ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
বাবা-মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে জন্মস্থান ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী দুর্গাপুর গ্রামে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বিপাকে পড়েছে সোহেলের পরিবার। বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের পাশাপাশি ভাইবোনদেরও দেখভাল করতেন সোহেল। আজ শুক্রবার সোহেলের জন্মভিটা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মায়ের আহাজারি থামছেই না।
ছেলের শোকে বিলাপ করতে করতে মা হাসনা আরা বেগম বলেন, ‘ছেলের দেওয়া আম, কাঁঠাল খাওনের আগেই ছেলের গুলি খাওয়ার খবর পাই। আমাকে এহন কেডা এভাবে আম, কাঁঠাল কিনে দিয়ে আসব। আমার সোহেলের তো কোনো অপরাধ ছিল না! তাইলে কেন তারে মারলো? তার ছুডু বাচ্চাডারে কেডা দেখব, তার ভবিষ্যৎ কী? আমাদের সাজানো সংসারডা তছনছ অইয়া গেল!’
দীর্ঘদিন আগে গ্রামের বাড়িভিটা বেচে ঢাকায় থিতু হন সোহেলের বাবা সুরুজ হাওলাদার। ভাড়া বাসায় থেকে অনেক কষ্টে সন্তানদের বড় করেছেন। ভাসমান কাঁচামালের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। এখন বয়সের ভারে আর কিছু করতে পারেন না। বড় ছেলে সোহেলই ছিলেন একমাত্র ভরসা। ছোট ছেলে জুয়েল বড় ভাইয়ের দোকানে থেকে সহযোগিতা ও মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ শিখছিলেন।
ঢাকার শনির আখড়া আরএস টাওয়ার মার্কেটে সোহেল টেলিকম নামে একটি দোকান রয়েছে। সেটিই সোহেলের একমাত্র সম্পদ। সোহেলের সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী আয়েশা পাগলপ্রায়।
সোহেলের বাবা সুরুজ হাওলাদার ঘটনার বিবরণ দিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঝামেলায় মার্কেট বন্ধ। সবাই ডরেভয়ে রয়েছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী ছেলের বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মিরাজ নগরে বাসা নিয়ে থাকি। বাসা ভাড়াসহ আমাদের যাবতীয় খরচ সোহেলই বহন করে। ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক আগে ২৫ কেজির এক বস্তা চাল, আম ও কাঁঠাল কিনে বাসায় দিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় বলছে, আব্বা চতুর্দিকে গ্যাঞ্জাম, বাইরে বের অইয়েন না, বাসায়ই থাইকেন। কিছু লাগলে আমাকে কইয়েন। তখন তার মা আবার কইল, বাবা সোহেল, আম আনছ, দুধ আছে ঘরে, বিকালে আইয়া পইরো। আম দিয়া দুধ দিয়া খাইবা।
সুরুজ হাওলাদার বলেন, ‘আমাকে সতর্ক করে যাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে সোহেল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাই। তার দেওয়া আম, কাঁঠাল এখন ঘরে পচতেছে। আমার বাসা থেকে তার বাসায় ফিরে খাওয়াদাওয়া করে বাড়িওয়ালা ও আরেক ছেলেসহ তারা নিচে নামছে। একটু এগিয়ে দেখছে যে গ্যাঞ্জাম হইতেছে। তখন বাড়িওয়ালা বলছে, সোহেল, পরিবেশ ভালো না, ওপরে উইঠা পড়ো। এই বলে বাড়িওয়ালা ওপরে উইঠা পড়ছে। কিন্তু সে আর যায় নাই। সে দনিয়ায় তার বাসার গলির সামনের মুদির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দেখতেছিল। ওই সময়ই গুলি লেগেছে। পেটে গুলি লেগে এফোঁড়–ওফোঁড় হয়ে দোকানে থাকা ফ্রিজে লেগেছে।’
আশপাশের লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ২২ জুলাই তাঁকে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাবা-মাকে আম, কাঁঠাল ও চাল পৌঁছে দিয়ে বাইরে বের না হতে সতর্ক করে বাড়ি ফিরেছিলেন মো. সোহেল মিয়া (৩৫)। বাড়ির সামনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান এই মোবাইল টেকনিশিয়ান। তিনি ঢাকার রায়েরবাগ কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে জন্মস্থান ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী দুর্গাপুর গ্রামে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বিপাকে পড়েছে সোহেলের পরিবার। বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের পাশাপাশি ভাইবোনদেরও দেখভাল করতেন সোহেল। আজ শুক্রবার সোহেলের জন্মভিটা ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মায়ের আহাজারি থামছেই না।
ছেলের শোকে বিলাপ করতে করতে মা হাসনা আরা বেগম বলেন, ‘ছেলের দেওয়া আম, কাঁঠাল খাওনের আগেই ছেলের গুলি খাওয়ার খবর পাই। আমাকে এহন কেডা এভাবে আম, কাঁঠাল কিনে দিয়ে আসব। আমার সোহেলের তো কোনো অপরাধ ছিল না! তাইলে কেন তারে মারলো? তার ছুডু বাচ্চাডারে কেডা দেখব, তার ভবিষ্যৎ কী? আমাদের সাজানো সংসারডা তছনছ অইয়া গেল!’
