রাজশাহী প্রতিনিধি
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন পায়।
এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মোস্তাক হোসেন।
প্রকল্প অনুমোদনের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—নগরীর বড়বনগ্রম, বারইপাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজায় প্রায় ৬৮ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে এখানে ১০টি অনুষদের অধীন ৬৮টি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিবছর ৭৮০ জন গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে এখানে চিকিৎসক-নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর দ্বারা উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসার আওতায় আসবে। প্রতিবছর চিকিৎসার জন্য বাইরে চলে যাওয়া ৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। নগরীর অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প উপহার দেওয়ায় আমি রাজশাহীবাসী তথা সমগ্র উত্তরাঞ্চলবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষা নগরী রাজশাহী আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। রাজশাহীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার রাজশাহীবাসী তথা সমগ্র উত্তরাঞ্চলের মানুষ চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে বলেও বিবৃতিতে বলেছেন মেয়র।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখনো অস্থায়ী কার্যালয়েই কার্যক্রম চলছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ১ হাজার ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুল, ডে-কেয়ার সেন্টার, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, উপাচার্য বাসভবন, ডরমিটরি, মেডিকেল গ্যাস প্ল্যান্টসহ মোট ২১টি গুরুত্বপূর্ণ ভবন নির্মাণ হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্যের একান্ত সচিব মো. ইসমাঈল হোসেন।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মোস্তাক হোসেন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যোগদানের এত অল্প সময়ের মধ্যে এই প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে আনাটা কঠিন ছিল। সবার সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতি। তার সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেছেন উপাচার্য।
উপাচার্য মোস্তাক হোসেন আরও জানান, একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় এখন এর প্রশাসনিক অনুমোদন হবে। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় দেবে। সেই টাকা দেওয়া হবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে। তিনি টাকা দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করবেন। এরপর জমি বুঝিয়ে দেওয়া হলে অন্য কাজ শুরু হবে। এর মধ্যে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করতে হবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও নিয়োগ করতে হবে বিস্তারিতভাবে সম্পূর্ণ ডিজাইন করার জন্য। তারপর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে। একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় বাকি কাজগুলো এখন দ্রুতই শুরু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন পায়।
এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মোস্তাক হোসেন।
প্রকল্প অনুমোদনের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—নগরীর বড়বনগ্রম, বারইপাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজায় প্রায় ৬৮ একর জায়গার ওপর নির্মিত হবে এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। শুরুতে এখানে ১০টি অনুষদের অধীন ৬৮টি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিবছর ৭৮০ জন গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে এখানে চিকিৎসক-নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর দ্বারা উত্তরাঞ্চলের প্রায় দুই কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসার আওতায় আসবে। প্রতিবছর চিকিৎসার জন্য বাইরে চলে যাওয়া ৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। নগরীর অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প উপহার দেওয়ায় আমি রাজশাহীবাসী তথা সমগ্র উত্তরাঞ্চলবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষা নগরী রাজশাহী আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। রাজশাহীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার রাজশাহীবাসী তথা সমগ্র উত্তরাঞ্চলের মানুষ চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে বলেও বিবৃতিতে বলেছেন মেয়র।
২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখনো অস্থায়ী কার্যালয়েই কার্যক্রম চলছে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ১ হাজার ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুল, ডে-কেয়ার সেন্টার, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, উপাচার্য বাসভবন, ডরমিটরি, মেডিকেল গ্যাস প্ল্যান্টসহ মোট ২১টি গুরুত্বপূর্ণ ভবন নির্মাণ হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্যের একান্ত সচিব মো. ইসমাঈল হোসেন।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মোস্তাক হোসেন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যোগদানের এত অল্প সময়ের মধ্যে এই প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে আনাটা কঠিন ছিল। সবার সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতি। তার সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলেছেন উপাচার্য।
উপাচার্য মোস্তাক হোসেন আরও জানান, একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় এখন এর প্রশাসনিক অনুমোদন হবে। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় দেবে। সেই টাকা দেওয়া হবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে। তিনি টাকা দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করবেন। এরপর জমি বুঝিয়ে দেওয়া হলে অন্য কাজ শুরু হবে। এর মধ্যে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করতে হবে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও নিয়োগ করতে হবে বিস্তারিতভাবে সম্পূর্ণ ডিজাইন করার জন্য। তারপর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে। একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় বাকি কাজগুলো এখন দ্রুতই শুরু করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।
ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
৪ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৭ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
২২ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৩০ মিনিট আগে