চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় হতাশায় হাবিবুর রহমান (২৭) নামে জাবির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাবেক এক শিক্ষার্থী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ঘটনাটি ঘটে গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের জলকার-মাধবপুর গ্রামে।
হাবিবুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে। তিনি সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবন্ধী কোটা থাকার পরও চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে পারেননি। এ নিয়ে তাঁর মধ্যে হতাশা ছিল বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবার ও গ্রামবাসীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক জয়নুল ইসলাম। তিনি হাবিবুরের বড়ভাই আনিছুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকেই তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ পাওয়া যায়নি।’
তবে, চাকরি না পেয়ে ‘আত্মহত্যা’র বিষয়টি অস্বীকার করে মোবাইল ফোনে হাবিবুরের আরেক (পরিবারের ৪র্থ) ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক শিক্ষার্থী মাহবুব রহমান কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ওর (হাবিবুর) একটা চোখ নষ্ট। এ জন্য সে মানুষ থেকে দূরে থাকত। এরপর পড়ালেখা করতে করতে আরেকটা চোখে মারাত্মক ব্যথা শুরু হয়। ভারতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট-ভিসা করার প্রক্রিয়াও চলছিল। এর মধ্যে প্রাথমিকের রেজাল্ট দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায়, আবার লেখাপড়া শুরু করলে চোখের ব্যথা বেড়ে যায়। সে ভয় পেয়ে যায়, যে আরেকটা চোখও হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। তা ছাড়া শহরের মানুষ করোনার জন্য গ্রামে আসে। সাইক্লোজিক্যাল একটা বিষয় আছে না? সব মিলিয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই, দুই বোনের মধ্যে হাবিবুর সবার ছোট। সে ২০১২ সালে এসএসসি ২০১৪ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। বছরখানেক আগে তার লেখাপড়া শেষ হয়।’
মাহবুব রহমান বলেন, ‘ওর আরও সুযোগ ছিল, বয়সও ছিল। আমি নিজেই এখনো চাকরি পাইনি। আমি এসআইতে টিকেছি, সিটি করপোরেশনের ইন্সপেক্টরে টিকেছি। চাকরি পাইনি। আমি তো ওর বড় ভাই। আমি বিশ্বাস করি, আমি চাকরি পাব। ও তো প্রথমবার প্রাইমারিতে টিকেছিল। হয়তো আরও ভালো চাকরি পেত। কারণ ওর প্রতিবন্ধী সনদও রয়েছে। কাজেই গ্রামের লোক যে বলছে, প্রাইমারির চাকরি না পেয়েই সে আত্মহত্যা করেছে এটা সঠিক নয়।’
চৌগাছা থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন আলম চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্য ও গ্রামের লোকজনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
যশোরের চৌগাছায় হতাশায় হাবিবুর রহমান (২৭) নামে জাবির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাবেক এক শিক্ষার্থী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ঘটনাটি ঘটে গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের জলকার-মাধবপুর গ্রামে।
হাবিবুর রহমান ওই গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে। তিনি সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের জন্য সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবন্ধী কোটা থাকার পরও চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে পারেননি। এ নিয়ে তাঁর মধ্যে হতাশা ছিল বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবার ও গ্রামবাসীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌগাছা থানার উপপরিদর্শক জয়নুল ইসলাম। তিনি হাবিবুরের বড়ভাই আনিছুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরি না পাওয়ার হতাশা থেকেই তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ পাওয়া যায়নি।’
তবে, চাকরি না পেয়ে ‘আত্মহত্যা’র বিষয়টি অস্বীকার করে মোবাইল ফোনে হাবিবুরের আরেক (পরিবারের ৪র্থ) ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক শিক্ষার্থী মাহবুব রহমান কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ওর (হাবিবুর) একটা চোখ নষ্ট। এ জন্য সে মানুষ থেকে দূরে থাকত। এরপর পড়ালেখা করতে করতে আরেকটা চোখে মারাত্মক ব্যথা শুরু হয়। ভারতে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট-ভিসা করার প্রক্রিয়াও চলছিল। এর মধ্যে প্রাথমিকের রেজাল্ট দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায়, আবার লেখাপড়া শুরু করলে চোখের ব্যথা বেড়ে যায়। সে ভয় পেয়ে যায়, যে আরেকটা চোখও হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। তা ছাড়া শহরের মানুষ করোনার জন্য গ্রামে আসে। সাইক্লোজিক্যাল একটা বিষয় আছে না? সব মিলিয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই, দুই বোনের মধ্যে হাবিবুর সবার ছোট। সে ২০১২ সালে এসএসসি ২০১৪ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। বছরখানেক আগে তার লেখাপড়া শেষ হয়।’
মাহবুব রহমান বলেন, ‘ওর আরও সুযোগ ছিল, বয়সও ছিল। আমি নিজেই এখনো চাকরি পাইনি। আমি এসআইতে টিকেছি, সিটি করপোরেশনের ইন্সপেক্টরে টিকেছি। চাকরি পাইনি। আমি তো ওর বড় ভাই। আমি বিশ্বাস করি, আমি চাকরি পাব। ও তো প্রথমবার প্রাইমারিতে টিকেছিল। হয়তো আরও ভালো চাকরি পেত। কারণ ওর প্রতিবন্ধী সনদও রয়েছে। কাজেই গ্রামের লোক যে বলছে, প্রাইমারির চাকরি না পেয়েই সে আত্মহত্যা করেছে এটা সঠিক নয়।’
চৌগাছা থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন আলম চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারের সদস্য ও গ্রামের লোকজনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
বরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৫ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
৩১ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
৪২ মিনিট আগে