রকিব হাসান নয়ন মেলান্দহ (জামালপুর)
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দেওয়া হয়েছে আধাপাকা ঘর। তবে জামালপুরের মেলান্দহে জমিসহ এই ঘর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৪টি ঘরের মধ্যে ১৬টিতে ঝুলছে তালা। কারণ, এসব ঘর যাঁরা বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁরা সেখানে থাকছেন না। তাঁদের অন্যত্র বাড়ি থাকায় উপহারের ঘর খালি পড়ে রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য ২ শতাংশ খাসজমিতে দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ সব সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্পের আটটি ঘরে মানুষ রয়েছে। বাকি ১৬টি ঘরের দরজায় তালা মারা। ঘরের বারান্দায় খড়কুটো ও লাকড়ি স্তূপ করে রাখা আছে। আবার কিছু ঘরের ভেতরেও খড়কুটো ও লাকড়ি এবং বারান্দায় ছাগল বাঁধা রয়েছে। ঘর বরাদ্দ পাওয়া আহাদ আলী, রাজ্জাক মিয়া, শফিকুল ইসলাম, খলিল মিয়া, নওশাদ আলী, সাবান আলী, জয়গুন বেগম, ফাতেমা বেগম, খলিল মিয়া, বিল্লাল হোসেনসহ ১৬ সুবিধাভোগী এখানে না থেকে নিজ বাড়িতে থাকেন।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা সুফিয়া বেগম, সালমা, শিউলিসহ কয়েকজন জানান, সব ঘরে লোকজন থাকলে নিরাপদে থাকা যেত। অধিকাংশ ঘরে কেউ থাকেন না। রাতে ঘর থেকে বের হতে ভয়ে গা ভারী হয়ে যায়। সবাই যে যাঁর মতো ঘরে তালা ঝুলিয়ে গেছেন। এদিকে ফিরেও দেখেন না। তাঁদের ঘরবাড়ি-জমিজমা আছে। তা-ও ঘর পেয়েছেন, তাই এখানে থাকেন না।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা নূরচান মিয়া বলেন, বেশির ভাগ ঘর ফাঁকা, লোকজন থাকে না। যাঁদের জায়গা-জমি আছে, তাঁরাও এখানে ঘর নিয়েছেন। লোকজন কেউ আশ্রয়ণের ঘর দেখতে এলে দু-একজন আবার ঘরে আসেন। লোকজন চলে গেলে আবার তালা মেরে চলে যান।
আশ্রয়ণের ঘরে না থাকা আহাদের নিজ বাড়িতে গিয়ে ভিটে পাকা টিনশেড ঘর পাওয়া যায়। বাড়ির জায়গাও বেশ বড়। জমি-ঘর থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সরকারি ঘর পেয়েছেন, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ঘরটা আমার ছেলের জন্য। আমার ছেলে এখন ঢাকায় থাকে। ছেলেরা তো এখনো জায়গা-জমি পায় নাই।’
আরেকটি ঘর পাওয়া খলিলের বাড়িতে গিয়েও টিনশেড ঘর পাওয়া গেছে। তিনি কীভাবে প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন, তা জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি।
এ নিয়ে কথা হয় শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সায়েদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাঁরাই সব কাজ করেছেন। এখানে চেয়ারম্যানদের নিয়ে কোনো কাজ করেননি। এ বিষয়ে ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সাবেক চেয়ারম্যান থাকাকালীন কাজগুলো হয়েছে। কে কীভাবে ঘর পেয়েছে, তা জানা নেই।’
যোগাযোগ করা হলে মেলান্দহ উপজেলার ইউএনও মাহবুবা হক বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। বিষয়টি জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দেওয়া হয়েছে আধাপাকা ঘর। তবে জামালপুরের মেলান্দহে জমিসহ এই ঘর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৪টি ঘরের মধ্যে ১৬টিতে ঝুলছে তালা। কারণ, এসব ঘর যাঁরা বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁরা সেখানে থাকছেন না। তাঁদের অন্যত্র বাড়ি থাকায় উপহারের ঘর খালি পড়ে রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য ২ শতাংশ খাসজমিতে দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ সব সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রকল্পের আটটি ঘরে মানুষ রয়েছে। বাকি ১৬টি ঘরের দরজায় তালা মারা। ঘরের বারান্দায় খড়কুটো ও লাকড়ি স্তূপ করে রাখা আছে। আবার কিছু ঘরের ভেতরেও খড়কুটো ও লাকড়ি এবং বারান্দায় ছাগল বাঁধা রয়েছে। ঘর বরাদ্দ পাওয়া আহাদ আলী, রাজ্জাক মিয়া, শফিকুল ইসলাম, খলিল মিয়া, নওশাদ আলী, সাবান আলী, জয়গুন বেগম, ফাতেমা বেগম, খলিল মিয়া, বিল্লাল হোসেনসহ ১৬ সুবিধাভোগী এখানে না থেকে নিজ বাড়িতে থাকেন।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা সুফিয়া বেগম, সালমা, শিউলিসহ কয়েকজন জানান, সব ঘরে লোকজন থাকলে নিরাপদে থাকা যেত। অধিকাংশ ঘরে কেউ থাকেন না। রাতে ঘর থেকে বের হতে ভয়ে গা ভারী হয়ে যায়। সবাই যে যাঁর মতো ঘরে তালা ঝুলিয়ে গেছেন। এদিকে ফিরেও দেখেন না। তাঁদের ঘরবাড়ি-জমিজমা আছে। তা-ও ঘর পেয়েছেন, তাই এখানে থাকেন না।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা নূরচান মিয়া বলেন, বেশির ভাগ ঘর ফাঁকা, লোকজন থাকে না। যাঁদের জায়গা-জমি আছে, তাঁরাও এখানে ঘর নিয়েছেন। লোকজন কেউ আশ্রয়ণের ঘর দেখতে এলে দু-একজন আবার ঘরে আসেন। লোকজন চলে গেলে আবার তালা মেরে চলে যান।
আশ্রয়ণের ঘরে না থাকা আহাদের নিজ বাড়িতে গিয়ে ভিটে পাকা টিনশেড ঘর পাওয়া যায়। বাড়ির জায়গাও বেশ বড়। জমি-ঘর থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সরকারি ঘর পেয়েছেন, এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ঘরটা আমার ছেলের জন্য। আমার ছেলে এখন ঢাকায় থাকে। ছেলেরা তো এখনো জায়গা-জমি পায় নাই।’
আরেকটি ঘর পাওয়া খলিলের বাড়িতে গিয়েও টিনশেড ঘর পাওয়া গেছে। তিনি কীভাবে প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন, তা জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি।
এ নিয়ে কথা হয় শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সায়েদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাঁরাই সব কাজ করেছেন। এখানে চেয়ারম্যানদের নিয়ে কোনো কাজ করেননি। এ বিষয়ে ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সাবেক চেয়ারম্যান থাকাকালীন কাজগুলো হয়েছে। কে কীভাবে ঘর পেয়েছে, তা জানা নেই।’
যোগাযোগ করা হলে মেলান্দহ উপজেলার ইউএনও মাহবুবা হক বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। বিষয়টি জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে
১১ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
২০ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
১ ঘণ্টা আগে