নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শহিদুল ইসলাম লেদ ব্যবসায়ী। তবে অনেক বছর ধরেই কোরবানির ঈদের দিন চামড়া কেনেন। তারপর কাঁচা সেই চামড়া বিক্রি করেন। রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকার এই ব্যবসায়ীর দাবি, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিটি ঈদের চামড়ায় গুনতে হয়েছে লোকসান। তবে এবার লাভ করেছেন কিছুটা।
তিনি এ বছর গড়ে ৪০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। আর বিক্রি করেছেন গড়ে ৬০০ টাকায়। সে অনুযায়ী প্রতিটি চামড়ায় গড়ে ২০০ টাকা করে লাভ হয়েছে তাঁর।
রাজশাহীর আরও কয়েকজন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকেই লোকসান গুনছিলেন তাঁরা। এবার তাঁরা সতর্ক হয়েই চামড়া কিনেছেন। আর আড়তদারেরা দাম দিয়েছেন কিছুটা বেশি। ফলে তাঁদের লাভ হয়েছে। তবে ঈদের দিন অনেক বিক্রেতাই চামড়ার ভালো দাম পাননি। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোনো চামড়ার দাম দিয়েছেন মাত্র ২০০, আবার কোনো কোনো চামড়া তারা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে কিনেছেন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সেখেরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এবার কয়েকটি গরু কোরবানি হয়। সেখানে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দামের একটি গরুর চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীকে ৬০০ টাকায় কিনতে দেখা যায়। একই স্থানে প্রায় লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া কেনা হয় ৪০০ টাকায়।
তবে সেখানে কাউকে ছাগলের চামড়া কিনতে দেখা যায়নি। মাটিতে না পুঁতে কয়েকটি ছাগলের চামড়া বিনা মূল্যেই মৌসুমি ব্যবসায়ীর ভ্যানে তুলে দিতে দেখা যায়।
ছাগলের চামড়া না কেনার বিষয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান বলেন, ‘ছাগলের চামড়ায় অনেক কাটাকুটি থাকে। নিয়ে যাওয়ার পরে আড়তদারেরা এসব কিনতে চায় না। ফলে লোকসানের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। তবে ভালো চামড়া হলে ১০ টাকায় একেকটি চামড়া কিনছি। দেখে ভালো না লাগলে কিনছি না। তারপরও কেউ কেউ এমনিই এসব চামড়া ভ্যানে তুলে দিচ্ছে।’
রাজশাহী নগরীর রেলগেট এলাকায় ঈদের দিন চামড়া কিনছিলেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। মাদ্রাসা ও এতিমখানার পক্ষ থেকে এখানে চামড়া বিক্রি করতে আসছিলেন অনেকেই। মাওলানা সুলতান আহমেদ নামের এক ব্যক্তি একটি গরুর চামড়া এনে দাম চান এক হাজার টাকা। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী এটির দাম দিতে চান ২০০ টাকা। শেষে ৩০০ টাকায় চামড়াটি কেনেন তিনি।
জুলফিকার আলী বলেন, ‘টানা পাঁচ বছর ধরে লস দিয়ে আসছি। এবার তাই সতর্ক হয়েই চামড়া কিনছি। ভালো চামড়া হলে ৬০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছি। খুব ভালো না হলে ২০০ বা ৩০০ টাকা দিচ্ছি। গত কয়েক বছর না বুঝে বেশি দামে চামড়া কিনে ঠকেছি। এবার তা করছি না।’
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহের পর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়ে বিক্রি করেন। সেখানে ছোট ও মাঝারি আকারের চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আর বড় গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়।
চামড়া বিক্রির পর মৌসুমি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দাম মোটামুটি ভালোই পাওয়া গেছে। এবার অন্তত লোকসান হবে না। চামড়ার বাজারটা এ রকম থাকলেও হয়।’
রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘একেকটি চামড়ায় লবণ দেওয়ার খরচ আছে প্রায় ২০০ টাকা। তা–ও আমরা এবার ৬০০ থেকে ৯০০ বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত দরে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনেছি। তাদের এবার লোকসান হয়নি।’ তিনি জানান, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে বিনা মূল্যে ছাগলের চামড়া নিয়ে যান। তাঁরা ৩০ থেকে ৫০ টাকায় এসব চামড়া কিনেছেন। লবণ মাখানো সব চামড়া এক সপ্তাহ পর নাটোর এবং ঢাকায় চলে যাবে।
ঢাকার বাইরে এবার গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। গত বছর এই দাম ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম এ বছর ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ দাম হিসাবে চামড়া কেনা না হলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার রাজশাহীতে বেশি দামেই চামড়া কেনাবেচা হয়েছে।
শহিদুল ইসলাম লেদ ব্যবসায়ী। তবে অনেক বছর ধরেই কোরবানির ঈদের দিন চামড়া কেনেন। তারপর কাঁচা সেই চামড়া বিক্রি করেন। রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকার এই ব্যবসায়ীর দাবি, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিটি ঈদের চামড়ায় গুনতে হয়েছে লোকসান। তবে এবার লাভ করেছেন কিছুটা।
তিনি এ বছর গড়ে ৪০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। আর বিক্রি করেছেন গড়ে ৬০০ টাকায়। সে অনুযায়ী প্রতিটি চামড়ায় গড়ে ২০০ টাকা করে লাভ হয়েছে তাঁর।
রাজশাহীর আরও কয়েকজন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সাল থেকেই লোকসান গুনছিলেন তাঁরা। এবার তাঁরা সতর্ক হয়েই চামড়া কিনেছেন। আর আড়তদারেরা দাম দিয়েছেন কিছুটা বেশি। ফলে তাঁদের লাভ হয়েছে। তবে ঈদের দিন অনেক বিক্রেতাই চামড়ার ভালো দাম পাননি। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোনো চামড়ার দাম দিয়েছেন মাত্র ২০০, আবার কোনো কোনো চামড়া তারা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে কিনেছেন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সেখেরপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এবার কয়েকটি গরু কোরবানি হয়। সেখানে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দামের একটি গরুর চামড়া মৌসুমি ব্যবসায়ীকে ৬০০ টাকায় কিনতে দেখা যায়। একই স্থানে প্রায় লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া কেনা হয় ৪০০ টাকায়।
তবে সেখানে কাউকে ছাগলের চামড়া কিনতে দেখা যায়নি। মাটিতে না পুঁতে কয়েকটি ছাগলের চামড়া বিনা মূল্যেই মৌসুমি ব্যবসায়ীর ভ্যানে তুলে দিতে দেখা যায়।
ছাগলের চামড়া না কেনার বিষয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান বলেন, ‘ছাগলের চামড়ায় অনেক কাটাকুটি থাকে। নিয়ে যাওয়ার পরে আড়তদারেরা এসব কিনতে চায় না। ফলে লোকসানের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। তবে ভালো চামড়া হলে ১০ টাকায় একেকটি চামড়া কিনছি। দেখে ভালো না লাগলে কিনছি না। তারপরও কেউ কেউ এমনিই এসব চামড়া ভ্যানে তুলে দিচ্ছে।’
রাজশাহী নগরীর রেলগেট এলাকায় ঈদের দিন চামড়া কিনছিলেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। মাদ্রাসা ও এতিমখানার পক্ষ থেকে এখানে চামড়া বিক্রি করতে আসছিলেন অনেকেই। মাওলানা সুলতান আহমেদ নামের এক ব্যক্তি একটি গরুর চামড়া এনে দাম চান এক হাজার টাকা। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী এটির দাম দিতে চান ২০০ টাকা। শেষে ৩০০ টাকায় চামড়াটি কেনেন তিনি।
জুলফিকার আলী বলেন, ‘টানা পাঁচ বছর ধরে লস দিয়ে আসছি। এবার তাই সতর্ক হয়েই চামড়া কিনছি। ভালো চামড়া হলে ৬০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছি। খুব ভালো না হলে ২০০ বা ৩০০ টাকা দিচ্ছি। গত কয়েক বছর না বুঝে বেশি দামে চামড়া কিনে ঠকেছি। এবার তা করছি না।’
মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহের পর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে নিয়ে বিক্রি করেন। সেখানে ছোট ও মাঝারি আকারের চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। আর বড় গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়।
চামড়া বিক্রির পর মৌসুমি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দাম মোটামুটি ভালোই পাওয়া গেছে। এবার অন্তত লোকসান হবে না। চামড়ার বাজারটা এ রকম থাকলেও হয়।’
রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি আসাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘একেকটি চামড়ায় লবণ দেওয়ার খরচ আছে প্রায় ২০০ টাকা। তা–ও আমরা এবার ৬০০ থেকে ৯০০ বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত দরে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কিনেছি। তাদের এবার লোকসান হয়নি।’ তিনি জানান, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে বিনা মূল্যে ছাগলের চামড়া নিয়ে যান। তাঁরা ৩০ থেকে ৫০ টাকায় এসব চামড়া কিনেছেন। লবণ মাখানো সব চামড়া এক সপ্তাহ পর নাটোর এবং ঢাকায় চলে যাবে।
ঢাকার বাইরে এবার গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। গত বছর এই দাম ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম এ বছর ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ দাম হিসাবে চামড়া কেনা না হলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার রাজশাহীতে বেশি দামেই চামড়া কেনাবেচা হয়েছে।
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১০ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
১ ঘণ্টা আগে