দীর্ঘদিন আগে গ্রামের বাড়িভিটা বেচে ঢাকায় থিতু হন সোহেলের বাবা সুরুজ হাওলাদার। ভাড়া বাসায় থেকে অনেক কষ্টে সন্তানদের বড় করেছেন। ভাসমান কাঁচামালের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করেছেন তিনি। এখন বয়সের ভারে আর কিছু করতে পারেন না। বড় ছেলে সোহেলই ছিলেন একমাত্র ভরসা। ছোট ছেলে জুয়েল বড় ভাইয়ের দোকানে থেকে সহযোগিতা ও মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ শিখছিলেন।
ঢাকার শনির আখড়া আরএস টাওয়ার মার্কেটে সোহেল টেলিকম নামে একটি দোকান রয়েছে। সেটিই সোহেলের একমাত্র সম্পদ। সোহেলের সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী আয়েশা পাগলপ্রায়।
সোহেলের বাবা সুরুজ হাওলাদার ঘটনার বিবরণ দিয়ে আজকের পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঝামেলায় মার্কেট বন্ধ। সবাই ডরেভয়ে রয়েছে। আমরা স্বামী-স্ত্রী ছেলের বাসা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মিরাজ নগরে বাসা নিয়ে থাকি। বাসা ভাড়াসহ আমাদের যাবতীয় খরচ সোহেলই বহন করে। ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক আগে ২৫ কেজির এক বস্তা চাল, আম ও কাঁঠাল কিনে বাসায় দিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় বলছে, আব্বা চতুর্দিকে গ্যাঞ্জাম, বাইরে বের অইয়েন না, বাসায়ই থাইকেন। কিছু লাগলে আমাকে কইয়েন। তখন তার মা আবার কইল, বাবা সোহেল, আম আনছ, দুধ আছে ঘরে, বিকালে আইয়া পইরো। আম দিয়া দুধ দিয়া খাইবা।
সুরুজ হাওলাদার বলেন, ‘আমাকে সতর্ক করে যাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে সোহেল গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাই। তার দেওয়া আম, কাঁঠাল এখন ঘরে পচতেছে। আমার বাসা থেকে তার বাসায় ফিরে খাওয়াদাওয়া করে বাড়িওয়ালা ও আরেক ছেলেসহ তারা নিচে নামছে। একটু এগিয়ে দেখছে যে গ্যাঞ্জাম হইতেছে। তখন বাড়িওয়ালা বলছে, সোহেল, পরিবেশ ভালো না, ওপরে উইঠা পড়ো। এই বলে বাড়িওয়ালা ওপরে উইঠা পড়ছে। কিন্তু সে আর যায় নাই। সে দনিয়ায় তার বাসার গলির সামনের মুদির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দেখতেছিল। ওই সময়ই গুলি লেগেছে। পেটে গুলি লেগে এফোঁড়–ওফোঁড় হয়ে দোকানে থাকা ফ্রিজে লেগেছে।’
আশপাশের লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ২২ জুলাই তাঁকে গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৩ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৩ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে