শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনীর দাতিনাখালী এলাকায় উপকূলরক্ষা বাঁধের ৫ নম্বর পোল্ডারে আকস্মিকভাবে ধস নেমেছে। গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে মহসীন সাহেবের হুলো নামক স্থানে প্রায় ২৫-২৬ ফুট বাঁধের বাইরের অংশ পাশের মালঞ্চ নদীতে বিলীন হয়। এ সময় বাঁধের ভেতরের মাটিসহ ওপরে বসানো বালুভর্তি অর্ধশতাধিক জিও ব্যাগ নদীতে ধসে পড়ায় এলাকাজুড়ে ভাঙনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সংস্কারের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে একই স্থানে দ্বিতীয়বার ধস নামার ঘটনায় ঠিকাদারকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, শ্রমিক সর্দার দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ সম্পাদনের কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে সেখানে দ্বিতীয়বার ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে ‘পুরাতন কবরের হিসাব করার দরকার নাই’ উল্লেখ করে কাজ সম্পাদনকারী সহঠিকাদার আইয়ুব আলী জানান, কাজ হস্তান্তরের পর তাঁদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। তবে বাঁধ ধসের ঘটনা নিশ্চিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভাঙনপ্রবণ অংশ দাতিনাখালী বাঁধে ধসের কারণে স্থানীয়রা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছেন। দ্রুত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বর্ষার মধ্যে গোটা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এমনকি বাঁধ সংস্কারের নামে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে সহঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাঁর সঙ্গে পাউবোর কর্মচারীদের গোপন আঁতাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মী জান্নাতুল নাইম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাত্র পাঁচ মাস আগে ধসে যাওয়া অংশে মাটির কাজ করে তার ওপর বালুভর্তি জিও ব্যাগ বসানো হয়েছে। তবে সংস্কারের সময় কার্যাদেশ অনুযায়ী স্লপ বা ঢাল না রাখার কারণে, সামান্য বৃষ্টিতেই শুক্রবার একটি অংশের মাটিসহ জিও ব্যাগ নদীতে ধসে গেছে।’
পার্শ্ববর্তী কয়েকটি অংশেও একই ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে তরুণ এই পরিবেশকর্মী বলেন, ‘মূল ঠিকাদারের পরিবর্তে শ্রমিক সর্দার আইয়ুব ও পাউবোর কয়েকজন কর্মচারী ওই অংশের কাজ সম্পাদন করেছেন। মাটির কাজসহ জিও ব্যাগ প্লেসিং ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে একই অংশে আবার ভাঙনের উপক্রম হয়েছে।’
দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘প্রায় প্রতিবছর মালঞ্চ নদীর দাতিনাখালী অংশের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। আর স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে পড়ে। আকস্মিকভাবে মহসীন সাহেবের হুলো এলাকার বাঁধ ধসের ঘটনায় আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি।’
আবারও ভাঙনের কবলে পড়লে বর্ষায় চরম দুরবস্থা দেখা দেবে জানিয়ে দ্রুত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যয়ে সদ্য সংস্কারকৃত উপকূল রক্ষা বাঁধে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে ধসে যাওয়া অংশে কাজ সম্পাদনকারী সহঠিকাদার ও শ্রমিক সর্দার আইয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁধের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এক দিন কাজ করে পরের দিনও তা নদীতে বিলীন হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূল ঠিকাদার সাতক্ষীরার মোকাররমের কাছ থেকে কাজটি নিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ নতুন কোনো বাজেট দিলেই কেবল সেখানে পুনঃসংস্কারের কাজ হবে।’
এসব বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যরা শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। আগে থেকে প্রস্তুতকৃত জিও শিট দিয়ে ধসে যাওয়া অংশ মুড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে পানির ঢেউয়ের আঘাতে অবশিষ্ট অংশের মাটি নদীতে বিলীন হতে না পারে।’
উল্লেখ্য, মাত্র পাঁচ মাস আগে সদ্য ধসে পড়া দাতিনাখালীর একই অংশের প্রায় ১৮০ মিটার জায়গাজুড়ে সংস্কার করা হয়। প্রায় ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ফেলাসহ জিও বাগ প্লেসিং করা হয় অব্যাহত ধস ও ভাঙন থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীকে রক্ষার জন্য।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনীর দাতিনাখালী এলাকায় উপকূলরক্ষা বাঁধের ৫ নম্বর পোল্ডারে আকস্মিকভাবে ধস নেমেছে। গতকাল শুক্রবার সকালের দিকে মহসীন সাহেবের হুলো নামক স্থানে প্রায় ২৫-২৬ ফুট বাঁধের বাইরের অংশ পাশের মালঞ্চ নদীতে বিলীন হয়। এ সময় বাঁধের ভেতরের মাটিসহ ওপরে বসানো বালুভর্তি অর্ধশতাধিক জিও ব্যাগ নদীতে ধসে পড়ায় এলাকাজুড়ে ভাঙনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সংস্কারের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে একই স্থানে দ্বিতীয়বার ধস নামার ঘটনায় ঠিকাদারকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, শ্রমিক সর্দার দিয়ে যেনতেনভাবে কাজ সম্পাদনের কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে সেখানে দ্বিতীয়বার ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে ‘পুরাতন কবরের হিসাব করার দরকার নাই’ উল্লেখ করে কাজ সম্পাদনকারী সহঠিকাদার আইয়ুব আলী জানান, কাজ হস্তান্তরের পর তাঁদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই। তবে বাঁধ ধসের ঘটনা নিশ্চিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ভাঙনপ্রবণ অংশ দাতিনাখালী বাঁধে ধসের কারণে স্থানীয়রা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছেন। দ্রুত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বর্ষার মধ্যে গোটা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এমনকি বাঁধ সংস্কারের নামে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে সহঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাঁর সঙ্গে পাউবোর কর্মচারীদের গোপন আঁতাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুড়িগোয়ালিনী গ্রামের বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মী জান্নাতুল নাইম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাত্র পাঁচ মাস আগে ধসে যাওয়া অংশে মাটির কাজ করে তার ওপর বালুভর্তি জিও ব্যাগ বসানো হয়েছে। তবে সংস্কারের সময় কার্যাদেশ অনুযায়ী স্লপ বা ঢাল না রাখার কারণে, সামান্য বৃষ্টিতেই শুক্রবার একটি অংশের মাটিসহ জিও ব্যাগ নদীতে ধসে গেছে।’
পার্শ্ববর্তী কয়েকটি অংশেও একই ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে তরুণ এই পরিবেশকর্মী বলেন, ‘মূল ঠিকাদারের পরিবর্তে শ্রমিক সর্দার আইয়ুব ও পাউবোর কয়েকজন কর্মচারী ওই অংশের কাজ সম্পাদন করেছেন। মাটির কাজসহ জিও ব্যাগ প্লেসিং ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে একই অংশে আবার ভাঙনের উপক্রম হয়েছে।’
দাতিনাখালী গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘প্রায় প্রতিবছর মালঞ্চ নদীর দাতিনাখালী অংশের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। আর স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে পড়ে। আকস্মিকভাবে মহসীন সাহেবের হুলো এলাকার বাঁধ ধসের ঘটনায় আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি।’
আবারও ভাঙনের কবলে পড়লে বর্ষায় চরম দুরবস্থা দেখা দেবে জানিয়ে দ্রুত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তিনি। এ ছাড়া বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যয়ে সদ্য সংস্কারকৃত উপকূল রক্ষা বাঁধে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে ভাঙন দেখা দিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে ধসে যাওয়া অংশে কাজ সম্পাদনকারী সহঠিকাদার ও শ্রমিক সর্দার আইয়ুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাঁধের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এক দিন কাজ করে পরের দিনও তা নদীতে বিলীন হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূল ঠিকাদার সাতক্ষীরার মোকাররমের কাছ থেকে কাজটি নিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ নতুন কোনো বাজেট দিলেই কেবল সেখানে পুনঃসংস্কারের কাজ হবে।’
এসব বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যরা শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। আগে থেকে প্রস্তুতকৃত জিও শিট দিয়ে ধসে যাওয়া অংশ মুড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে পানির ঢেউয়ের আঘাতে অবশিষ্ট অংশের মাটি নদীতে বিলীন হতে না পারে।’
উল্লেখ্য, মাত্র পাঁচ মাস আগে সদ্য ধসে পড়া দাতিনাখালীর একই অংশের প্রায় ১৮০ মিটার জায়গাজুড়ে সংস্কার করা হয়। প্রায় ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ফেলাসহ জিও বাগ প্লেসিং করা হয় অব্যাহত ধস ও ভাঙন থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীকে রক্ষার জন্য।
বরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৮ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২৪ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
৩৪ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে