ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের ইসলামপুর থানায় কর্মরত এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকাজে ঘুষ নেওয়া ও সেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতিকার চেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বরাবর এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইসলামপুর থানায় কর্মরত অভিযোগ ওঠা এসআই হলেন মো. আব্দুল কাদির খন্দকার। অভিযোগ দেওয়া ব্যবসায়ী হলেন আকুল হোসেন। তিনি ইসলামপুর পৌর শহরের মার্কাজ মসজিদ রোডের বিজয় ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এবং পার্শ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার দুরমোঠ ইউনিয়নের কলাবাঁধা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের হাড়িয়াবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মলমগঞ্জ পোলট্রি ফার্মের মালিক জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট পৌর শহরের মার্কাজ মসজিদ রোডের আকুল হোসেনের বিজয় ট্রেডার্স নামের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে মুরগি ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নগদ টাকায় এবং বাকিতে কিনে আসছিলেন। একপর্যায়ে মালামাল কেনা বাবদ জাহাঙ্গীর আলম সম্রাটের কাছে ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা পান আকুল হোসেন। কিন্তু তাঁকে পাওনা টাকা দিতে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছিলেন সম্রাট। টাকা চাওয়ার একপর্যায়ে আকুল হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন সম্রাট। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলম সম্রাটকে বিবাদী করে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসলামপুর সিআর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আকুল হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান এসআই আব্দুল কাদির। তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আকুল হোসেনের কাছে এসআই আব্দুল কাদির ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে কাজ হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। আকুল হোসেন প্রথমে ২ হাজার টাকা এসআই আব্দুল কাদিরকে দেন। কিন্তু কম টাকায় কাজ হবে না বলে আকুল হোসেনকে জানিয়ে দেন ওই এসআই। একপর্যায়ে অনেকটাই বাধ্য হয়ে আকুল হোসেন ওই এসআইকে ৬ হাজার টাকা দেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় বিবাদীর পক্ষাবলম্বন করে মামলায় সাক্ষীদের মতামত না নিয়ে এসআই আব্দুল কাদির আদালতে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র সূত্রে আরও জানা গেছে, চারটি ধারায় বিবাদীর বিরুদ্ধে আকুল হোসেন মামলা করলেও মাত্র একটি ধারা বিবাদীর বিরুদ্ধে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিবাদী সম্রাটের কাছে বকেয়া ৭ লাখ ৪৭ টাকার বদলে ১ লাখ ১৩ টাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করলেও বিবাদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারা আনেননি এসআই আব্দুল কাদির খন্দকার। তবে বিবাদীর বিরুদ্ধে ৫০৬ ধারার অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে। টাকা নিয়েও সঠিক প্রতিবেদন না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলায় আকুল হোসেনকে এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতির হুমকি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
ভুক্তভোগী অভিযোগকারী ব্যবসায়ী আকুল হোসেন বলেন, ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আমার কাছে এসআই আব্দুল কাদির ২০ হাজার টাকা দাবি করলে অনেকটাই বাধ্য হয়ে দুই দফায় তাঁকে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছি। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না দেওয়ায় বিবাদীর পক্ষাবলম্বন করে মামলার সাক্ষীদের মতামত গ্রহণ না করে আদালতে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এসআই আব্দুল কাদির খন্দকার। এতে আমি ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির খন্দকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আইন অনুযায়ী তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমি নির্দোষ।’
ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিত দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসআই আব্দুল কাদির খন্দকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অনেকগুলো অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা অভিযোগকারীকে ডাকব। অভিযোগের বিষয়ে বাদীসহ সাক্ষীদের কাছে বিস্তারিত শুনব। তারপর আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
জামালপুরের ইসলামপুর থানায় কর্মরত এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকাজে ঘুষ নেওয়া ও সেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতিকার চেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) বরাবর এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইসলামপুর থানায় কর্মরত অভিযোগ ওঠা এসআই হলেন মো. আব্দুল কাদির খন্দকার। অভিযোগ দেওয়া ব্যবসায়ী হলেন আকুল হোসেন। তিনি ইসলামপুর পৌর শহরের মার্কাজ মসজিদ রোডের বিজয় ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এবং পার্শ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার দুরমোঠ ইউনিয়নের কলাবাঁধা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের হাড়িয়াবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মলমগঞ্জ পোলট্রি ফার্মের মালিক জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট পৌর শহরের মার্কাজ মসজিদ রোডের আকুল হোসেনের বিজয় ট্রেডার্স নামের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে মুরগি ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নগদ টাকায় এবং বাকিতে কিনে আসছিলেন। একপর্যায়ে মালামাল কেনা বাবদ জাহাঙ্গীর আলম সম্রাটের কাছে ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা পান আকুল হোসেন। কিন্তু তাঁকে পাওনা টাকা দিতে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছিলেন সম্রাট। টাকা চাওয়ার একপর্যায়ে আকুল হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন সম্রাট। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলম সম্রাটকে বিবাদী করে জামালপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসলামপুর সিআর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন আকুল হোসেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান এসআই আব্দুল কাদির। তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আকুল হোসেনের কাছে এসআই আব্দুল কাদির ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে কাজ হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। আকুল হোসেন প্রথমে ২ হাজার টাকা এসআই আব্দুল কাদিরকে দেন। কিন্তু কম টাকায় কাজ হবে না বলে আকুল হোসেনকে জানিয়ে দেন ওই এসআই। একপর্যায়ে অনেকটাই বাধ্য হয়ে আকুল হোসেন ওই এসআইকে ৬ হাজার টাকা দেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় বিবাদীর পক্ষাবলম্বন করে মামলায় সাক্ষীদের মতামত না নিয়ে এসআই আব্দুল কাদির আদালতে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্র সূত্রে আরও জানা গেছে, চারটি ধারায় বিবাদীর বিরুদ্ধে আকুল হোসেন মামলা করলেও মাত্র একটি ধারা বিবাদীর বিরুদ্ধে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। বিবাদী সম্রাটের কাছে বকেয়া ৭ লাখ ৪৭ টাকার বদলে ১ লাখ ১৩ টাকার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করলেও বিবাদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারা আনেননি এসআই আব্দুল কাদির খন্দকার। তবে বিবাদীর বিরুদ্ধে ৫০৬ ধারার অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে। টাকা নিয়েও সঠিক প্রতিবেদন না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলায় আকুল হোসেনকে এসআইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতির হুমকি দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
ভুক্তভোগী অভিযোগকারী ব্যবসায়ী আকুল হোসেন বলেন, ‘মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আমার কাছে এসআই আব্দুল কাদির ২০ হাজার টাকা দাবি করলে অনেকটাই বাধ্য হয়ে দুই দফায় তাঁকে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছি। কিন্তু দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না দেওয়ায় বিবাদীর পক্ষাবলম্বন করে মামলার সাক্ষীদের মতামত গ্রহণ না করে আদালতে মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন এসআই আব্দুল কাদির খন্দকার। এতে আমি ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির খন্দকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আইন অনুযায়ী তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমি নির্দোষ।’
ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিত দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসআই আব্দুল কাদির খন্দকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অনেকগুলো অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা অভিযোগকারীকে ডাকব। অভিযোগের বিষয়ে বাদীসহ সাক্ষীদের কাছে বিস্তারিত শুনব। তারপর আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৩ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৩ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে