অরূপ রায়, সাভার থেকে
সাভারে বয়স্ক ভাতার অনেক উপকারভোগীর টাকা চলে যাচ্ছে অন্যজনের মোবাইল ফোন নম্বরে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা নগদের মাধ্যমে ভাতার টাকা দেওয়ার পর থেকেই এমনটি ঘটছে। যখন ব্যাংকে ভাতার টাকা দেওয়া হতো, তখন কোনো সমস্যা হতো না বলে জানিয়েছেন ভাতার উপকারভোগীরা। শুধু বয়স্ক ভাতাই নয়, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতাও চলে যাচ্ছে ভুল মানুষের কাছে।
সাভার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বয়স্ক ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার। প্রতিবন্ধী শিক্ষাভাতা পান দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। গত অর্থবছর থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নগদে এসব ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। এরপর থেকে ভাতার উপকারভোগীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
ভাতা না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছেন আশুলিয়ার চারাবাগের মালেকা বেগম। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একাধিক কর্মকর্তার কাছে ধরনা দিয়েও তিনি জানতে পারেননি কেন ভাতা পাচ্ছেন না। পরে তিনি বিষয়টি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিকেরা পরে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবলীজ্জামানের কাছে মালেকা বেগমের ভাতা না পাওয়ার কারণ জানতে চান।
দপ্তরে সংরক্ষিত তথ্য ঘেঁটে শিবলীজ্জামান বলেন, ‘মালেকা বেগমের ভাতার টাকা ভুল মানুষের কাছে চলে গেছে। হয় তিনি মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়ার সময় ভুল করেছিলেন অথবা তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল হয়েছে। আবেদন করা হলে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে। অন্যজনের কাছে চলে যাওয়া তাঁর ভাতার টাকা ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে। তবে ফেরত আনা যাবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
তবে মালেকা বেগমের অভিযোগ, তাঁর ভাতার টাকা আত্মসাতের জন্য কতিপয় ব্যক্তি ইচ্ছে করেই মোবাইল ফোনের নম্বর ভুল দিয়েছেন। তিনি তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর সঠিক দিয়েছিলেন। অনেক ঘুরেও তিনি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না বলে জানান।
কয়েক মাস ধরে বয়স্ক ভাতার টাকা পান না সাভারের চাকুলিয়ার রহিমা বেগম। তাঁর টাকাও ভুল মানুষের কাছে চলে গেছে। তিনি বলেন, ‘আগে ব্যাংক থেকে যখন টাকা উত্তোলন করতাম, তখন কোনো সমস্যা হতো না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেওয়ায় আমি কয়েক মাস ধরে টাকা পাচ্ছি না। আমার ভাতার টাকা চলে যাচ্ছে অন্য একজনের মোবাইল ফোন নম্বরে।’
রহিমা বেগম বলেন, ‘আমি সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ওই নম্বর জোগাড় করে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি আমার ভাতার টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। ছয় মাস ধরে ঘুরে এর কোনো সমাধানও পাচ্ছি না।’
তথ্য হালনাগাদ না করায় ৯ মাস ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না সাভারের রাজাসনের রফিক দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা আমার জানা ছিল না। এ কারণে অফিসে আমার কোনো তথ্য নেই। কিন্তু গত ৯ মাসেও অফিস থেকে আমাকে এ বিষয়টি জানানো হয়নি।’
প্রতিবন্ধী শিক্ষাভাতা পেতেন সাভারের মোস্তাপাড়ার আবু সাঈদের ছেলে, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া হাবিবুর রহমান। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সে ভাতা পাচ্ছে না। তার ভাতার টাকা চলে যাচ্ছে ভুল মানুষের কাছে।
আবু সাঈদ বলেন, ‘ভাতা না পেয়ে আমি একাধিকবার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শিবলীজ্জামানকে বিষয়টি জানিয়েছি। সমাধান না করে তিনি নানা অজুহাতে আমাকে বিদায় করে দিয়েছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তাঁর কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি যে ব্যক্তির কাছে আমার ছেলের ভাতার টাকা চলে গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তিনি তালিকা থেকে আমার ছেলের নাম বাদ দেওয়ার হুমকি দেন।’উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবলীজ্জামান বলেন, বয়স্ক ভাতার ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ৩০০ জন উপকারভোগীর ভাতার টাকা ভুল মানুষের কাছে চলে গেছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষাভাতার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। ভুল সংশোধনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। শিগগিরই এসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
সাভারে বয়স্ক ভাতার অনেক উপকারভোগীর টাকা চলে যাচ্ছে অন্যজনের মোবাইল ফোন নম্বরে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা নগদের মাধ্যমে ভাতার টাকা দেওয়ার পর থেকেই এমনটি ঘটছে। যখন ব্যাংকে ভাতার টাকা দেওয়া হতো, তখন কোনো সমস্যা হতো না বলে জানিয়েছেন ভাতার উপকারভোগীরা। শুধু বয়স্ক ভাতাই নয়, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতাও চলে যাচ্ছে ভুল মানুষের কাছে।
সাভার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বয়স্ক ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার। প্রতিবন্ধী শিক্ষাভাতা পান দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। গত অর্থবছর থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নগদে এসব ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। এরপর থেকে ভাতার উপকারভোগীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
ভাতা না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসেছেন আশুলিয়ার চারাবাগের মালেকা বেগম। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত একাধিক কর্মকর্তার কাছে ধরনা দিয়েও তিনি জানতে পারেননি কেন ভাতা পাচ্ছেন না। পরে তিনি বিষয়টি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিকেরা পরে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবলীজ্জামানের কাছে মালেকা বেগমের ভাতা না পাওয়ার কারণ জানতে চান।
দপ্তরে সংরক্ষিত তথ্য ঘেঁটে শিবলীজ্জামান বলেন, ‘মালেকা বেগমের ভাতার টাকা ভুল মানুষের কাছে চলে গেছে। হয় তিনি মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়ার সময় ভুল করেছিলেন অথবা তথ্য হালনাগাদের সময় ভুল হয়েছে। আবেদন করা হলে তা সংশোধন করে দেওয়া হবে। অন্যজনের কাছে চলে যাওয়া তাঁর ভাতার টাকা ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে। তবে ফেরত আনা যাবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
তবে মালেকা বেগমের অভিযোগ, তাঁর ভাতার টাকা আত্মসাতের জন্য কতিপয় ব্যক্তি ইচ্ছে করেই মোবাইল ফোনের নম্বর ভুল দিয়েছেন। তিনি তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর সঠিক দিয়েছিলেন। অনেক ঘুরেও তিনি ভাতার টাকা পাচ্ছেন না বলে জানান।
কয়েক মাস ধরে বয়স্ক ভাতার টাকা পান না সাভারের চাকুলিয়ার রহিমা বেগম। তাঁর টাকাও ভুল মানুষের কাছে চলে গেছে। তিনি বলেন, ‘আগে ব্যাংক থেকে যখন টাকা উত্তোলন করতাম, তখন কোনো সমস্যা হতো না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেওয়ায় আমি কয়েক মাস ধরে টাকা পাচ্ছি না। আমার ভাতার টাকা চলে যাচ্ছে অন্য একজনের মোবাইল ফোন নম্বরে।’
রহিমা বেগম বলেন, ‘আমি সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ওই নম্বর জোগাড় করে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি আমার ভাতার টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। ছয় মাস ধরে ঘুরে এর কোনো সমাধানও পাচ্ছি না।’
তথ্য হালনাগাদ না করায় ৯ মাস ধরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না সাভারের রাজাসনের রফিক দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা আমার জানা ছিল না। এ কারণে অফিসে আমার কোনো তথ্য নেই। কিন্তু গত ৯ মাসেও অফিস থেকে আমাকে এ বিষয়টি জানানো হয়নি।’
প্রতিবন্ধী শিক্ষাভাতা পেতেন সাভারের মোস্তাপাড়ার আবু সাঈদের ছেলে, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া হাবিবুর রহমান। কিন্তু কয়েক মাস ধরে সে ভাতা পাচ্ছে না। তার ভাতার টাকা চলে যাচ্ছে ভুল মানুষের কাছে।
আবু সাঈদ বলেন, ‘ভাতা না পেয়ে আমি একাধিকবার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শিবলীজ্জামানকে বিষয়টি জানিয়েছি। সমাধান না করে তিনি নানা অজুহাতে আমাকে বিদায় করে দিয়েছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার তাঁর কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি যে ব্যক্তির কাছে আমার ছেলের ভাতার টাকা চলে গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তিনি তালিকা থেকে আমার ছেলের নাম বাদ দেওয়ার হুমকি দেন।’উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শিবলীজ্জামান বলেন, বয়স্ক ভাতার ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ৩০০ জন উপকারভোগীর ভাতার টাকা ভুল মানুষের কাছে চলে গেছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষাভাতার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। ভুল সংশোধনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। শিগগিরই এসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
বরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৮ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
৩৪ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে