নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিকাশ কর্মী শাকিব জাহানকে হত্যা করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় স্বপন মিয়া (২১) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার বিকেলে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার বিরামপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্বপন মিয়া ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আজ রোববার ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪-এর কিশোরগঞ্জ সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির এ তথ্য জানান। হত্যার শিকার শাকিব জাহান কেন্দুয়া উপজেলার মনকান্দা পূর্বপাড়া গ্রামের শান্তু মিয়ার ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, গত ২৩ অক্টোবর রাতে বিকাশের ৩ লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শহর থেকে মনকান্দা গ্রামে যাচ্ছিলেন শাকিব। গ্রামের পাকা রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল থামিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকা ছিনিয়ে নেন স্বপন ও তাঁর সহযোগীরা। স্থানীয় লোকজন শাকিবকে উদ্ধার করে প্রথমে কেন্দুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিব মারা যান।

ঘটনার পরদিন শাকিবের বাবা শান্তু মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের আজিজুল ও স্বপন মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। শাকিবের মৃত্যুর পর সেটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

এদিকে ঘটনার পর আসামিরা এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দেয়। র‍্যাব তৎপরতা চালিয়ে গতকাল শনিবার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি স্বপন মিয়াকে নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় শনাক্ত করে। পরে র‍্যাব-১৪ এর কিশোরগঞ্জ সিপিসি-২ ও নরসিংদী র‍্যাব-১১-এর যৌথ অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১৪-এর কিশোরগঞ্জ সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির বলেন, গ্রেপ্তার স্বপন মিয়াকে কেন্দুয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই মামলার পলাতক অন্য আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুকনুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রেপ্তার স্বপনকে আজ দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ মামলার ৯ জন আসামির মধ্যে তিনজন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন। বাকি পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।