বুনো শাকসবজির রান্না প্রতিযোগিতা

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০: ৫২

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে বাড়ির আনাচকানাচে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি রান্নার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অচাষকৃত এসব বুনো শাকসবজি রান্নার প্রতিযোগিতায় ১২ জন নারী অংশ নেন। গতকাল বুধবার উপজেলার সোনামুগারী গ্রামে এই প্রতিযোগিতা হয়। এতে বাড়ির আঙিনা, খাল-বিল ও জলাশয় থেকে সংগৃহীত কচুশাক, ঘোড়াসেঞ্চী, মাঠিফোড়া, ডুমুর, বুনো আমড়া, থানকুনি, শাপলা, কলমি, কলার মোচা, আদাবরুণ, তেলাকচু ও গিমে শাক রান্না করেন তাঁরা। 

নতুন প্রজন্মকে অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের খাদ্যগুণ ও প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এই আয়োজন করে। ‘সিক্সটিন ডেজ অব গ্লোবাল অ্যাকশন অন অ্যাগ্রো ইকোলজি-২০২৪’-এর অংশ হিসেবে এই আয়োজন। 

সোনামুগারী নারী সংগঠন, সবুজ সংহতি, যুব স্বেচ্ছাসেবক কমিটির সহায়তায় উৎসবমুখর গ্রামীণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত রান্না প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল রান্না, স্বাদ গ্রহণ এবং শাকের সঙ্গে পরিচিতিকরণ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। 
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল মনির, শিক্ষক রনজিত বর্মন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জি এম আহসানউল্লাহ, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. আব্দুল মজিদ, কিষানি কোহিনুর বেগম, উন্নয়নকর্মী লীমা বালা, স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল্লাহ, শিক্ষার্থী বন্যা, বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, প্রতিমা চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ মণ্ডল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে হয়। একসময় শ্যামনগর এলাকা উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিল। জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও ঘন ঘন দুর্যোগের কারণে তা কমতে শুরু করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত