শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাজলী গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য রাশিদুল মোল্যাকে হত্যার সময় এলাকায় না থাকলেও বেশ কয়েকজনকে মামলার আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা থেকে বাদ যাননি শিক্ষক, কলেজছাত্র, পোশাককর্মী, ব্যবসায়ী, মুমূর্ষু রোগী এমনকি বৃদ্ধ ব্যক্তিও।
ঘটনাস্থলে না থেকেও আসামি হয়েছেন আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান লাবু, গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল বিশ্বাস, ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ গোলাম মুন্সি, হার্ট অপারেশনের রোগী আবু সাঈদ, পোশাককর্মী সাদ্দাম মুন্সি, চিকিৎসার জন্য ঢাকায় থাকা রেজাউল মোল্যা, ব্যবসায়ী রুবেল মোল্যা, লিটু, কলেজছাত্র রকিব ও রিফাত। এদিকে মামলার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আসামিরা।
এই মামলার প্রধান আসামি হান্নান মোল্যা ও ২০ নম্বর আসামি আতিয়ার বিশ্বাস বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাজলী গ্রামের হান্নান মোল্যার সঙ্গে হোগলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হাই পবন মল্লিকের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাজলী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাশিদুলের ওপর হামলা করেন হান্নানের সমর্থকেরা। এ সময় তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে রাশিদুলকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাশিদুল আব্দুল হাই পবনের সমর্থক ছিলেন। পরে নিহতের ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪৪ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ফয়জুর রহমান লাবু বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি শ্রীপুরে ছিলাম। এ সময় আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীসহ শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি শিক্ষক সমিতির আলোচনা সভা শেষে শ্রীপুর কলেজ মোড়ে নিজস্ব দোকানে ছিলাম। এর যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আমার কাছে আছে।’
আবু সাঈদ বলেন, আমার হার্ট ব্লক। ওই সময় হার্টে রিং পরানো ছিল। আমি অসুস্থ ছিলাম। তবু মামলার আসামি আমি।’
গোলাম মুন্সি বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। আমার বয়স ৬৭ বছর। আমি নিজেই চলতে পারি না। মামলার এজাহারে ৫০ বছর উল্লেখ করে আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
রেজাউল মোল্লা বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলাম, যার যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে আছে। তবু আমাকে আসামি করা হয়েছে।’
এদিকে মামলার আরেক আসামি সাদ্দাম মুন্সি বলেন, ‘আমি আমতৈল সান এ্যাপারেন্স গার্মেন্টসে চাকরি করি। ঘটনার সময় আমি গার্মেন্টসে ওভারটাইম ডিউটিতে ছিলাম।’
লিটু বলেন, ‘ঘটনার দিন কাজলী বাজারে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। তবু আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
মামলার আসামি দুই কলেজছাত্র রাকিব ও রিফাত বলেন, ‘আমরা দুই ভাই শ্রীপুর সরকারি কলেজে পড়ি। ঘটনার সময় আমরা মসজিদে ছিলাম। আমাদের মিথ্যাভাবে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী এম এ রশিদ বলেন, ‘গ্রামের মারামারির ঘটনায় এভাবেই আসামি করা হয়। এ মামলায় ৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। একটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এতগুলো মানুষ যুক্ত থাকতে পারে না। এ মামলায় অনেকেই ঘটনাস্থলে না থেকে আসামি হয়েছেন। আশা করছি যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী সাইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মাগুরা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। যাঁরা নিরপরাধ তাঁদের তদন্তে প্রমাণিত হলে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাজলী গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য রাশিদুল মোল্যাকে হত্যার সময় এলাকায় না থাকলেও বেশ কয়েকজনকে মামলার আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। মামলা থেকে বাদ যাননি শিক্ষক, কলেজছাত্র, পোশাককর্মী, ব্যবসায়ী, মুমূর্ষু রোগী এমনকি বৃদ্ধ ব্যক্তিও।
ঘটনাস্থলে না থেকেও আসামি হয়েছেন আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান লাবু, গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল বিশ্বাস, ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ গোলাম মুন্সি, হার্ট অপারেশনের রোগী আবু সাঈদ, পোশাককর্মী সাদ্দাম মুন্সি, চিকিৎসার জন্য ঢাকায় থাকা রেজাউল মোল্যা, ব্যবসায়ী রুবেল মোল্যা, লিটু, কলেজছাত্র রকিব ও রিফাত। এদিকে মামলার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আসামিরা।
এই মামলার প্রধান আসামি হান্নান মোল্যা ও ২০ নম্বর আসামি আতিয়ার বিশ্বাস বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাজলী গ্রামের হান্নান মোল্যার সঙ্গে হোগলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হাই পবন মল্লিকের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে কাজলী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাশিদুলের ওপর হামলা করেন হান্নানের সমর্থকেরা। এ সময় তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে রাশিদুলকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাশিদুল আব্দুল হাই পবনের সমর্থক ছিলেন। পরে নিহতের ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪৪ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ফয়জুর রহমান লাবু বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি শ্রীপুরে ছিলাম। এ সময় আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীসহ শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি শিক্ষক সমিতির আলোচনা সভা শেষে শ্রীপুর কলেজ মোড়ে নিজস্ব দোকানে ছিলাম। এর যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আমার কাছে আছে।’
আবু সাঈদ বলেন, আমার হার্ট ব্লক। ওই সময় হার্টে রিং পরানো ছিল। আমি অসুস্থ ছিলাম। তবু মামলার আসামি আমি।’
গোলাম মুন্সি বলেন, ‘আমি বয়স্ক মানুষ। আমার বয়স ৬৭ বছর। আমি নিজেই চলতে পারি না। মামলার এজাহারে ৫০ বছর উল্লেখ করে আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
রেজাউল মোল্লা বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলাম, যার যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে আছে। তবু আমাকে আসামি করা হয়েছে।’
এদিকে মামলার আরেক আসামি সাদ্দাম মুন্সি বলেন, ‘আমি আমতৈল সান এ্যাপারেন্স গার্মেন্টসে চাকরি করি। ঘটনার সময় আমি গার্মেন্টসে ওভারটাইম ডিউটিতে ছিলাম।’
লিটু বলেন, ‘ঘটনার দিন কাজলী বাজারে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। তবু আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
মামলার আসামি দুই কলেজছাত্র রাকিব ও রিফাত বলেন, ‘আমরা দুই ভাই শ্রীপুর সরকারি কলেজে পড়ি। ঘটনার সময় আমরা মসজিদে ছিলাম। আমাদের মিথ্যাভাবে মামলার আসামি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী এম এ রশিদ বলেন, ‘গ্রামের মারামারির ঘটনায় এভাবেই আসামি করা হয়। এ মামলায় ৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। একটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এতগুলো মানুষ যুক্ত থাকতে পারে না। এ মামলায় অনেকেই ঘটনাস্থলে না থেকে আসামি হয়েছেন। আশা করছি যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত না তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী সাইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মাগুরা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। যাঁরা নিরপরাধ তাঁদের তদন্তে প্রমাণিত হলে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
৫ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৪০ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৪০ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৪০ মিনিট আগে