ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাটে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের শীষে যেন মৃদু হাওয়ায় দুলছে কৃষকের হাসি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। হাট-বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের চাইতে চলতি মৌসুমে ভালো দাম পাবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২০ হেক্টর হাইব্রিড ও ১৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাতের ধান রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ১৮ হাজার ৭৫৫ হেক্টর ধান অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শিলা বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে হাইব্রিড জাতের ধান থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলন অর্জিত হবে।
পৌর এলাকাসহ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন, খেলনা, ইসবপুর, জাহানপুর, ধামইরহাট, উমার, আড়ানগর ও আগ্রাদ্বীগুন ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠে বোরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসলের খেতে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের ধান। কৃষি অফিসের পরামর্শে চাড়া রোপন, সার, বিষ ও নিয়মিত পরিচর্যার কারণে এবার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর শিলা বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়া ও অতি খরার কারণে বোরো ধান খেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়েছে। ফলে আকার ভেদে ৪৯ শতাংশ জমিতে ৪০ থেকে ৪২ মণ ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। ধান কাটা, মাড়ায়, পরিবহন ও বিষসহ সব বাদ দিয়ে প্রতি শতাংশ জমিতে কৃষকদের খরচ করতে হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। হাটবাজারে প্রতিমণ কাঁচা ধান ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বেচাকেনা হওয়াতে সংসারের খরচ মিটিয়ে দেনা পরিশোধ করতে পারবেন এমনটাই আশা তাঁদের।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড হাটনগর এলাকার চাষি ইউসুফ মুর্তজা বলেন, ‘এ বছর ৪ একর জমিতে জিরাশাইল ধানের চাষাবাদ করেছি। প্রতি একর জমিতে ৮০ মণ করে মোট ৩২০ মণ ধান পেয়েছি যা গত বছরের চাইতে অতিরিক্ত ৮০ মণ।’
উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর এলাকার কৃষক বাবুল হোসেন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৩৩ শতাংশ জমিতে ব্রি-ধান ৮১ আবাদ করেছি। এতে ২৭ দশমিক ৫০ মণ ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। ধান বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছি দেনা-পাওনা শোধ করে পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা করব।’
ইসবপুর ইউনিয়ন এলাকার বর্গা চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্রি-ধান ১০০ (বঙ্গবন্ধু ধান) চাষাবাদ করেন। এতে ৩৩ শতাংশ জমিতে ২৯ মণ ধান পেয়েছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে জমির মালিককে দিতে হয়েছে দশ মণ আর তিনি পেয়েছেন ৭ মণ ধান। বাম্পার ফলনের সঙ্গে ভালো দাম পেয়ে খুশি তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, বোরো মৌসুমে কালবৈশাখী এবং শিলা বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উত্তম, মধ্যম এবং নিম্ন তিন ভাগে ধান কাটা হয়ে থাকে যার হেক্টর প্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ মেট্রিকটন।
তিনি আরও বলেন, জিরাসাইল, ব্রি-ধান ২৮ ও ব্রি-ধান ১০০ কাটা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান কাটা শুরু হবে। মে মাসের ২০ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হবে।
নওগাঁর ধামইরহাটে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের শীষে যেন মৃদু হাওয়ায় দুলছে কৃষকের হাসি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। হাট-বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের চাইতে চলতি মৌসুমে ভালো দাম পাবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২০ হেক্টর হাইব্রিড ও ১৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে উফশী (উচ্চ ফলনশীল) জাতের ধান রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ১৮ হাজার ৭৫৫ হেক্টর ধান অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শিলা বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে হাইব্রিড জাতের ধান থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলন অর্জিত হবে।
পৌর এলাকাসহ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন, খেলনা, ইসবপুর, জাহানপুর, ধামইরহাট, উমার, আড়ানগর ও আগ্রাদ্বীগুন ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠে বোরে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসলের খেতে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের ধান। কৃষি অফিসের পরামর্শে চাড়া রোপন, সার, বিষ ও নিয়মিত পরিচর্যার কারণে এবার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর শিলা বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়া ও অতি খরার কারণে বোরো ধান খেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ ও রোগবালাই কম হয়েছে। ফলে আকার ভেদে ৪৯ শতাংশ জমিতে ৪০ থেকে ৪২ মণ ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। ধান কাটা, মাড়ায়, পরিবহন ও বিষসহ সব বাদ দিয়ে প্রতি শতাংশ জমিতে কৃষকদের খরচ করতে হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা। হাটবাজারে প্রতিমণ কাঁচা ধান ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বেচাকেনা হওয়াতে সংসারের খরচ মিটিয়ে দেনা পরিশোধ করতে পারবেন এমনটাই আশা তাঁদের।
পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড হাটনগর এলাকার চাষি ইউসুফ মুর্তজা বলেন, ‘এ বছর ৪ একর জমিতে জিরাশাইল ধানের চাষাবাদ করেছি। প্রতি একর জমিতে ৮০ মণ করে মোট ৩২০ মণ ধান পেয়েছি যা গত বছরের চাইতে অতিরিক্ত ৮০ মণ।’
উমার ইউনিয়নের বিহারীনগর এলাকার কৃষক বাবুল হোসেন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৩৩ শতাংশ জমিতে ব্রি-ধান ৮১ আবাদ করেছি। এতে ২৭ দশমিক ৫০ মণ ধান ঘরে তুলতে পেরেছি। ধান বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছি দেনা-পাওনা শোধ করে পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটা করব।’
ইসবপুর ইউনিয়ন এলাকার বর্গা চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্রি-ধান ১০০ (বঙ্গবন্ধু ধান) চাষাবাদ করেন। এতে ৩৩ শতাংশ জমিতে ২৯ মণ ধান পেয়েছেন। সব খরচ বাদ দিয়ে জমির মালিককে দিতে হয়েছে দশ মণ আর তিনি পেয়েছেন ৭ মণ ধান। বাম্পার ফলনের সঙ্গে ভালো দাম পেয়ে খুশি তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, বোরো মৌসুমে কালবৈশাখী এবং শিলা বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উত্তম, মধ্যম এবং নিম্ন তিন ভাগে ধান কাটা হয়ে থাকে যার হেক্টর প্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ মেট্রিকটন।
তিনি আরও বলেন, জিরাসাইল, ব্রি-ধান ২৮ ও ব্রি-ধান ১০০ কাটা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পুরোদমে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান কাটা শুরু হবে। মে মাসের ২০ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হবে।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
৩৯ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৪৩ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
১ ঘণ্টা আগে