শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভারে গুলিবিদ্ধ হয়ে গত ২০ জুলাই নিহত হন রিকশাচালক রনি প্রামাণিক (৩০)। পরদিন তাঁর মরদেহ বগুড়ার শিবগঞ্জের পঞ্চদাশ গ্রামে দাফন করা হয়। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন রনির মৃত্যুতে এখন অথৈ সাগরে ভাসছে পুরো পরিবার। ঘটনার সপ্তাহ পেরোলেও থামেনি স্বজনদের শোক-আহাজারি।
‘হামার দুনিয়াত আর কেউ থাকলোনা। ছোল ঢাকাত রিকশা চল্যা সপ্তায় পাঁচ’শ টাকা পাটাতো। সেডা দিয়া ওষুধ কিনতাম। হামার সেই ছোলকে ওরা পাখির মতো গুলি করে মারলো।’
আজ শনিবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের পঞ্চদাস গ্রামে এভাবেই বিলাপ করছিলেন রনির মা শাহানা বেগম (৬৭)।
রিকশাচালক ছেলের পাঠানো টাকায় ওষুধ আর দু’বেলার খাবার জুটতো স্বামীহারা শাহানা আক্তারের। আন্দোলন চলছে জেনে ছেলেকে রিকশা নিয়ে বের হতে বারণও করেছিলেন হতভাগা এই মা। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা শাহানা বেওয়া এখন পাগলপ্রায়। কখনো নিজের ঝুপড়ি ঘরে আবার কখনো মাটিতে বসে ছেলের স্মৃতিচারণ করে বিলাপ করে যাচ্ছেন তিনি।
পঞ্চদাশ গ্রামের মৃত দিলবর প্রামাণিকের ছেলে রনি মিয়া। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার সাভারে ভাড়া বাসায় থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে কমপ্লিট শাটডাউনে দুইদিন রিকশা বন্ধ থাকায় ঘরে ওষুধ ও চাল-ডাল ছিল না। তাই, সন্তানদের পেটের ক্ষুধা মেটাতে গত ২০ জুলাই দুপুরে রনি রিকশা নিয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। দুটো টাকা রোজগারের আশায় বের হওয়া রনি হঠাৎ সহিংসতার মাঝে পড়েন। পুলিশের গুলিতে হন নিহত।
প্রতিবেশী ও স্বজনদের দাবি, রনির মৃত্যুর সঠিক বিচারের পাশাপাশি সরকার অসহায় এই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালে তাঁর বৃদ্ধ মা ও বিধবা স্ত্রী দুই শিশু সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পাবে।
পঞ্চদাস গ্রামের বাসিন্দা বাবলু সরকার জানান, চার বছর আগে রনির বাবা মারা গেছেন। তাঁর মা শাহানা খাতুন সরকারি খাসজমিতে ঝুপড়ি ঘর তুলে খুব কষ্টে বসবাস করছেন। মানুষের দুয়ারে সাহায্য চেয়ে তাঁর জীবিকা চলে।
রনির স্ত্রী সাথি বেগম বলেন, ‘ছোট ছেলের গায়ে খুব জ্বর জ্বর ছিল। ওর বাবার শরীরও ভালো ছিল না না। আন্দোলনের কারণে দুই দিন রিকশা চালাতে না পারায় ঘরে চাল-ডাল ছিল না। ওষুধ কেনার টাকাও ছিল না। এ জন্য সকাল ৯টার দিকে মহাজনের কাছ থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে এক প্রতিবেশী ফোন করে বলে, তোমার স্বামীর বুকে গুলি লাগছে। এখন হাসপাতালে আছে। শোনামাত্র ইভানকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে স্বামীর নিথর দেহ দেখতে পাই। তাঁর বুকে-পিঠে অসংখ্য গুলির চিহ্ন ছিল।’
