নড়াইল প্রতিনিধি
কৃষক কামরুল খান (৫২) তিন একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই একর জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন তিনি। এই জাতের ধানের শিষ পেকে যাওয়ার পর শতকরা ৬০ ভাগে চিটা দেখা দিয়েছে। এতে ধান কেটে আবাদের খরচ উঠবে না বলে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কামরুল খানের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামে। গতকাল রোববার পার্শ্ববর্তী কামালপ্রতাপ গ্রামে নিজের খেতে দাঁড়িয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ব্রি-২৮ জাতে প্রতি শতকে যেখানে প্রায় এক মণ ধান উৎপাদন হওয়ার কথা সেখানে চিটা পড়ায় ১৬-১৭ কেজি ভালো মানের ধান পাওয়া যাবে। ধান কাটা-মাড়াইয়ে যে শ্রমিকের প্রয়োজন হবে এবং চাষে যে খরচ হয়েছে তা উৎপাদিত ধান বিক্রি করে উঠানো যাবে না।’
কামরুল খানের আবাদ করা জমির বাকি এক একরে হিরা-২, সুবর্ণলতা ও তেজগোল্ড জাতের ধান চাষ করেছেন। এসবে ভালো ফলন দেখা দিয়েছে। কামরুল খান বলেন, ‘কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা যদি ২৮ জাতের ধানের চারা রোপণ না করার পরামর্শ দিতেন তাহলে আমি এত বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতাম না।’
আমাদা গ্রামের মধ্যপাড়ার ধান চাষি মুকুল খান, আজমল শেখ ও পূর্বপাড়ার টিপু শেখ ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেছেন। ধানে চিটা পড়ায় তাঁরা বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আজমল ও টিপু জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছেন। তাঁরা বলেন, ‘২৮ জাতের ধান লাগিয়ে পাকা ধান কাটার পর খরচ উঠানো দূরের কথা উল্টো পকেট থেকে জমির মালিকদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ধান বা টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
জেলার সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য নাজমুল হক মোল্যা (৫০) জানান, তিনি তিন একর জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধানের চাষ করেন। খেতে পাকা ধান কাটতে গিয়ে দেখেন চিটা পড়ে গেছে। ব্রি-৮৯ কিংবা ব্রি-৯২ জাতের ধান লাগালে যে পরিমাণ ধান ঘরে তুলতে পারতেন সে তুলনায় ২৮ জাতের ধান লাগিয়ে অন্তত দেড় লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
সাড়ে চার বিঘা জমিতে ২৮ জাতের বোরো ধানের চাষ করেছেন জেলার কালিয়া উপজেলার পাদুমা গ্রামের প্রান্তিক চাষি আব্দুল কুদ্দুস। ধার দেনা করে খেতে নিয়মিত সেচ এবং পরিমাণ মতো সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর আশা ছিল ধানের ফলন ভালো হবে। কিন্তু পাকা ধান চিটায় পরিণত হওয়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানে চিটা পড়ার কথা স্বীকার করেছেন নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) দীপক কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘ব্রি-ধান ২৮ পুরোনো জাতের একটি ধান। এ কারণে ধানে চিটা পড়াসহ ফলনও কমে গেছে। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ব্রি-২৮ জাতের ধান না লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। যে চাষিরা পরামর্শ উপেক্ষা করে এই জাতের ধানের চারা রোপণ করেছেন তাঁদের এই পরিণতি।’
নড়াইল জেলায় ১৩ হেক্টর জমির পাকা ধানে চিটা পড়েছে বলে জানান দীপক কুমার। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টির কারণেও পাকা ধানে চিটা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের ব্রি-৮৯ ও ৯২ জাতসহ হাইব্রিড ধানের চারা রোপণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এসব জাতের ধানে এক শতকে প্রায় এক মণ করে ফলন হয়েছে।’
মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কৃষকের আনা অভিযোগের বিষয়ে দীপক কুমার বলেন, ‘আধুনিক চাষ পদ্ধতি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের বীজ সরবরাহসহ ফলন বাড়াতে কৃষকের পাশে থেকে সবসময় কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। যে কৃষক অভিযোগ করেছেন তা কতটুকু সত্য যাচাই করে দেখা হবে। কেউ কাজে গাফিলতি করলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
জেলা কৃষি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলার তিন উপজেলায় ৫০ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে, কালিয়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমির উৎপাদিত ধান থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
কৃষক কামরুল খান (৫২) তিন একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই একর জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন তিনি। এই জাতের ধানের শিষ পেকে যাওয়ার পর শতকরা ৬০ ভাগে চিটা দেখা দিয়েছে। এতে ধান কেটে আবাদের খরচ উঠবে না বলে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কামরুল খানের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামে। গতকাল রোববার পার্শ্ববর্তী কামালপ্রতাপ গ্রামে নিজের খেতে দাঁড়িয়ে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘ব্রি-২৮ জাতে প্রতি শতকে যেখানে প্রায় এক মণ ধান উৎপাদন হওয়ার কথা সেখানে চিটা পড়ায় ১৬-১৭ কেজি ভালো মানের ধান পাওয়া যাবে। ধান কাটা-মাড়াইয়ে যে শ্রমিকের প্রয়োজন হবে এবং চাষে যে খরচ হয়েছে তা উৎপাদিত ধান বিক্রি করে উঠানো যাবে না।’
কামরুল খানের আবাদ করা জমির বাকি এক একরে হিরা-২, সুবর্ণলতা ও তেজগোল্ড জাতের ধান চাষ করেছেন। এসবে ভালো ফলন দেখা দিয়েছে। কামরুল খান বলেন, ‘কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা যদি ২৮ জাতের ধানের চারা রোপণ না করার পরামর্শ দিতেন তাহলে আমি এত বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতাম না।’
আমাদা গ্রামের মধ্যপাড়ার ধান চাষি মুকুল খান, আজমল শেখ ও পূর্বপাড়ার টিপু শেখ ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ করেছেন। ধানে চিটা পড়ায় তাঁরা বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আজমল ও টিপু জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছেন। তাঁরা বলেন, ‘২৮ জাতের ধান লাগিয়ে পাকা ধান কাটার পর খরচ উঠানো দূরের কথা উল্টো পকেট থেকে জমির মালিকদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ধান বা টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
জেলার সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য নাজমুল হক মোল্যা (৫০) জানান, তিনি তিন একর জমিতে ব্রি-২৮ জাতের ধানের চাষ করেন। খেতে পাকা ধান কাটতে গিয়ে দেখেন চিটা পড়ে গেছে। ব্রি-৮৯ কিংবা ব্রি-৯২ জাতের ধান লাগালে যে পরিমাণ ধান ঘরে তুলতে পারতেন সে তুলনায় ২৮ জাতের ধান লাগিয়ে অন্তত দেড় লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
সাড়ে চার বিঘা জমিতে ২৮ জাতের বোরো ধানের চাষ করেছেন জেলার কালিয়া উপজেলার পাদুমা গ্রামের প্রান্তিক চাষি আব্দুল কুদ্দুস। ধার দেনা করে খেতে নিয়মিত সেচ এবং পরিমাণ মতো সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর আশা ছিল ধানের ফলন ভালো হবে। কিন্তু পাকা ধান চিটায় পরিণত হওয়ায় তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানে চিটা পড়ার কথা স্বীকার করেছেন নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) দীপক কুমার রায়। তিনি বলেন, ‘ব্রি-ধান ২৮ পুরোনো জাতের একটি ধান। এ কারণে ধানে চিটা পড়াসহ ফলনও কমে গেছে। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ব্রি-২৮ জাতের ধান না লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। যে চাষিরা পরামর্শ উপেক্ষা করে এই জাতের ধানের চারা রোপণ করেছেন তাঁদের এই পরিণতি।’
নড়াইল জেলায় ১৩ হেক্টর জমির পাকা ধানে চিটা পড়েছে বলে জানান দীপক কুমার। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড খরা ও অনাবৃষ্টির কারণেও পাকা ধানে চিটা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের ব্রি-৮৯ ও ৯২ জাতসহ হাইব্রিড ধানের চারা রোপণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এসব জাতের ধানে এক শতকে প্রায় এক মণ করে ফলন হয়েছে।’
মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কৃষকের আনা অভিযোগের বিষয়ে দীপক কুমার বলেন, ‘আধুনিক চাষ পদ্ধতি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের বীজ সরবরাহসহ ফলন বাড়াতে কৃষকের পাশে থেকে সবসময় কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। যে কৃষক অভিযোগ করেছেন তা কতটুকু সত্য যাচাই করে দেখা হবে। কেউ কাজে গাফিলতি করলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
জেলা কৃষি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলার তিন উপজেলায় ৫০ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে, কালিয়া উপজেলায় ১৬ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে এবং লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমির উৎপাদিত ধান থেকে ২ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
২৮ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৩২ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
৩৪ মিনিট আগে