নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
‘আমাদের এই বাড়িতে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দাদার নামে একটি শহীদ মিনার করা হয়েছে। তাও এখন জরাজীর্ণ। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে লোকজন কষ্ট করে আসেন। এরপর সারা বছর খোঁজ রাখে না কেউ। বাড়ির পাশের জমিতে দাদার নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। বাবার ইচ্ছা ছিল দাদার নামে পাওয়া পদক ও সম্মাননাগুলো সেই কমপ্লেক্স রাখবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই বাবা মারা গেলেন। আমরা চাই বাবার স্বপ্নটা পূর্ণতা পাক।’
আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের নাতনি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মেয়ে আফরোজা বেগম।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় শিমুলকুচি গ্রামে ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের নামে করা শহীদ মিনার বেদিতে যাতায়াতে নেই কোনো সড়ক। অজপাড়া গ্রামে জব্বারের মা, ভাই, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের কবর পড়ে আছে অযত্নে। কেউ দেখিয়ে না দিলে চেনার উপায় নেই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কবরের পাশে ছোট করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের জন্মস্থান ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। ১৯৫০ সালের শেষ দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী গাজিরভিটা ইউনিয়নের শিমূলকুচি গ্রামে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আসেন। তখন আবদুল জব্বার আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আবদুল জব্বার শহীদ হন।
জব্বারের স্মৃতি রক্ষায় শিমুলকুচি গ্রামে ১৯৯৫ সালে এক একর জমিতে ‘শহীদ আবদুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই বিদ্যালয়টি এখন ‘শহীদ আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ উন্নীত করা হয়েছে। শিমুলকুচি গ্রামে ২০০০ সালে জব্বারের ছোট ভাই আবদুল কাদিরের দেওয়া ২০ শতাংশ জমিতে ‘ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার জামে মসজিদ ও পাঠাগার’ নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালে গড়ে তোলা হয় ‘ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন’। ২০১০ সালে আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন পায়।
৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে ২৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি টিনের চালা ঘরে ফাউন্ডেশনের কাজ চলত। ওই ঘরটি ঝড়ে ভেঙে পড়ায় সেখানে এখন খড়ের ঢিবি রয়েছে। বাড়ির পাশে ২০০৮ সালে জব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুন স্বামীর স্মরণে ৮ হাজার টাকা খরচে ছোট আকারে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। পরে জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করেন। পরে ২০১০ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিমুলকুচি গ্রামে জব্বারের ছেলের বাড়ির পাশের জমিতে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সেই শহীদ মিনারটিও এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
শহীদ জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়িতে যাওয়ার নেই কোনো রাস্তা। বাড়িতে যেতে হয় খেতের আইল ধরে। ২০২১ সালে নুরুল ইসলামের মৃত্যু হলে সেই বাড়িতেই কবর দেওয়া হয়। কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১১ সালে জব্বার জামে মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে জব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুনকে। ১৯৭৮ সালে সামাজিক কবর স্থানে জব্বারের মা সাফাতুন্নেছাকে কবর দেওয়া হয়। মায়ের কবরটি পাকা করা হলেও জব্বারের স্ত্রী ও সন্তানের কবর গুলো সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে বাঁশের বেড়া দিয়ে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে জব্বারের নামে করা বিভিন্ন স্থাপনাগুলো সংস্কার করার দাবি করেন। এ ছাড়া ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের স্মরণে শহীদ মিনার পর্যন্ত যাতায়াতের ৮১০ মিটার সড়ক পাকা করে দিয়ে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত গ্রামকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দাবি জানান।
সরেজমিনে শিমুলকুচি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলকুচি গ্রামে সীমান্ত সড়কের পাশেই শহীদ আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। তাঁর ১০০ মিটার পূর্ব দিকে সামাজিক কবরস্থানে জব্বারের মায়ের কবর। সেখান থেকে ৩০০ মিটার মাটির রাস্তা পেরিয়ে গেলে ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার জামে মসজিদ। পুরোনো টিনে গড়া মসজিদটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাঁর পাশে জব্বারের স্ত্রী ও চার ভাইয়ের কবর। কবরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। শুধু জব্বারের স্ত্রীর কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জব্বারের কবর থেকে ছেলের বাড়ির দূরত্ব ৫০০ মিটার। এ পথ অতিক্রম করতে দুটি বাড়ির আঙিনা হয়ে ১০০ মিটার খেতের আইল মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। সেখানে জব্বারের স্মরণে একটি শহীদ মিনার যা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বেদিতে বিভিন্ন গাছ জন্ম নিয়েছে। তার উত্তর পাশে জব্বার ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত জায়গা। ঝড়ে ঘরটি পড়ে যাওয়ায় সেখানে এখন খড়ের গাদা করা হয়েছে। তার দক্ষিণ পাশেই জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়ি। ২০২১ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করায় বাড়ির আঙিনার অদূরে তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে। কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
শিমুলকুচি গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন মিয়া বলেন, জব্বারের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম তাঁর বাবার নামে এখানে একটা বড় আকারে প্রতিষ্ঠান করার স্বপ্ন দেখতেন। বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণে কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সহযোগিতা না পাওয়ায় সেটা আর হয়নি। পরে তিনি ২০২১ সালে মারা যান।
জব্বার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জব্বারের ভাতিজা মো. আতিক উল্লাহ বলেন, ‘দুইবার ঝড়ে ফাউন্ডেশনের ঘরটি ভেঙে পড়েছে। কার্যক্রম পরিচালনায় হালুয়াঘাট শহরে একটি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই বছর ধরে অনুদান বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে ওখানে আমাদের জমিতে ভাষা সৈনিক আবদুল জব্বারের নামে একটি বড় করে কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে চাই। যেখানে পাঠাগার, জাদুঘরসহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা হবে। যেখানে দেশ বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। এ ছাড়া দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই ভাষা শহীদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভায় ভাষা শহীদ আবদুল জব্বারের ভাতিজা আতিক উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সমস্যার কথা উপস্থাপন করেছেন। পর্যায়ক্রমে সেগুলো নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘আমাদের এই বাড়িতে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে দাদার নামে একটি শহীদ মিনার করা হয়েছে। তাও এখন জরাজীর্ণ। শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি এলেই এখানে লোকজন কষ্ট করে আসেন। এরপর সারা বছর খোঁজ রাখে না কেউ। বাড়ির পাশের জমিতে দাদার নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স করার স্বপ্ন দেখতেন বাবা। বাবার ইচ্ছা ছিল দাদার নামে পাওয়া পদক ও সম্মাননাগুলো সেই কমপ্লেক্স রাখবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই বাবা মারা গেলেন। আমরা চাই বাবার স্বপ্নটা পূর্ণতা পাক।’
আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের নাতনি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মেয়ে আফরোজা বেগম।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় শিমুলকুচি গ্রামে ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের নামে করা শহীদ মিনার বেদিতে যাতায়াতে নেই কোনো সড়ক। অজপাড়া গ্রামে জব্বারের মা, ভাই, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের কবর পড়ে আছে অযত্নে। কেউ দেখিয়ে না দিলে চেনার উপায় নেই। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কবরের পাশে ছোট করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভাষা সৈনিক শহীদ আবদুল জব্বারের জন্মস্থান ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। ১৯৫০ সালের শেষ দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী গাজিরভিটা ইউনিয়নের শিমূলকুচি গ্রামে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আসেন। তখন আবদুল জব্বার আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আবদুল জব্বার শহীদ হন।
জব্বারের স্মৃতি রক্ষায় শিমুলকুচি গ্রামে ১৯৯৫ সালে এক একর জমিতে ‘শহীদ আবদুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই বিদ্যালয়টি এখন ‘শহীদ আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ উন্নীত করা হয়েছে। শিমুলকুচি গ্রামে ২০০০ সালে জব্বারের ছোট ভাই আবদুল কাদিরের দেওয়া ২০ শতাংশ জমিতে ‘ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার জামে মসজিদ ও পাঠাগার’ নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালে গড়ে তোলা হয় ‘ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন’। ২০১০ সালে আবদুল জব্বার ফাউন্ডেশন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন পায়।
৯ সদস্যের কার্যকরী কমিটির মাধ্যমে ২৪ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি টিনের চালা ঘরে ফাউন্ডেশনের কাজ চলত। ওই ঘরটি ঝড়ে ভেঙে পড়ায় সেখানে এখন খড়ের ঢিবি রয়েছে। বাড়ির পাশে ২০০৮ সালে জব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুন স্বামীর স্মরণে ৮ হাজার টাকা খরচে ছোট আকারে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। পরে জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করেন। পরে ২০১০ সালে জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিমুলকুচি গ্রামে জব্বারের ছেলের বাড়ির পাশের জমিতে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সেই শহীদ মিনারটিও এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
শহীদ জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়িতে যাওয়ার নেই কোনো রাস্তা। বাড়িতে যেতে হয় খেতের আইল ধরে। ২০২১ সালে নুরুল ইসলামের মৃত্যু হলে সেই বাড়িতেই কবর দেওয়া হয়। কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১১ সালে জব্বার জামে মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে জব্বারের স্ত্রী আমেনা খাতুনকে। ১৯৭৮ সালে সামাজিক কবর স্থানে জব্বারের মা সাফাতুন্নেছাকে কবর দেওয়া হয়। মায়ের কবরটি পাকা করা হলেও জব্বারের স্ত্রী ও সন্তানের কবর গুলো সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে বাঁশের বেড়া দিয়ে তা সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে জব্বারের নামে করা বিভিন্ন স্থাপনাগুলো সংস্কার করার দাবি করেন। এ ছাড়া ভাষাশহীদ আবদুল জব্বারের স্মরণে শহীদ মিনার পর্যন্ত যাতায়াতের ৮১০ মিটার সড়ক পাকা করে দিয়ে তাঁর স্মৃতিবিজড়িত গ্রামকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দাবি জানান।
সরেজমিনে শিমুলকুচি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শিমুলকুচি গ্রামে সীমান্ত সড়কের পাশেই শহীদ আবদুল জব্বার স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। তাঁর ১০০ মিটার পূর্ব দিকে সামাজিক কবরস্থানে জব্বারের মায়ের কবর। সেখান থেকে ৩০০ মিটার মাটির রাস্তা পেরিয়ে গেলে ভাষাশহীদ আবদুল জব্বার জামে মসজিদ। পুরোনো টিনে গড়া মসজিদটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাঁর পাশে জব্বারের স্ত্রী ও চার ভাইয়ের কবর। কবরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। শুধু জব্বারের স্ত্রীর কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জব্বারের কবর থেকে ছেলের বাড়ির দূরত্ব ৫০০ মিটার। এ পথ অতিক্রম করতে দুটি বাড়ির আঙিনা হয়ে ১০০ মিটার খেতের আইল মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। সেখানে জব্বারের স্মরণে একটি শহীদ মিনার যা জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। বেদিতে বিভিন্ন গাছ জন্ম নিয়েছে। তার উত্তর পাশে জব্বার ফাউন্ডেশনের নির্ধারিত জায়গা। ঝড়ে ঘরটি পড়ে যাওয়ায় সেখানে এখন খড়ের গাদা করা হয়েছে। তার দক্ষিণ পাশেই জব্বারের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়ি। ২০২১ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করায় বাড়ির আঙিনার অদূরে তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে। কবরটি বাঁশের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
শিমুলকুচি গ্রামের বাসিন্দা মো. লিটন মিয়া বলেন, জব্বারের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম তাঁর বাবার নামে এখানে একটা বড় আকারে প্রতিষ্ঠান করার স্বপ্ন দেখতেন। বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণে কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সহযোগিতা না পাওয়ায় সেটা আর হয়নি। পরে তিনি ২০২১ সালে মারা যান।
জব্বার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জব্বারের ভাতিজা মো. আতিক উল্লাহ বলেন, ‘দুইবার ঝড়ে ফাউন্ডেশনের ঘরটি ভেঙে পড়েছে। কার্যক্রম পরিচালনায় হালুয়াঘাট শহরে একটি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই বছর ধরে অনুদান বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে ওখানে আমাদের জমিতে ভাষা সৈনিক আবদুল জব্বারের নামে একটি বড় করে কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে চাই। যেখানে পাঠাগার, জাদুঘরসহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পরিচালনা হবে। যেখানে দেশ বরেণ্য কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে। এ ছাড়া দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই ভাষা শহীদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনের প্রস্তুতি সভায় ভাষা শহীদ আবদুল জব্বারের ভাতিজা আতিক উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সমস্যার কথা উপস্থাপন করেছেন। পর্যায়ক্রমে সেগুলো নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে
৯ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
১৭ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
৪৩ মিনিট আগে