ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। তবে হালুয়াঘাটে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও অন্তত ৫০টির মতো গ্রাম। এ নিয়ে তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন, জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন নারী শিশুসহ দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তিন উপজেলায় ৬৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া রান্না করা খাবারও দেওয়া হচ্ছে বন্যা দুর্গতদের।
ধোবাউড়া উপজেলার কোড়াকান্দলিয়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ধোবাউড়া বন্যা দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তবে কিছু এলাকায় খাবারের ব্যবস্থা করছেন প্রশাসন। এ ছাড়াও নেতাই নদীর আশপাশের এলাকায় অন্তত অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। পানিবন্দী অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। উজানের পানি নেমে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। চার দিনের টানা দুর্ভোগে দিশেহারা মানুষ।
উপজেলা সদর থেকে কলসিন্দুর পাকা রাস্তা, ঘোষগাঁও ধোবাউড়া পাকা রাস্তা, ঘোষগাঁও বালিগাঁও পাকা রাস্তা, মুন্সিরহাট বাজার থেকে শালকোনা পাকা রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ধোবাউড়া সদর উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের কুলসুম আক্তার বলেন, চার দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছি। বাড়ির উঠান ও চারপাশে হাঁটুপানির কারণে রান্নাও করা যাচ্ছে না। হাঁস-মুরগিগুলো মরে গেছে। কেউ একটু সহযোগিতাও করেনি।
ফুলপুর উপজেলার ছনধরা, রামভদ্রপুর, সিংহেশ্বর এবং ফুলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ ও অন্যান্য ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম। এসব এলাকার আমন ফসল ও সবজি খেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে মাছের খামার।
সিংহেশ্বর গ্রামের রুহুল কাজী বলেন, ‘রোববার বিকেলে আমাদের এলাকায় পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগ বাড়ে। ধান তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো পথ দেখছি না।’
এদিকে হালুয়াঘাটের প্রায় সব ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার কারণে নতুন করে আরও ১০টি প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান, সবজি খেত। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানিবন্দী হয়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘরের মধ্যে পানি ঢোকার কারণে রান্নার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ।
আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলী বলেন, ‘গত শুক্রবারের টানা বৃষ্টিতে আমাদের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে। সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও পানি কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। কদিন ধরে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
ধোবাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ১২৭ কিলোমিটার রাস্তা পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী। পানি কমলে পুরো ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার পরিমাণ নির্ণয় করে মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, ‘সোমবার নতুন করে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ২৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে উজানের পানি কিছুটা কমছে। আশা করা যাচ্ছে দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, ‘উজানে প্লাবিত হওয়া গ্রামের পানি নামতে শুরু করেছে। উপজেলার নড়াইল, কৈচাপুর, ধুরাইল এবং আমতৈল ইউনিয়ন দিয়ে পানি ফুলপুর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হলেও সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। তবে হালুয়াঘাটে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জেলায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও অন্তত ৫০টির মতো গ্রাম। এ নিয়ে তিন উপজেলার ২৩ ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন, জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা বলেন, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন নারী শিশুসহ দুই হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তিন উপজেলায় ৬৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৭ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া রান্না করা খাবারও দেওয়া হচ্ছে বন্যা দুর্গতদের।
ধোবাউড়া উপজেলার কোড়াকান্দলিয়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ধোবাউড়া বন্যা দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তবে কিছু এলাকায় খাবারের ব্যবস্থা করছেন প্রশাসন। এ ছাড়াও নেতাই নদীর আশপাশের এলাকায় অন্তত অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। পানিবন্দী অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। উজানের পানি নেমে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। চার দিনের টানা দুর্ভোগে দিশেহারা মানুষ।
উপজেলা সদর থেকে কলসিন্দুর পাকা রাস্তা, ঘোষগাঁও ধোবাউড়া পাকা রাস্তা, ঘোষগাঁও বালিগাঁও পাকা রাস্তা, মুন্সিরহাট বাজার থেকে শালকোনা পাকা রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ধোবাউড়া সদর উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের কুলসুম আক্তার বলেন, চার দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছি। বাড়ির উঠান ও চারপাশে হাঁটুপানির কারণে রান্নাও করা যাচ্ছে না। হাঁস-মুরগিগুলো মরে গেছে। কেউ একটু সহযোগিতাও করেনি।
ফুলপুর উপজেলার ছনধরা, রামভদ্রপুর, সিংহেশ্বর এবং ফুলপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ ও অন্যান্য ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম। এসব এলাকার আমন ফসল ও সবজি খেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে মাছের খামার।
সিংহেশ্বর গ্রামের রুহুল কাজী বলেন, ‘রোববার বিকেলে আমাদের এলাকায় পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগ বাড়ে। ধান তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো পথ দেখছি না।’
এদিকে হালুয়াঘাটের প্রায় সব ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার কারণে নতুন করে আরও ১০টি প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধান, সবজি খেত। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানিবন্দী হয়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘরের মধ্যে পানি ঢোকার কারণে রান্নার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ।
আমতৈল গ্রামের সুরুজ আলী বলেন, ‘গত শুক্রবারের টানা বৃষ্টিতে আমাদের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে। সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও পানি কমার কোনো লক্ষণ দেখছি না। কদিন ধরে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
ধোবাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ১২৭ কিলোমিটার রাস্তা পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী। পানি কমলে পুরো ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার পরিমাণ নির্ণয় করে মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, ‘সোমবার নতুন করে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ২৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে উজানের পানি কিছুটা কমছে। আশা করা যাচ্ছে দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ বলেন, ‘উজানে প্লাবিত হওয়া গ্রামের পানি নামতে শুরু করেছে। উপজেলার নড়াইল, কৈচাপুর, ধুরাইল এবং আমতৈল ইউনিয়ন দিয়ে পানি ফুলপুর হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নতুন কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হলেও সার্বিক পরিস্থিতি ভালো।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
৪০ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে