কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর)
এক হাজার কংক্রিটের খুঁটিতে লাগানো হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ। এসব গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে হাজারো হলুদ ও লাল রঙের ফল। ঘুরে ঘুরে পরম যত্নে এ ড্রাগন বাগানের পরিচর্যা করছেন স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাজু। পড়াশোনার ফাঁকে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর এ পরিশ্রম। প্রথমবারেই ড্রাগন বাগানে প্রচুর ফল এসেছে তাঁর।
২৪ বছর বয়স্ক মেহেদী হাসান রাজু যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভোগতী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছোট ছেলে। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের (এম এম কলেজ) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। পরিবারের সহায়তায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে যশোর-চুকনগর সড়কের পাশে উপজেলার আলতাপোল তেইশ মাইল এলাকায় ১০০ শতক (এক একর) জমিতে গড়ে তোলেন ড্রাগন বাগান।
নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপন করা এক হাজার কংক্রিটের খুঁটির সঙ্গে টায়ার ও রড ব্যবহার করে তার চারপাশ দিয়ে লাগিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ। ২০২২ সালের জুন মাসে প্রাথমিকভাবে কিছু ফল পেলেও এবার বাণিজ্যিকভাবে তিনি ড্রাগন বিক্রি শুরু করছেন। এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত কোনো কোনো খুঁটিতে লাগানো গাছ থেকে ৩০ কেজি ফলও পেয়েছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। সোমবার বিক্রি করার জন্য বাগান থেকে ১ হাজার কেজি ড্রাগন ফল তোলা হয়েছে।
কেশবপুরের অধিকাংশ ফলের দোকানে রাজুর বাগানের ড্রাগন বিক্রি হয়। এ ছাড়া এসব ফল পৌঁছে যাচ্ছে যশোর, চুকনগর, খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। চলতি মৌসুমে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির আশা রয়েছে রাজুর। নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি তিনি সৃষ্টি করেছেন ৫ জনের কর্মসংস্থান।
মেহেদী হাসান রাজু জানান, পরিবারের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে জমি হারি (লিজ) নিয়ে পড়ালেখার ফাঁকে এ ড্রাগন ফলের বাগানটি করেছেন। এর পেছনে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বাগানে ৩ থেকে ৪ ধরনের ড্রাগন ফলের জাত রয়েছে। আকারভেদে একেকটি ফলের ওজন পেয়েছেন আড়াই শ থেকে ছয় শ গ্রাম পর্যন্ত। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন পাইকারি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি ফল ৬০০ টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছিলেন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে প্রথমবারেই ফল বিক্রি করে তার মূলধন উঠে এসেছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির আশা রয়েছে তাঁর। খরচ বাদে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।
মেহেদী হাসান রাজু বলেন, কোনো ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে বাগানের ড্রাগন ফল পাকানো হয় না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মেই ফল পাকলে গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। সড়কের পাশে বাগানটি হওয়ায় বিভিন্ন মানুষ দেখতে আসেন। বাগানের পাশে কোনো দরিদ্র ও অসহায় মানুষ এলে তাঁদের বিনা মূল্যে ফল খাওয়ান তিনি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজু বলেন, পড়াশোনা শেষে চাকরির পেছনে যেন ছুটতে না হয়, এ জন্য আগেভাগেই নিজেকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন। একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বাগানের পরিসর বৃদ্ধি করে সৃষ্টি করতে চান আরও কর্মসংস্থান।
রাজুর বাগানে নিয়মিত ৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়।
বাগানে কাজ করার সময় আলতাপোল গ্রামের মোনতাজ সরদার (৬২) বলেন, ভোরবেলায় বাগানে এসে ড্রাগন ফুলের পরাগায়ন ঘটাতে সাহায্য ও বাগান পরিচর্যা করা, ফল পাড়াসহ সেগুলো বাজারজাত করার কাজ করেন।
শ্রমিক আব্দুর রশিদ (৫৪) বলেন, প্রতিদিন ৩০০ টাকা মজুরিতে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ বাগানে কাজ করেন। এই বাগানের ফলের ভেতর থাকলে তাঁর মনটাও আনন্দে থাকে। পরিবার নিয়ে তিনি ভালোই রয়েছেন।
ড্রাগন ফলের এ বাগানটি দেখতে এসেছিলেন কেশবপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসাইন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পুষ্টিগুণসম্পন্ন ড্রাগন ফল চাষ করে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাজু সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অন্যের জমি হারি (লিজ) নিয়ে তাঁর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। রাজু নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তাঁর বাগানে যে সমস্ত শ্রমিকেরা কাজ করছে তাদের পরিবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যদি বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন বাগান তৈরিতে মন দেয় তাহলে তারাও লাভবান হবে, দেশও উপকৃত হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ করা হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাস বলেন, মেহেদী হাসান রাজুর ড্রাগন বাগানটি বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শন করে এখানে ড্রাগন চাষকে এগিয়ে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। শুরুর দিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হলে কৃষি সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে।
