কর্মী-সমর্থকদের মারপিট, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোর-১ শার্শা আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন। তাঁর অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের কারণে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ লক্ষ্য হচ্ছে না। নির্বাচনের দিন যত নিকটবর্তী হচ্ছে ততই হুমকির পরিমাণ বাড়ছে। 

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। এই আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী টানা ৩ বারের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র। 

স্থানীয় ভোটাররা বলেছেন, এই আসনে নৌকা, স্বতন্ত্র ছাড়াও জাতীয় পার্টির আক্তারুজ্জামান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে আসনটিতে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে লড়াইয়ের আভাস মিলছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুল আলম বলেন, ‘গোগা ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থীর সমর্থক তরিকুল মেম্বার পুটখালী ইউনিয়নের জসিমের নেতৃত্বে এবং উলাশী ইউনিয়নে সন্ত্রাসী আয়নাল ও মিলন বাহিনীর লোকজন আমার পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে।’ 

স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম বলেন, ‘লক্ষণপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল ও সামছুর রহমানের নেতৃত্বে আমার সমর্থক ইসমাইল হেসেন খোকন, শাহাজানসহ অনেক কর্মীকে মারপিট করা হয়েছে। পোলিং এজেন্টদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেওয়া হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বেনাপোল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডেও আমার নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।’ 

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নৌকার কোনো কর্মী কাউকে হুমকি দিচ্ছে না। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা রয়েছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের উন্নয়নের বার্তা দিয়েই জনগণের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করেছি। কাউকে হুমকি জোর করে ভোট প্রার্থীনা করছি না।’ 

 ‘আসলেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোনো কর্মী-সমর্থক নেই। এমনকি প্রতিটি কেন্দ্রে তিনি পোলিং এজেন্ট দিতে পারবেন না। তাই তিনি নৌকার কর্মী বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে এসব মনগড়া ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’ যুক্ত করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শার্শার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিনু, আওয়ামী লীগ নেতা মাস্টার আহসান উল্লাহ, শহিদুল ইসলাম, ইলিয়াস আজম প্রমুখ।