সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের একটি মাদ্রাসায় ছয় লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও আয়া পদে চাকরি না পেয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থী। আদালত মামলা আমলে নিয়ে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ রোববার সকালে তাড়াশ সহকারী জজ আদালতের পেশকার মুনতাসীর মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চাকরিপ্রার্থী ফাতেমা খাতুন তাড়াশ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন।
এদিকে চাকরির জন্য ঘুষ দেওয়া নিয়ে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে ফাতেমা খাতুনকে তালাক দেন তাঁর স্বামী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। তাই তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘চাকরি পেলাম না, স্বামীও হারালাম।’
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য ২০২৩ সালের ২৭ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আয়া পদে যথানিয়মে আবেদন করেন ফাতেমা খাতুন।
ফাতেমার কাছ থেকে তালম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নান ছয় লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরে ২১ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু একই পদে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নিয়োগের দিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করেন দুই প্রার্থী।
এমনকি নিয়োগ পরীক্ষার দিন নিয়োগ কমিটির সামনেই আয়া পদে এক প্রার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে এক প্রার্থী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ পরিস্থিতিতে ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ আবু নঈম নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে চলে যান।
গত ২৯ জানুয়ারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নান গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করে তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত করে নিয়োগ সম্পন্ন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আয়া পদে প্রার্থী ফাতেমার ছয় লাখ টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা ফেরত দেন অধ্যক্ষ। বাকি চার লাখ টাকা চাইলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন ফাতেমা।
শুধু আয়া নয়, বাকি তিনটি পদেও গোপনে নিয়োগ সম্পন্ন করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান চার প্রার্থী। অভিযোগ তদন্ত চলাকালে চারটি পদের চার প্রার্থী আদালতেও মামলা করেন।
এদিকে এই বিজ্ঞপ্তি আগে আরেকবার প্রকাশ করা হয়েছিল বলেন ফাতেমা। তিনি বলেন, তখন মামলার কারণে নিয়োগ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই এই টাকা লেনদেন হয় বলে জানান তিনি।
চাকরিপ্রার্থী ফাতেমা বলেন, ‘মাদ্রাসা ও আমার বাড়ি পাশাপাশি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে চাকরির জন্য আমি তাঁকে ছয় লাখ টাকা দিয়েছিলাম। পরে চাকরি হয় না, টাকাও ফেরত দেয় না। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার বিরোধ হয়। এরই জেরে স্বামী আমাকে তালাক দেয়। চাকরি পেলাম না, স্বামীও হারালাম।’
ফাতেমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাতেমা অভিযোগ করে বলেন, ‘তালম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।’
তবে ফাতেমার এই অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত গোন্তা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নিয়োগ বোর্ড ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে চারটি পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো টাকা লেনদেন হয়নি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। চাকরি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’
তালম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামান বলেন, ‘অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান আমার উপস্থিতিতে ছয় লাখ টাকা নিয়েছেন। এ সময় ইউপি সদস্য ইসহাক উপস্থিত ছিলেন। এখন অধ্যক্ষ বলছেন দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। এই টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ফাতেমার স্বামী তাঁকে তালাক দিয়েছেন। অধ্যক্ষ যা বলছেন তা মিথ্যা। তিনি ছয় লাখ টাকাই নিয়েছেন।’
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের একটি মাদ্রাসায় ছয় লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও আয়া পদে চাকরি না পেয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন চাকরিপ্রার্থী। আদালত মামলা আমলে নিয়ে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ রোববার সকালে তাড়াশ সহকারী জজ আদালতের পেশকার মুনতাসীর মামুন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চাকরিপ্রার্থী ফাতেমা খাতুন তাড়াশ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন।
এদিকে চাকরির জন্য ঘুষ দেওয়া নিয়ে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে ফাতেমা খাতুনকে তালাক দেন তাঁর স্বামী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। তাই তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘চাকরি পেলাম না, স্বামীও হারালাম।’
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য ২০২৩ সালের ২৭ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আয়া পদে যথানিয়মে আবেদন করেন ফাতেমা খাতুন।
ফাতেমার কাছ থেকে তালম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নান ছয় লাখ টাকা ঘুষ নেন। পরে ২১ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু একই পদে একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নিয়োগের দিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করেন দুই প্রার্থী।
এমনকি নিয়োগ পরীক্ষার দিন নিয়োগ কমিটির সামনেই আয়া পদে এক প্রার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে এক প্রার্থী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ পরিস্থিতিতে ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ আবু নঈম নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করে চলে যান।
গত ২৯ জানুয়ারি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নান গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন করে তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের চূড়ান্ত করে নিয়োগ সম্পন্ন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আয়া পদে প্রার্থী ফাতেমার ছয় লাখ টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা ফেরত দেন অধ্যক্ষ। বাকি চার লাখ টাকা চাইলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেন ফাতেমা।
শুধু আয়া নয়, বাকি তিনটি পদেও গোপনে নিয়োগ সম্পন্ন করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান চার প্রার্থী। অভিযোগ তদন্ত চলাকালে চারটি পদের চার প্রার্থী আদালতেও মামলা করেন।
এদিকে এই বিজ্ঞপ্তি আগে আরেকবার প্রকাশ করা হয়েছিল বলেন ফাতেমা। তিনি বলেন, তখন মামলার কারণে নিয়োগ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই এই টাকা লেনদেন হয় বলে জানান তিনি।
চাকরিপ্রার্থী ফাতেমা বলেন, ‘মাদ্রাসা ও আমার বাড়ি পাশাপাশি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে চাকরির জন্য আমি তাঁকে ছয় লাখ টাকা দিয়েছিলাম। পরে চাকরি হয় না, টাকাও ফেরত দেয় না। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার বিরোধ হয়। এরই জেরে স্বামী আমাকে তালাক দেয়। চাকরি পেলাম না, স্বামীও হারালাম।’
ফাতেমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাতেমা অভিযোগ করে বলেন, ‘তালম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে অধ্যক্ষ টি আর আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার সেই ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।’
তবে ফাতেমার এই অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত গোন্তা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘নিয়োগ বোর্ড ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে চারটি পদে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো টাকা লেনদেন হয়নি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। চাকরি না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।’
তালম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামান বলেন, ‘অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান আমার উপস্থিতিতে ছয় লাখ টাকা নিয়েছেন। এ সময় ইউপি সদস্য ইসহাক উপস্থিত ছিলেন। এখন অধ্যক্ষ বলছেন দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। এই টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে ফাতেমার স্বামী তাঁকে তালাক দিয়েছেন। অধ্যক্ষ যা বলছেন তা মিথ্যা। তিনি ছয় লাখ টাকাই নিয়েছেন।’
ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
৪ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৮ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
২২ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৩১ মিনিট আগে