যশোর প্রতিনিধি
সাদা টিশার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এক ব্যক্তি নীল রঙের বাইসাইকেলে চড়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরছেন। কখনো থানায়, কখনো পুলিশ ফাঁড়িতে। বাইসাইকেলে চড়া ব্যক্তিকে যতটা সাধারণ দেখাচ্ছে, তিনি ততটা সাধারণ মানুষ নন। তিনি যশোরের নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম। দায়িত্ব নেওয়ার পরদিন ছদ্মবেশে ঘুরে পুলিশের হালহকিকত জানার চেষ্টা করেছেন। তাঁর এই গোপন বিষয় গোপন থাকেনি। ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে তাঁর প্রশংসা করছেন।
জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার এসপি মো. মাসুদ আলম যশোরে যোগ দেন। এর আগে তিনি মাদারীপুরে কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার ভোরে বাইসাইকেল নিয়ে জেলা শহরে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে যান পুলিশ সুপার।
বাইসাইকেল চালিয়ে মাসুদ আলম প্রথমে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় যান। বাংলোর গার্ড তাঁকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ঢুকতে দেননি। পরে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন জেল রোড ট্রাফিক অফিসে। এখানে ফটকে কাউকে না পেয়ে তিনি চলে যান চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখানে পুলিশ ফাঁড়ির ফটকে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন, পরে ফটক ধরে ঝাঁকি দিলেও কেউ ফটক খুলতে আসেননি।
চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাসুদ আলম যান কোতোয়ালি মডেল থানায়। সেখানে তিনি পরিচয় গোপন রেখে কোতোয়ালি মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার কক্ষে যান। মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে জানিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার আগ্রহের কথা জানান। একপর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা একজনকে দেখিয়ে দিয়ে বলেন, ‘জিডি করতে হলে ৫০০ টাকা লাগবে।’ টাকা না দেওয়ায় এসপি জিডি করতে পারেননি। এরপর থানার সামনে একটি কম্পিউটারের দোকানে যান। সেখানে দোকানদার এসপির কাছে বেশি অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তখন তিনি জানতে চান, এটা লেখাতে তো সর্বোচ্চ ২০-৩০ টাকা লাগে।
মাসুদ আলম বাইসাইকেল চালিয়ে যান জেলার পুলিশ লাইনসে। ফটকে কর্মরত কনস্টেবল তাঁকে দাঁড় করান এবং সেখানে কী প্রয়োজন তা জানতে চান। তখন ছদ্মবেশে থাকা পুলিশ সুপার কনস্টেবলকে বলেন, ‘ব্যারাকে কামাল নামের এক বন্ধু আছে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাই।’ তখন কনস্টেবল গার্ড তাঁকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন। এরপর কনস্টেবলদের ব্যারাকের তৃতীয় তলায় গিয়ে তিনি সবার সঙ্গে খিঁচুড়ি খান এবং অনেকের সঙ্গে আলাপ করেন।
গত বুধবার বিকেলে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসপির ছদ্মবেশে পরিদর্শনের বিষয় উঠে আসে। এ সময় তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। নবাগত পুলিশ সুপারের এমন ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডকে প্রশংসা করছেন অনেকে। ছদ্মবেশে থাকার ছবি ও তথ্য পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
কমার্শিয়াল ব্যাংকের খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান ফকির আকতারুল আলম ফেসবুকে এসপি মাসুদ আলমের ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মহোদয় যেভাবে নজরদারি করছেন, এতে অসৎ পুলিশ সদস্যরা যশোর ছাড়তে চাইবে, সৎ পুলিশ সদস্যরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে। মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে, বিশেষ করে জিডি এন্ট্রি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে নিত্য টাকা খরচ বন্ধ হবে।’
যশোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘হানাহানির যশোরে সাধারণ মানুষকে অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। নতুন পুলিশ সুপার শুরুতে ব্যতিক্রম তদারকি করে নজর কেড়েছেন। এতে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা চাইব, তাঁর কথা ও শুরুর কাজ শেষ পর্যন্ত অবিচল থাকবে। তাহলে আমরা সন্ত্রাস, হয়রানি ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাব।’
এ বিষয়ে নবাগত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘আমি ছদ্মবেশে গিয়েছি, দেখেছি। সদর থানা, ট্রাফিক অফিসসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছি। অনেক জায়গায় ভালো পেয়েছি, আবার অনেক জায়গায় একটু খারাপ পেয়েছি। খারাপ জায়গাগুলোর ব্যাপারে আমি পদক্ষেপ নেব।’
পুলিশের বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনের সময় বড় ধরনের অনিয়ম চোখে পড়েনি বলে জানান মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ‘আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। আমি অনলাইনে জিডি লেখানোর জন্য বাইরের একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়েছিলাম, সেখানে দোকানদার আমার কাছে বেশি অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তখন আমি বললাম, ভাই এটা লেখাতে তো সর্বোচ্চ ২০-৩০ টাকা লাগে। আমি এসব বিষয়ে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম-অপরাধ ছাড় দেওয়া হবে না।’
