খুবি প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষা ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনে বিভাগের সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা এবং নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়।
পরে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে আলোচনার পর আশ্বস্ত হলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে নিয়োগ বাতিল না হলে আবারও কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানান তারা।
এর আগে গত রোববার অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারের নিয়োগ বাতিল চেয়ে শিক্ষার্থীরা ডিসিপ্লিনে অবস্থান নেন এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পরিচালনা করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অবৈধ নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ডিসিপ্লিনের সব কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিশিয়াল) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
গত রোববার অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে মানববন্ধন করে ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা।
সকালে বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কক্ষের দরজাগুলোতে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নোটিশে লেখা, ‘ডিসিপ্লিন সংস্কার কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’ আরেকটি নোটিশে লেখা, ‘অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারের নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা ডিসিপ্লিনের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের জুন মাসে খুবির সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল জব্বারকে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ২ জুলাই তাকে শিক্ষা স্কুলের ডিন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ডিসিপ্লিনের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, শিক্ষা ডিসিপ্লিনে প্রভাষক ও অধ্যাপক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষায় চার বছরের অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। অধ্যাপক পদে প্রয়োজনীয় যোগ্যতার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচডি এবং সর্বমোট ১২টি পিআর প্রকাশনার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে সম্প্রতি শিক্ষা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক পদে আবদুল জব্বারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার মূল ডিগ্রিগুলো সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে অর্জিত।
২০২২ সালের ৮ জুন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১৯ তম সিন্ডিকেট সভায় খুবিতে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালায় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে শিক্ষক নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টের সঙ্গে এ্যালাইড শব্দটি (সংশ্লিষ্ট/এ্যালাইড) সংযোজনের বিষয় অনুমোদন দেওয়া হয়। শিক্ষা ডিসিপ্লিনে অধ্যাপক নিয়োগের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতেও এ্যালাইড বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
তবে ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ-পূর্ববর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে শিক্ষা ডিসিপ্লিনে নিয়োগের জন্য শিক্ষায় বিশেষায়িত ডিগ্রি থাকা আবশ্যক ছিল। অথচ আব্দুল জব্বারকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়মকানুন পরিবর্তন করে শিক্ষায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বা অ্যাপ্লাইড বিষয় হিসেবে সমাজবিজ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ আল আজাদ বলেন, ‘সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন প্রফেসর। তার নিয়োগে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা অনুসরণ করা হয়নি।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার যে সিন্ডিকেট কমিটির দ্বারা নিয়োগ প্রাপ্ত তিনি স্বয়ং ওই কমিটির সদস্য ছিলেন। এর আগেও কয়েকবার তিনি শিক্ষা ডিসিপ্লিনে নিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের শর্তাবলি পূরণে অক্ষম হন। পরে তিনি নিজ স্বার্থে নিয়োগ প্রজ্ঞাপনে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে তার নিয়োগের পথকে উন্মুক্ত করে দেন।’
শিক্ষা ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষার্থী আবির বলেন, ‘আমরা মনে করি যে জব্বার স্যারকে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই এই অ্যাপ্লাইড সিস্টেমটি চালু করা হয়েছে। আমরা নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ বাতিল চাই।
আজ রেজাউল করিম স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আপাতত ক্লাসে ফিরব, তবে দাবি বহাল থাকবে। নিয়োগ বাতিল না হলে পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে তার যে পরিমাণে গ্রহণযোগ্যতা আছে সেটি নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু আমাদের প্রশ্নের জায়গাটি হচ্ছে, শিক্ষা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হিসেবে যে পরিমাণে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন সেখানে তিনি অনেকাংশে পিছিয়ে আছেন।’
শিক্ষার্থী জিহাদ আল শামস বলেন, ‘শিক্ষা ডিসিপ্লিনের পাঠ্যক্রম সম্পর্কে তাঁর কতটুকু জ্ঞান আছে বা তিনি কতটুকু জানেন সে বিষয়ে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি কতটুকু নিজেকে সংযুক্ত করতে পারবেন এটিও একটি প্রশ্ন।’
শিক্ষা ডিসিপ্লিনের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ্যালাইড বিষয় নির্ধারণে শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এই নিয়োগের বিষয়েও শিক্ষকেরা আগে থেকে কিছুই জানতেন না।
সদ্য পদত্যাগ করা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তার প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ম পরিবর্তন করতে পারে। বারবার সার্কুলার দেওয়ার পরও শিক্ষা ডিসিপ্লিনে অধ্যাপক পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের সংশ্লিষ্ট বা অ্যাপ্লাইড বিষয় (সমাজ বিজ্ঞান) এর অধ্যাপক হওয়ায় আব্দুল জব্বার আবেদন করেন এবং পরবর্তীতে যথাযথ নিয়ম মেনে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক আব্দুল জব্বারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু আমাকে সাময়িক সময়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেহেতু কারও নিয়োগ বা অপসারণ করার ক্ষমতা আমার এখতিয়ারের বাইরে। তারা যদি এভাবে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখে তাহলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ব্যাপারে ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষা ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভবনে বিভাগের সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা এবং নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়।
পরে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা (ইউআরপি) ডিসিপ্লিনের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সঙ্গে আলোচনার পর আশ্বস্ত হলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে নিয়োগ বাতিল না হলে আবারও কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানান তারা।
এর আগে গত রোববার অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারের নিয়োগ বাতিল চেয়ে শিক্ষার্থীরা ডিসিপ্লিনে অবস্থান নেন এবং গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পরিচালনা করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অবৈধ নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ডিসিপ্লিনের সব কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিশিয়াল) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
গত রোববার অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারের নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে মানববন্ধন করে ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা।
সকালে বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কক্ষের দরজাগুলোতে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নোটিশে লেখা, ‘ডিসিপ্লিন সংস্কার কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।’ আরেকটি নোটিশে লেখা, ‘অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বারের নিয়োগ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা ডিসিপ্লিনের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের জুন মাসে খুবির সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল জব্বারকে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ২ জুলাই তাকে শিক্ষা স্কুলের ডিন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ডিসিপ্লিনের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, শিক্ষা ডিসিপ্লিনে প্রভাষক ও অধ্যাপক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষায় চার বছরের অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। অধ্যাপক পদে প্রয়োজনীয় যোগ্যতার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচডি এবং সর্বমোট ১২টি পিআর প্রকাশনার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে সম্প্রতি শিক্ষা ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক পদে আবদুল জব্বারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার মূল ডিগ্রিগুলো সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন থেকে অর্জিত।
২০২২ সালের ৮ জুন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১৯ তম সিন্ডিকেট সভায় খুবিতে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালায় প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে শিক্ষক নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টের সঙ্গে এ্যালাইড শব্দটি (সংশ্লিষ্ট/এ্যালাইড) সংযোজনের বিষয় অনুমোদন দেওয়া হয়। শিক্ষা ডিসিপ্লিনে অধ্যাপক নিয়োগের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতেও এ্যালাইড বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
তবে ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ-পূর্ববর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোতে শিক্ষা ডিসিপ্লিনে নিয়োগের জন্য শিক্ষায় বিশেষায়িত ডিগ্রি থাকা আবশ্যক ছিল। অথচ আব্দুল জব্বারকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়মকানুন পরিবর্তন করে শিক্ষায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বা অ্যাপ্লাইড বিষয় হিসেবে সমাজবিজ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ আল আজাদ বলেন, ‘সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন প্রফেসর। তার নিয়োগে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা অনুসরণ করা হয়নি।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার যে সিন্ডিকেট কমিটির দ্বারা নিয়োগ প্রাপ্ত তিনি স্বয়ং ওই কমিটির সদস্য ছিলেন। এর আগেও কয়েকবার তিনি শিক্ষা ডিসিপ্লিনে নিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের শর্তাবলি পূরণে অক্ষম হন। পরে তিনি নিজ স্বার্থে নিয়োগ প্রজ্ঞাপনে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে তার নিয়োগের পথকে উন্মুক্ত করে দেন।’
শিক্ষা ডিসিপ্লিনের আরেক শিক্ষার্থী আবির বলেন, ‘আমরা মনে করি যে জব্বার স্যারকে নিয়োগ দেওয়ার জন্যই এই অ্যাপ্লাইড সিস্টেমটি চালু করা হয়েছে। আমরা নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ বাতিল চাই।
আজ রেজাউল করিম স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আপাতত ক্লাসে ফিরব, তবে দাবি বহাল থাকবে। নিয়োগ বাতিল না হলে পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে তার যে পরিমাণে গ্রহণযোগ্যতা আছে সেটি নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু আমাদের প্রশ্নের জায়গাটি হচ্ছে, শিক্ষা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক হিসেবে যে পরিমাণে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন সেখানে তিনি অনেকাংশে পিছিয়ে আছেন।’
শিক্ষার্থী জিহাদ আল শামস বলেন, ‘শিক্ষা ডিসিপ্লিনের পাঠ্যক্রম সম্পর্কে তাঁর কতটুকু জ্ঞান আছে বা তিনি কতটুকু জানেন সে বিষয়ে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তিনি কতটুকু নিজেকে সংযুক্ত করতে পারবেন এটিও একটি প্রশ্ন।’
শিক্ষা ডিসিপ্লিনের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ্যালাইড বিষয় নির্ধারণে শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এই নিয়োগের বিষয়েও শিক্ষকেরা আগে থেকে কিছুই জানতেন না।
সদ্য পদত্যাগ করা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তার প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ম পরিবর্তন করতে পারে। বারবার সার্কুলার দেওয়ার পরও শিক্ষা ডিসিপ্লিনে অধ্যাপক পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে শিক্ষা ডিসিপ্লিনের সংশ্লিষ্ট বা অ্যাপ্লাইড বিষয় (সমাজ বিজ্ঞান) এর অধ্যাপক হওয়ায় আব্দুল জব্বার আবেদন করেন এবং পরবর্তীতে যথাযথ নিয়ম মেনে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক আব্দুল জব্বারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু আমাকে সাময়িক সময়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেহেতু কারও নিয়োগ বা অপসারণ করার ক্ষমতা আমার এখতিয়ারের বাইরে। তারা যদি এভাবে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখে তাহলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ব্যাপারে ওই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি।’
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৭ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৩ মিনিট আগে