শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
অজু করতে না যাওয়ায় বাগেরহাটের শরণখোলায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুপারকে বরখাস্ত ও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার উপজেলার খাদা আলহাজ গগণ মেমোরিয়াল দাখিল মাদ্রাসায়। আহত ছাত্রী বর্তমানে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, গত বুধবার মাদ্রাসায় জোহরের নামাজের জন্য অজু করতে না যাওয়ায় ওই ছাত্রীকে (১৫) এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করেন সুপার মাওলানা ওবায়দুল হক। পরে আহত অবস্থায় ছাত্রীকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার স্বজনেরা।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘বেলা ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আমাদের ক্লাস চলছে। এরপর জোহরের নামাজ পড়ে আমাদের বাড়ি যেতে বলেন সুপার। আমি অসুস্থ বলার পরও সুপার আমাকে জোর করে অজু করতে যেতে বলেন। আমি দোতলা থেকে নামতে দেরি হওয়ায় সুপার আমাকে পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এরপর পুকুর পাড়ে গিয়েই আমি মাথাঘুরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যাই।’
ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি, আমার বোনকে অজ্ঞান অবস্থায় একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিতে চাইলে সুপার ওবায়দুল হক তার নিজের বাসায় নিয়ে তাকে চিকিৎসা করাবেন বলে জানান। কিন্তু আমি সুপারের কথা না শুনে বোনকে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সুপারের বিচার চেয়ে কমিটির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।’
অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ওবায়দুল হক বলেন, ‘মাদ্রাসায় নামাজ বাধ্যতামূলক। তাই সব ছাত্রছাত্রীকে জোহরের নামাজ পড়ার নির্দেশ দিলে সবাই অজু করতে যায়। বারবার বলা সত্ত্বেও সে (ভুক্তভোগী) অজু করতে না যাওয়ায় তাকে কয়েকটি চড় দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যে এত দূর গড়াবে ভাবতে পারিনি। আমি অনুতপ্ত হয়ে ছাত্রীর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সে সুস্থ আছে।’
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, ‘ছাত্রীর গায়ে হাত তুলে সুপার খুবই অন্যায় করেছেন। পরিস্থিতি সামলাতে পরিচালনা কমিটির সভায় সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ইউপি সদস্য মো. ছগির ফকিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
অজু করতে না যাওয়ায় বাগেরহাটের শরণখোলায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুপারকে বরখাস্ত ও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার উপজেলার খাদা আলহাজ গগণ মেমোরিয়াল দাখিল মাদ্রাসায়। আহত ছাত্রী বর্তমানে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, গত বুধবার মাদ্রাসায় জোহরের নামাজের জন্য অজু করতে না যাওয়ায় ওই ছাত্রীকে (১৫) এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করেন সুপার মাওলানা ওবায়দুল হক। পরে আহত অবস্থায় ছাত্রীকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার স্বজনেরা।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘বেলা ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আমাদের ক্লাস চলছে। এরপর জোহরের নামাজ পড়ে আমাদের বাড়ি যেতে বলেন সুপার। আমি অসুস্থ বলার পরও সুপার আমাকে জোর করে অজু করতে যেতে বলেন। আমি দোতলা থেকে নামতে দেরি হওয়ায় সুপার আমাকে পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এরপর পুকুর পাড়ে গিয়েই আমি মাথাঘুরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যাই।’
ভুক্তভোগীর ভাই বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি, আমার বোনকে অজ্ঞান অবস্থায় একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিতে চাইলে সুপার ওবায়দুল হক তার নিজের বাসায় নিয়ে তাকে চিকিৎসা করাবেন বলে জানান। কিন্তু আমি সুপারের কথা না শুনে বোনকে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সুপারের বিচার চেয়ে কমিটির কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।’
অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ওবায়দুল হক বলেন, ‘মাদ্রাসায় নামাজ বাধ্যতামূলক। তাই সব ছাত্রছাত্রীকে জোহরের নামাজ পড়ার নির্দেশ দিলে সবাই অজু করতে যায়। বারবার বলা সত্ত্বেও সে (ভুক্তভোগী) অজু করতে না যাওয়ায় তাকে কয়েকটি চড় দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যে এত দূর গড়াবে ভাবতে পারিনি। আমি অনুতপ্ত হয়ে ছাত্রীর পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সে সুস্থ আছে।’
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, ‘ছাত্রীর গায়ে হাত তুলে সুপার খুবই অন্যায় করেছেন। পরিস্থিতি সামলাতে পরিচালনা কমিটির সভায় সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ইউপি সদস্য মো. ছগির ফকিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
সিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৩ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
১৮ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
২৬ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে