রাজশাহীর পবা উপজেলার দারুশা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি করা হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ইকবাল হোসেনকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তবে ইকবাল হোসেন বলেছেন, যারা সভাপতি হতে পারেননি, তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তিনি নিয়ম মেনেই সভাপতি হয়েছেন। 

জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিল রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ুন কবীর দারুশা কলেজের নতুন কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। এ খবর জানাজানি হলে এলাকায় অসন্তোষ দেখা দেয়। কলেজটির শিক্ষার্থীরাও এই কমিটির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার কয়েকজন শিক্ষার্থী কলেজে তালা লাগিয়ে দেয়। 

বিষয়টি জানতে পেরে সকালে নতুন কমিটির সভাপতির অনুসারীরা গিয়ে তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেন। এখন ঈদের কারণে কলেজ বন্ধ থাকলেও এই পাল্টাপাল্টি তালা দেওয়া নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। খোদ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কলেজের নতুন সভাপতির বিরোধীতা করছেন। তিনি তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ফলে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। 

দারুশা কলেজের একাদশ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কায়সার ইসলাম, ইসরাফিল হোসেন, প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহাফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে জানান, তারা কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে সাংসদের পিএ ইকবাল হোসেনকে মানতে পারছেন না। তারা বলছেন, ইকবাল হোসেন এই কলেজ থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। তারপর একটি সরকারি কলেজে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তার বয়স ২৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে। এমন ব্যক্তি কলেজের সভাপতি হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ। 

পবার দর্শনপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় কলেজের কোন কমিটি ছিল না। তারপর গোপনে গোপনে শিক্ষাবোর্ডে নাম পাঠানো হলে শিক্ষাবোর্ড তা অনুমোদন করেছে। কিন্তু এই কমিটি জনগণের প্রত্যাশিত নয়। এখানে নির্বাচন হবে, অভিভাবকেরা ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত করবেন—এটিই হওয়া উচিত।’ 

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ রেহেনা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। 

নতুন সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি এই কলেজে পড়াশোনা করেছি। প্রতিষ্ঠানটার প্রতি আমার দরদ আছে। আমি এমপি মহোদয়ের পিএ হিসেবেও কাজ করছি। আমার উন্নয়ন করার সুযোগ আছে। আমি কলেজের উন্নয়ন করতে চাই। কিন্তু যারা সভাপতি হতে পারেননি তারা বিরোধীতা করছেন।’