এক হাজার কংক্রিটের খুঁটিতে লাগানো হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ। এসব গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে হাজারো হলুদ ও লাল রঙের ফল। ঘুরে ঘুরে পরম যত্নে এ ড্রাগন বাগানের পরিচর্যা করছেন স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাজু। পড়াশোনার ফাঁকে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তাঁর এ পরিশ্রম। প্রথমবারেই ড্রাগন বাগানে প্রচুর ফল এসেছে তাঁর।
২৪ বছর বয়স্ক মেহেদী হাসান রাজু যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভোগতী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছোট ছেলে। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের (এম এম কলেজ) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। পরিবারের সহায়তায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে যশোর-চুকনগর সড়কের পাশে উপজেলার আলতাপোল তেইশ মাইল এলাকায় ১০০ শতক (এক একর) জমিতে গড়ে তোলেন ড্রাগন বাগান।
নির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপন করা এক হাজার কংক্রিটের খুঁটির সঙ্গে টায়ার ও রড ব্যবহার করে তার চারপাশ দিয়ে লাগিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার ড্রাগন ফলের গাছ। ২০২২ সালের জুন মাসে প্রাথমিকভাবে কিছু ফল পেলেও এবার বাণিজ্যিকভাবে তিনি ড্রাগন বিক্রি শুরু করছেন। এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত কোনো কোনো খুঁটিতে লাগানো গাছ থেকে ৩০ কেজি ফলও পেয়েছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন। সোমবার বিক্রি করার জন্য বাগান থেকে ১ হাজার কেজি ড্রাগন ফল তোলা হয়েছে।
কেশবপুরের অধিকাংশ ফলের দোকানে রাজুর বাগানের ড্রাগন বিক্রি হয়। এ ছাড়া এসব ফল পৌঁছে যাচ্ছে যশোর, চুকনগর, খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। চলতি মৌসুমে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির আশা রয়েছে রাজুর। নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি তিনি সৃষ্টি করেছেন ৫ জনের কর্মসংস্থান।
মেহেদী হাসান রাজু জানান, পরিবারের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে জমি হারি (লিজ) নিয়ে পড়ালেখার ফাঁকে এ ড্রাগন ফলের বাগানটি করেছেন। এর পেছনে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। বাগানে ৩ থেকে ৪ ধরনের ড্রাগন ফলের জাত রয়েছে। আকারভেদে একেকটি ফলের ওজন পেয়েছেন আড়াই শ থেকে ছয় শ গ্রাম পর্যন্ত। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন পাইকারি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি ফল ৬০০ টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছিলেন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে প্রথমবারেই ফল বিক্রি করে তার মূলধন উঠে এসেছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রির আশা রয়েছে তাঁর। খরচ বাদে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন।
মেহেদী হাসান রাজু বলেন, কোনো ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে বাগানের ড্রাগন ফল পাকানো হয় না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মেই ফল পাকলে গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। সড়কের পাশে বাগানটি হওয়ায় বিভিন্ন মানুষ দেখতে আসেন। বাগানের পাশে কোনো দরিদ্র ও অসহায় মানুষ এলে তাঁদের বিনা মূল্যে ফল খাওয়ান তিনি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজু বলেন, পড়াশোনা শেষে চাকরির পেছনে যেন ছুটতে না হয়, এ জন্য আগেভাগেই নিজেকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন। একজন সফল কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বাগানের পরিসর বৃদ্ধি করে সৃষ্টি করতে চান আরও কর্মসংস্থান।
রাজুর বাগানে নিয়মিত ৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের প্রতি মাসে ৯ হাজার টাকা করে মজুরি দেওয়া হয়।
বাগানে কাজ করার সময় আলতাপোল গ্রামের মোনতাজ সরদার (৬২) বলেন, ভোরবেলায় বাগানে এসে ড্রাগন ফুলের পরাগায়ন ঘটাতে সাহায্য ও বাগান পরিচর্যা করা, ফল পাড়াসহ সেগুলো বাজারজাত করার কাজ করেন।
শ্রমিক আব্দুর রশিদ (৫৪) বলেন, প্রতিদিন ৩০০ টাকা মজুরিতে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত এ বাগানে কাজ করেন। এই বাগানের ফলের ভেতর থাকলে তাঁর মনটাও আনন্দে থাকে। পরিবার নিয়ে তিনি ভালোই রয়েছেন।
ড্রাগন ফলের এ বাগানটি দেখতে এসেছিলেন কেশবপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসাইন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পুষ্টিগুণসম্পন্ন ড্রাগন ফল চাষ করে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাজু সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অন্যের জমি হারি (লিজ) নিয়ে তাঁর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। রাজু নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি তাঁর বাগানে যে সমস্ত শ্রমিকেরা কাজ করছে তাদের পরিবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যদি বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন বাগান তৈরিতে মন দেয় তাহলে তারাও লাভবান হবে, দেশও উপকৃত হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ করা হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনাথ বন্ধু দাস বলেন, মেহেদী হাসান রাজুর ড্রাগন বাগানটি বিভিন্ন সময়ে পরিদর্শন করে এখানে ড্রাগন চাষকে এগিয়ে নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। শুরুর দিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হলে কৃষি সেক্টর আরও এগিয়ে যাবে।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৪১ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
৪৪ মিনিট আগে