নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘করোনার ক্ষতি পোষানো তো দূরের কথা, ব্যবসা চালানো নিয়েই শঙ্কিত আমরা।’ খান প্লাজা শপিং সেন্টারের এফ আর ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম এই একটি বাক্য মুখে যতটা না বললেন, তার চেয়েও বেশি বললেন চোখে। তাঁর চোখে শূন্যতা ভর করেছে। আশা ছিল করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছরের ক্ষতি এবারের ঈদে পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু সে আশার জায়গা এখন দখল করেছে আশঙ্কা।
আমিনুল ইসলাম শুধু নন, রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের অধিকাংশেরই মানসিক অবস্থা এখন এমন। সারা দেশের মতো নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরাও এবার ঈদে ভালো বেচাকেনার মাধ্যমে গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করেছিলেন। কিন্তু ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের কারণে তাঁদের সেই আশা দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। দোকান খোলা রাখাটাই এখন তাঁদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউমার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘বিকালে হাফ শাটার খুলছিলাম। আধা ঘণ্টাও খোলা রাখতে পারি নাই। আবার বন্ধ করতে হইছে। এই রকম অবস্থা থাকলে ব্যবসা চালামু ক্যামনে?’
গত সোমবার রাত থেকে রাজধানীর অন্যতম বিপণি কেন্দ্র নিউমার্কেট ও এর আশপাশের এলাকার প্রায় ১০ হাজার দোকানের বেচাকেনা বন্ধ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে তাঁদের ক্ষতি এখন আর সংখ্যায় হিসাব করার অবস্থায় নেই। কারণ, দোকান খুললেও স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্রেতা সমাগম হবে না, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বছরের সবচেয়ে বড় কেনাকাটা হয় রোজার শেষ ১০ দিনে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে এই অবস্থা আমাদের সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’ তিন দিনে ক্ষতির পরিমাণ কত জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘ক্ষতি সীমাহীন।’
স্বাভাবিক নিয়মে নিউমার্কেট এলাকায় ঈদের আগে একদিন বেচাকেনা বন্ধ থাকলে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে গতকাল দাবি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে আজ বুধবার তাঁরা বলছেন, সংখ্যার হিসাবে তাদের ক্ষতি বোঝানো সম্ভব নয়।
দোকান মালিক সমিতি ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়ার পরও দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আতঙ্কে তাঁদের দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আর কী করার আছে। আমরা পুরো বিষয়টাই প্রশাসনের ওপরে ছেড়ে দিয়েছি।’ তিনি জানান, যে দোকান দুটি দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে, তারা সে দুটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর পর প্রশাসন তদন্ত করে যাকে দোষী সাব্যস্ত করবে, তাকে যেন কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়—সেই দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পুরো ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততা দেখছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তায় যারা তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের কেউ ব্যবসায়ী না। তারা তৃতীয় কোনো পক্ষের। তাদের দায় আমরা নেব না।’
‘করোনার ক্ষতি পোষানো তো দূরের কথা, ব্যবসা চালানো নিয়েই শঙ্কিত আমরা।’ খান প্লাজা শপিং সেন্টারের এফ আর ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম এই একটি বাক্য মুখে যতটা না বললেন, তার চেয়েও বেশি বললেন চোখে। তাঁর চোখে শূন্যতা ভর করেছে। আশা ছিল করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছরের ক্ষতি এবারের ঈদে পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু সে আশার জায়গা এখন দখল করেছে আশঙ্কা।
আমিনুল ইসলাম শুধু নন, রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের অধিকাংশেরই মানসিক অবস্থা এখন এমন। সারা দেশের মতো নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরাও এবার ঈদে ভালো বেচাকেনার মাধ্যমে গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করেছিলেন। কিন্তু ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের কারণে তাঁদের সেই আশা দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়েছে। দোকান খোলা রাখাটাই এখন তাঁদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিউমার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘বিকালে হাফ শাটার খুলছিলাম। আধা ঘণ্টাও খোলা রাখতে পারি নাই। আবার বন্ধ করতে হইছে। এই রকম অবস্থা থাকলে ব্যবসা চালামু ক্যামনে?’
গত সোমবার রাত থেকে রাজধানীর অন্যতম বিপণি কেন্দ্র নিউমার্কেট ও এর আশপাশের এলাকার প্রায় ১০ হাজার দোকানের বেচাকেনা বন্ধ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে তাঁদের ক্ষতি এখন আর সংখ্যায় হিসাব করার অবস্থায় নেই। কারণ, দোকান খুললেও স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্রেতা সমাগম হবে না, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বছরের সবচেয়ে বড় কেনাকাটা হয় রোজার শেষ ১০ দিনে। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে এই অবস্থা আমাদের সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’ তিন দিনে ক্ষতির পরিমাণ কত জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘ক্ষতি সীমাহীন।’
স্বাভাবিক নিয়মে নিউমার্কেট এলাকায় ঈদের আগে একদিন বেচাকেনা বন্ধ থাকলে ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে গতকাল দাবি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে আজ বুধবার তাঁরা বলছেন, সংখ্যার হিসাবে তাদের ক্ষতি বোঝানো সম্ভব নয়।
দোকান মালিক সমিতি ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়ার পরও দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের আতঙ্কে তাঁদের দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের আর কী করার আছে। আমরা পুরো বিষয়টাই প্রশাসনের ওপরে ছেড়ে দিয়েছি।’ তিনি জানান, যে দোকান দুটি দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে, তারা সে দুটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এর পর প্রশাসন তদন্ত করে যাকে দোষী সাব্যস্ত করবে, তাকে যেন কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়—সেই দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পুরো ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততা দেখছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তায় যারা তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের কেউ ব্যবসায়ী না। তারা তৃতীয় কোনো পক্ষের। তাদের দায় আমরা নেব না।’
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে। উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছিল র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা এ হত্যা ঘটিয়েছেন।
৩ মিনিট আগেনিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
১৩ মিনিট আগেরাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে