’
জানতে চাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী সালাউদ্দিন আম্মার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতত ফোন বন্ধ রেখেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হইনি। তবে আমি আগে যেখানে বাসা নিয়ে থাকতাম ও যেসব জায়গায় আমাকে নিয়মিত দেখা যেত, সেসব জায়গায় বিভিন্ন পরিচয়ে সাদা পোশাকে আমাকে খোঁজা হচ্ছে।’
আন্দোলন প্রত্যাহারের বিষয়ে সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘যারা এ সংবাদ সম্মেলন করেছে, তারা কারও সঙ্গে পরামর্শ করে এ কাজ করেনি। আমি সংবাদ সম্মেলন দেখার আগে পর্যন্ত জানতাম না যে, তারা এমন কাজ করবে। আমি কিছু জায়গা থেকে শুনতে পেয়েছি যে, তাদের পাঁচজনকে চাপ প্রয়োগ করে এ সংবাদ সম্মেলন করানো হয়েছে। আমাদের যে ১৮ জনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদল ছিল, তাদের প্রায় সকলেই নানা অজুহাত দেখিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এ কারণে আন্দোলন চালিয়ে নিতে কেন্দ্র থেকে রাবির জন্য ১৭ সদস্যের নতুন সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে এখন থেকে আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
৩৯ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
১ ঘণ্টা আগে