সাদা টিশার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এক ব্যক্তি নীল রঙের বাইসাইকেলে চড়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরছেন। কখনো থানায়, কখনো পুলিশ ফাঁড়িতে। বাইসাইকেলে চড়া ব্যক্তিকে যতটা সাধারণ দেখাচ্ছে, তিনি ততটা সাধারণ মানুষ নন। তিনি যশোরের নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম। দায়িত্ব নেওয়ার পরদিন ছদ্মবেশে ঘুরে পুলিশের হালহকিকত জানার চেষ্টা করেছেন। তাঁর এই গোপন বিষয় গোপন থাকেনি। ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়ানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে তাঁর প্রশংসা করছেন।
জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার এসপি মো. মাসুদ আলম যশোরে যোগ দেন। এর আগে তিনি মাদারীপুরে কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার ভোরে বাইসাইকেল নিয়ে জেলা শহরে পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে যান পুলিশ সুপার।
বাইসাইকেল চালিয়ে মাসুদ আলম প্রথমে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় যান। বাংলোর গার্ড তাঁকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ঢুকতে দেননি। পরে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন জেল রোড ট্রাফিক অফিসে। এখানে ফটকে কাউকে না পেয়ে তিনি চলে যান চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখানে পুলিশ ফাঁড়ির ফটকে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন, পরে ফটক ধরে ঝাঁকি দিলেও কেউ ফটক খুলতে আসেননি।
চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাসুদ আলম যান কোতোয়ালি মডেল থানায়। সেখানে তিনি পরিচয় গোপন রেখে কোতোয়ালি মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার কক্ষে যান। মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে জানিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার আগ্রহের কথা জানান। একপর্যায়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা একজনকে দেখিয়ে দিয়ে বলেন, ‘জিডি করতে হলে ৫০০ টাকা লাগবে।’ টাকা না দেওয়ায় এসপি জিডি করতে পারেননি। এরপর থানার সামনে একটি কম্পিউটারের দোকানে যান। সেখানে দোকানদার এসপির কাছে বেশি অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তখন তিনি জানতে চান, এটা লেখাতে তো সর্বোচ্চ ২০-৩০ টাকা লাগে।
মাসুদ আলম বাইসাইকেল চালিয়ে যান জেলার পুলিশ লাইনসে। ফটকে কর্মরত কনস্টেবল তাঁকে দাঁড় করান এবং সেখানে কী প্রয়োজন তা জানতে চান। তখন ছদ্মবেশে থাকা পুলিশ সুপার কনস্টেবলকে বলেন, ‘ব্যারাকে কামাল নামের এক বন্ধু আছে। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাই।’ তখন কনস্টেবল গার্ড তাঁকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন। এরপর কনস্টেবলদের ব্যারাকের তৃতীয় তলায় গিয়ে তিনি সবার সঙ্গে খিঁচুড়ি খান এবং অনেকের সঙ্গে আলাপ করেন।
গত বুধবার বিকেলে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসপির ছদ্মবেশে পরিদর্শনের বিষয় উঠে আসে। এ সময় তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। নবাগত পুলিশ সুপারের এমন ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডকে প্রশংসা করছেন অনেকে। ছদ্মবেশে থাকার ছবি ও তথ্য পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
কমার্শিয়াল ব্যাংকের খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান ফকির আকতারুল আলম ফেসবুকে এসপি মাসুদ আলমের ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার মহোদয় যেভাবে নজরদারি করছেন, এতে অসৎ পুলিশ সদস্যরা যশোর ছাড়তে চাইবে, সৎ পুলিশ সদস্যরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে। মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে, বিশেষ করে জিডি এন্ট্রি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে নিত্য টাকা খরচ বন্ধ হবে।’
যশোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘হানাহানির যশোরে সাধারণ মানুষকে অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। নতুন পুলিশ সুপার শুরুতে ব্যতিক্রম তদারকি করে নজর কেড়েছেন। এতে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা চাইব, তাঁর কথা ও শুরুর কাজ শেষ পর্যন্ত অবিচল থাকবে। তাহলে আমরা সন্ত্রাস, হয়রানি ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাব।’
এ বিষয়ে নবাগত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘আমি ছদ্মবেশে গিয়েছি, দেখেছি। সদর থানা, ট্রাফিক অফিসসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছি। অনেক জায়গায় ভালো পেয়েছি, আবার অনেক জায়গায় একটু খারাপ পেয়েছি। খারাপ জায়গাগুলোর ব্যাপারে আমি পদক্ষেপ নেব।’
পুলিশের বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনের সময় বড় ধরনের অনিয়ম চোখে পড়েনি বলে জানান মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ‘আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। আমি অনলাইনে জিডি লেখানোর জন্য বাইরের একটি কম্পিউটারের দোকানে গিয়েছিলাম, সেখানে দোকানদার আমার কাছে বেশি অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তখন আমি বললাম, ভাই এটা লেখাতে তো সর্বোচ্চ ২০-৩০ টাকা লাগে। আমি এসব বিষয়ে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম-অপরাধ ছাড় দেওয়া হবে না।’
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৮ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
২৬ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৩০ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
৩২ মিনিট আগে