স্থানীয় বুড়িগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চঞ্চল বলেন, ‘অসহায় পরিবারটির দায়িত্ব সরকার নিলে তাঁর বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে বেঁচে থাকার পথ পাবে। আমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে ঢাকার সাভারে গুলিবিদ্ধ হয়ে গত ২০ জুলাই নিহত হন রিকশাচালক রনি প্রামাণিক (৩০)। পরদিন তাঁর মরদেহ বগুড়ার শিবগঞ্জের পঞ্চদাশ গ্রামে দাফন করা হয়। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন রনির মৃত্যুতে এখন অথৈ সাগরে ভাসছে পুরো পরিবার। ঘটনার সপ্তাহ পেরোলেও থামেনি স্বজনদের শোক-আহাজারি।
‘হামার দুনিয়াত আর কেউ থাকলোনা। ছোল ঢাকাত রিকশা চল্যা সপ্তায় পাঁচ’শ টাকা পাটাতো। সেডা দিয়া ওষুধ কিনতাম। হামার সেই ছোলকে ওরা পাখির মতো গুলি করে মারলো।’
আজ শনিবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের পঞ্চদাস গ্রামে এভাবেই বিলাপ করছিলেন রনির মা শাহানা বেগম (৬৭)।
রিকশাচালক ছেলের পাঠানো টাকায় ওষুধ আর দু’বেলার খাবার জুটতো স্বামীহারা শাহানা আক্তারের। আন্দোলন চলছে জেনে ছেলেকে রিকশা নিয়ে বের হতে বারণও করেছিলেন হতভাগা এই মা। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা শাহানা বেওয়া এখন পাগলপ্রায়। কখনো নিজের ঝুপড়ি ঘরে আবার কখনো মাটিতে বসে ছেলের স্মৃতিচারণ করে বিলাপ করে যাচ্ছেন তিনি।
পঞ্চদাশ গ্রামের মৃত দিলবর প্রামাণিকের ছেলে রনি মিয়া। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকার সাভারে ভাড়া বাসায় থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনে কমপ্লিট শাটডাউনে দুইদিন রিকশা বন্ধ থাকায় ঘরে ওষুধ ও চাল-ডাল ছিল না। তাই, সন্তানদের পেটের ক্ষুধা মেটাতে গত ২০ জুলাই দুপুরে রনি রিকশা নিয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যান। দুটো টাকা রোজগারের আশায় বের হওয়া রনি হঠাৎ সহিংসতার মাঝে পড়েন। পুলিশের গুলিতে হন নিহত।
প্রতিবেশী ও স্বজনদের দাবি, রনির মৃত্যুর সঠিক বিচারের পাশাপাশি সরকার অসহায় এই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালে তাঁর বৃদ্ধ মা ও বিধবা স্ত্রী দুই শিশু সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পাবে।
পঞ্চদাস গ্রামের বাসিন্দা বাবলু সরকার জানান, চার বছর আগে রনির বাবা মারা গেছেন। তাঁর মা শাহানা খাতুন সরকারি খাসজমিতে ঝুপড়ি ঘর তুলে খুব কষ্টে বসবাস করছেন। মানুষের দুয়ারে সাহায্য চেয়ে তাঁর জীবিকা চলে।
রনির স্ত্রী সাথি বেগম বলেন, ‘ছোট ছেলের গায়ে খুব জ্বর জ্বর ছিল। ওর বাবার শরীরও ভালো ছিল না না। আন্দোলনের কারণে দুই দিন রিকশা চালাতে না পারায় ঘরে চাল-ডাল ছিল না। ওষুধ কেনার টাকাও ছিল না। এ জন্য সকাল ৯টার দিকে মহাজনের কাছ থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে এক প্রতিবেশী ফোন করে বলে, তোমার স্বামীর বুকে গুলি লাগছে। এখন হাসপাতালে আছে। শোনামাত্র ইভানকে কোলে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে স্বামীর নিথর দেহ দেখতে পাই। তাঁর বুকে-পিঠে অসংখ্য গুলির চিহ্ন ছিল।’
স্থানীয় বুড়িগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চঞ্চল বলেন, ‘অসহায় পরিবারটির দায়িত্ব সরকার নিলে তাঁর বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে বেঁচে থাকার পথ পাবে। আমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে