খুলনা আইনজীবী সমিতি, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, বাস শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন, মাইক্রোবাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ জেলার বিভিন্ন সংগঠন ও স্থাপনা দখল হয়ে গেছে। আগে এসব স্থাপনা ও সংগঠনের কার্যালয় আওয়ামী লীগের দখলে ছিল।
দুই দিন ধরে এসব স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর হওয়ার পর দখল করে নিয়ে গেছে একটি মহল। দখলদারেরা নিজেদের বিএনপির নেতা-কর্মী দাবি করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। 

খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন: খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির কমিটি বিলুপ্ত করে পাঁচ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে সমিতির ১ নম্বর হলরুমে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্যপরিষদ ও সমিতির সব সাধারণ আইনজীবীর সমন্বয়সভায় এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি গঠনের আগের দিন সমিতির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। 

সূত্র জানায়, সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং তৌহিদুর রহমান তুষারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত তলবি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে পাঁচ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, সদস্যসচিব হয়েছেন সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল হাসান রুবা। সদস্য করা হয়েছে তিনজনকে। তাঁরা হলেন সাবেক সভাপতি মাসুদ হোসেন রনি, সাবেক সহসভাপতি আওসাফুর রহমান ও সাবেক সহসভাপতি হালিমা আক্তার খানম। 

সভায় বক্তব্য দেন সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক, শেখ আব্দুল আজিজ, মোহাম্মাদ ইউনুস, আক্তার জাহান রুকু, লতিফুর রহমান লাবু, মোল্লা মো. মাসুম রশীদ, লস্কর শাহ আলম, মশিউর রহমান নান্নু প্রমুখ। 

এদিকে বিবৃতিতে সমিতির আগের কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও তারিক মাহমুদ তারার কার্যালয় ও চেম্বার ভাঙচুরের ঘটনায় নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নবগঠিত অ্যাডহক কমিটি অবৈধ আখ্যা দিয়ে সাইফুল ইসলাম এক ফেসবুক বার্তায় বলেছেন, গঠনতান্ত্রিকভাবে এই কমিটি অবৈধ। 

এদিকে গতকাল সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। 

সেখানে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন বিপ্লবসহ তাঁর পরিষদের অন্য কাউকে দেখা যায়নি। সেখানে অন্য লোকজন রয়েছেন। জাকির হোসেন বিপ্লবের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এবং তাঁর অনুসারীরা আত্মগোপনে আছেন। 

এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগের হাত থেকে বেহাত হয়ে গেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।