আবদুল হামিদ, ঢাকা
গত বুধবার বেলা ১১টা। রাজধানীর রাজারবাগ পীরের দরবারের প্রবেশ ফটকে গিয়ে দেখা গেল একটি বেঞ্চে বসে আছেন তিনজন, যাঁরা দরবার শরিফের ভেতরে ঢুকছেন, তাঁদের তল্লাশি করছেন এঁদের দুজন। এর মধ্যে একজন জানতে চাইলেন, কেন ভেতরে যাবেন? বলা হলো, হুজুর সম্পর্কে জানার জন্যই আসা। এই জবাবে পাওয়া গেল ঢোকার অনুমতি। তবে একজন বললেন, মুখের মাস্ক খুলে ঢুকতে হবে। এখানে করোনা বলতে কিছু নেই। ভেতরে কেউ মাস্ক পরে না। ভেতরে কোনো মানুষের ছবি তোলা যাবে না, ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিয়ে ঢোকা যাবে না।
রাজারবাগের এই পীর দিল্লুর রহমান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্তে গত মঙ্গলবার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁর ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পত্তি রয়েছে, সেগুলোর উৎস সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রাজারবাগের পীর ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা দিয়ে মানুষের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ অনেক দিনের। এমন কয়েকজনের রিটের পর ওই আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন বুধবার তাঁদের সার্বিক অবস্থা জানতে গন্তব্য আলোচিত সেই দরবার শরিফ।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ৩ নম্বর গেটের সামনে পৌঁছে দেখা গেল উল্টো দিকের রাস্তার পাশ দিয়ে সারি সারি কাভার্ড ভ্যান রাখা। সব কাভার্ড ভ্যানের গায়েই রাজারবাগ দরবারের বড় বড় ব্যানার ও পোস্টার সাঁটানো। লেখা—আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র। সেখানে বিক্রি হয় দরবার শরিফে তৈরি নানা দ্রব্য। গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টারের সামনে থেকে দরবার শরিফের মুখ পর্যন্ত ফ্লাইওভারের নিচের অংশ পীরের মালিকানাধীন গাড়ির দখলে।
ফটকে তল্লাশির পর মাস্ক খুলেই ঢুকতে হলো ভেতরে। তবে সঙ্গে দেওয়া হলো আজিজ নামের একজনকে। প্রথমে নেওয়া হলো লাইব্রেরিতে। সেখানে দেখা পাওয়া গেল পীরের এক মুরিদের। তিনি জানালেন পীরের লেখা বিভিন্ন বই সম্পর্কে।
আজিজ এরপর নিয়ে গেলেন লাইব্রেরি লাগোয়া মার্কেটে। এক ছাদের নিচেই সব আয়োজন। মোট পাঁচ ভাগে বিভক্ত সেই মার্কেট। একটিতে বিক্রি হচ্ছে প্রসাধনী, এক জায়গায় কাঠ দিয়ে বানানো সবকিছু। সেখানে আছে কাঠের থালা, গ্লাস, বাটি, চামচ, খুন্তিসহ খাওয়া ও সাংসারিক কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। সঙ্গে থাকা আজিজ জানালেন, দরবার শরিফে কাঠের থালায় ভাত খাওয়ার নিয়ম। মাটি-কাঠের গ্লাস বা কাঠের বাটিতে পানি খেতে হবে।
জানা গেল, পীর দিল্লুর রহমানের আসন পাঁচতলায়। সেখানে দিনের বেলা যাওয়া নিষেধ। তিনি তখন ঘুমাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার পর সবাই যেতে পারবে।
দরবার থেকে বেরিয়ে লাগোয়া গলির কয়েকজন দোকানদারের সঙ্গে কথা হলো। তাঁরা জানালেন, দরবারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে সমস্যা হয়। পীরের মুরিদরা হুমকি-ধমকি দেন। একজন বলেন, পত্রিকায় দেখেছি পীরসাহেব এলাকার এক ব্যক্তির জমি দখল করে নিতে মামলা করেছেন।
পীরের দেখা পেতে ওই দিনই রাত ১১টা ১৫ মিনিটে আরারও রাজারবাগ শরিফের গেটে। সকালে ছোট গেট খোলা থাকলেও গভীর রাতে মূল গেট খোলা। ওপরে চলছে পীরের বয়ান। ঢোকার সময় আবারও সেই মাস্ক বিড়ম্বনা। খুলতে না চাইলে গেটে দায়িত্বে থাকা মুরিদ আবুল হাসান (৪৫) বলতে শুরু করলেন, ‘আমাদের এখানে কেউ মাস্ক পরে না। করোনা বলতে কিছু নাই। অ্যালার্জি বেড়ে গেলে এবং ঠান্ডা লাগলে সরকার এটাকে করোনা বলে দিচ্ছে। সরকার করোনার যে রিপোর্ট দেখায়, সব ভুয়া। আমরা এসব বিশ্বাস করি না।’
নিচতলায় জুতা রেখে ওপরের দিকে ওঠা শুরু। দোতলায় ছাত্র আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত শাখার থাকার ব্যবস্থা। তৃতীয় তলায় দেখা মিলল যুবা আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাতদের আবাসিক জায়গা। এঁদের মধ্যে অনেকই মুরিদদের মোবাইল সংরক্ষণের জন্য বসে আছেন। চারতলায় ভারী লোহার দরজা। কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গেটের সামনে। বোঝা গেল, পীর চারতলাতেই থাকেন।
পাঁচতলায় চলছে পীরের বয়ান। কনফারেন্স রুমের ডান দিকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিক্রির স্টল রয়েছে। সেখান থেকে ৫৫ টাকার একটা টুপি কেনার পর মাথায় পরিয়ে দিলেন দায়িত্বরত একজন।
ভেতরে প্রবেশ করতেই ভিন্ন চিত্র। সবার গায়ে সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা-পাগড়ি। এক শর মতো শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষ বসা। কনফারেন্স কক্ষটি তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি অংশে চারটি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), একটি ডায়াস ও ১২টি ফ্যানসহ গ্লাস দিয়ে সংরক্ষিত, কেউ ছিল না। মধ্য অংশে ২৪টি ফ্যান ও ১০টি এসি এবং ২০টির মতো স্পিকার লাগানো। সেখানে মুরিদেরা বসেন। আরেক অংশে বসেন কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটি, পীর দিল্লুর রহমান। সেখানে দুটি এসি, সঙ্গে ফ্যান। স্বচ্ছ গ্লাস দিয়ে ঘেরা। সেখানে থাকেন পীরের কাছের মুরিদরা। বাইরে দুই পাশে দুজন নিরাপত্তাপ্রহরী।
কাছে যাওয়ার সুযোগ হলো না। একটু দূর থেকেই দেখতে হলো। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া লোকটিই পীর দিল্লুর রহমান। সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা আর পাগড়ি পরা পীরের প্রায় মুখের সঙ্গে লাগোয়া তিনটি স্পিকার। তবু তাঁর কথা স্পষ্ট নয়। কিছু বোঝা যায়, বেশির ভাগই বোঝা যায় না। তবে মুরিদরা কিছুক্ষণ পরপর অদ্ভুত আওয়াজ করেন। জানা গেল, প্রতি রাতে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বয়ান করেন দিল্লুর রহমান।
যা বোঝা গেল, পীরসাহেবের বুধবারের বয়ান ছিল সমসাময়িক বিষয় নিয়ে। তিনি বলেন, ‘দুই টাকার মিডিয়া ও পত্রিকা আমার কিছুই করতে পারবে না। তা ছাড়া মিডিয়া নিউজ করছে, এখানে নাকি কিছুই চলে না, বন্ধ হয়ে গেছে। এসব মিথ্যা কথা। আদালত ও পুলিশ মিলে মজলিশ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করছে। তারা বন্ধ করে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। কই, মজলিশ তো বন্ধ করতে পারল না।’
এত মানুষের যাতায়াত হলেও একটিও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) নেই রাজারবাগ পীরের আস্তানায়। তাদের দাবি, ছবি তোলা হারাম। এক মুরিদ বললেন, ইসলাম বুঝতে হলে এখানে আসতে হবে।
গত বুধবার বেলা ১১টা। রাজধানীর রাজারবাগ পীরের দরবারের প্রবেশ ফটকে গিয়ে দেখা গেল একটি বেঞ্চে বসে আছেন তিনজন, যাঁরা দরবার শরিফের ভেতরে ঢুকছেন, তাঁদের তল্লাশি করছেন এঁদের দুজন। এর মধ্যে একজন জানতে চাইলেন, কেন ভেতরে যাবেন? বলা হলো, হুজুর সম্পর্কে জানার জন্যই আসা। এই জবাবে পাওয়া গেল ঢোকার অনুমতি। তবে একজন বললেন, মুখের মাস্ক খুলে ঢুকতে হবে। এখানে করোনা বলতে কিছু নেই। ভেতরে কেউ মাস্ক পরে না। ভেতরে কোনো মানুষের ছবি তোলা যাবে না, ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিয়ে ঢোকা যাবে না।
রাজারবাগের এই পীর দিল্লুর রহমান ও তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্তে গত মঙ্গলবার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁর ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পত্তি রয়েছে, সেগুলোর উৎস সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রাজারবাগের পীর ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা দিয়ে মানুষের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ অনেক দিনের। এমন কয়েকজনের রিটের পর ওই আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন বুধবার তাঁদের সার্বিক অবস্থা জানতে গন্তব্য আলোচিত সেই দরবার শরিফ।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের ৩ নম্বর গেটের সামনে পৌঁছে দেখা গেল উল্টো দিকের রাস্তার পাশ দিয়ে সারি সারি কাভার্ড ভ্যান রাখা। সব কাভার্ড ভ্যানের গায়েই রাজারবাগ দরবারের বড় বড় ব্যানার ও পোস্টার সাঁটানো। লেখা—আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র। সেখানে বিক্রি হয় দরবার শরিফে তৈরি নানা দ্রব্য। গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টারের সামনে থেকে দরবার শরিফের মুখ পর্যন্ত ফ্লাইওভারের নিচের অংশ পীরের মালিকানাধীন গাড়ির দখলে।
ফটকে তল্লাশির পর মাস্ক খুলেই ঢুকতে হলো ভেতরে। তবে সঙ্গে দেওয়া হলো আজিজ নামের একজনকে। প্রথমে নেওয়া হলো লাইব্রেরিতে। সেখানে দেখা পাওয়া গেল পীরের এক মুরিদের। তিনি জানালেন পীরের লেখা বিভিন্ন বই সম্পর্কে।
আজিজ এরপর নিয়ে গেলেন লাইব্রেরি লাগোয়া মার্কেটে। এক ছাদের নিচেই সব আয়োজন। মোট পাঁচ ভাগে বিভক্ত সেই মার্কেট। একটিতে বিক্রি হচ্ছে প্রসাধনী, এক জায়গায় কাঠ দিয়ে বানানো সবকিছু। সেখানে আছে কাঠের থালা, গ্লাস, বাটি, চামচ, খুন্তিসহ খাওয়া ও সাংসারিক কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। সঙ্গে থাকা আজিজ জানালেন, দরবার শরিফে কাঠের থালায় ভাত খাওয়ার নিয়ম। মাটি-কাঠের গ্লাস বা কাঠের বাটিতে পানি খেতে হবে।
জানা গেল, পীর দিল্লুর রহমানের আসন পাঁচতলায়। সেখানে দিনের বেলা যাওয়া নিষেধ। তিনি তখন ঘুমাচ্ছিলেন। সন্ধ্যার পর সবাই যেতে পারবে।
দরবার থেকে বেরিয়ে লাগোয়া গলির কয়েকজন দোকানদারের সঙ্গে কথা হলো। তাঁরা জানালেন, দরবারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে সমস্যা হয়। পীরের মুরিদরা হুমকি-ধমকি দেন। একজন বলেন, পত্রিকায় দেখেছি পীরসাহেব এলাকার এক ব্যক্তির জমি দখল করে নিতে মামলা করেছেন।
পীরের দেখা পেতে ওই দিনই রাত ১১টা ১৫ মিনিটে আরারও রাজারবাগ শরিফের গেটে। সকালে ছোট গেট খোলা থাকলেও গভীর রাতে মূল গেট খোলা। ওপরে চলছে পীরের বয়ান। ঢোকার সময় আবারও সেই মাস্ক বিড়ম্বনা। খুলতে না চাইলে গেটে দায়িত্বে থাকা মুরিদ আবুল হাসান (৪৫) বলতে শুরু করলেন, ‘আমাদের এখানে কেউ মাস্ক পরে না। করোনা বলতে কিছু নাই। অ্যালার্জি বেড়ে গেলে এবং ঠান্ডা লাগলে সরকার এটাকে করোনা বলে দিচ্ছে। সরকার করোনার যে রিপোর্ট দেখায়, সব ভুয়া। আমরা এসব বিশ্বাস করি না।’
নিচতলায় জুতা রেখে ওপরের দিকে ওঠা শুরু। দোতলায় ছাত্র আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাত শাখার থাকার ব্যবস্থা। তৃতীয় তলায় দেখা মিলল যুবা আঞ্জুমান আল বাইয়্যিনাতদের আবাসিক জায়গা। এঁদের মধ্যে অনেকই মুরিদদের মোবাইল সংরক্ষণের জন্য বসে আছেন। চারতলায় ভারী লোহার দরজা। কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গেটের সামনে। বোঝা গেল, পীর চারতলাতেই থাকেন।
পাঁচতলায় চলছে পীরের বয়ান। কনফারেন্স রুমের ডান দিকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিক্রির স্টল রয়েছে। সেখান থেকে ৫৫ টাকার একটা টুপি কেনার পর মাথায় পরিয়ে দিলেন দায়িত্বরত একজন।
ভেতরে প্রবেশ করতেই ভিন্ন চিত্র। সবার গায়ে সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা-পাগড়ি। এক শর মতো শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষ বসা। কনফারেন্স কক্ষটি তিন ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি অংশে চারটি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), একটি ডায়াস ও ১২টি ফ্যানসহ গ্লাস দিয়ে সংরক্ষিত, কেউ ছিল না। মধ্য অংশে ২৪টি ফ্যান ও ১০টি এসি এবং ২০টির মতো স্পিকার লাগানো। সেখানে মুরিদেরা বসেন। আরেক অংশে বসেন কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিটি, পীর দিল্লুর রহমান। সেখানে দুটি এসি, সঙ্গে ফ্যান। স্বচ্ছ গ্লাস দিয়ে ঘেরা। সেখানে থাকেন পীরের কাছের মুরিদরা। বাইরে দুই পাশে দুজন নিরাপত্তাপ্রহরী।
কাছে যাওয়ার সুযোগ হলো না। একটু দূর থেকেই দেখতে হলো। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া লোকটিই পীর দিল্লুর রহমান। সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা আর পাগড়ি পরা পীরের প্রায় মুখের সঙ্গে লাগোয়া তিনটি স্পিকার। তবু তাঁর কথা স্পষ্ট নয়। কিছু বোঝা যায়, বেশির ভাগই বোঝা যায় না। তবে মুরিদরা কিছুক্ষণ পরপর অদ্ভুত আওয়াজ করেন। জানা গেল, প্রতি রাতে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বয়ান করেন দিল্লুর রহমান।
যা বোঝা গেল, পীরসাহেবের বুধবারের বয়ান ছিল সমসাময়িক বিষয় নিয়ে। তিনি বলেন, ‘দুই টাকার মিডিয়া ও পত্রিকা আমার কিছুই করতে পারবে না। তা ছাড়া মিডিয়া নিউজ করছে, এখানে নাকি কিছুই চলে না, বন্ধ হয়ে গেছে। এসব মিথ্যা কথা। আদালত ও পুলিশ মিলে মজলিশ বন্ধ করার জন্য চেষ্টা করছে। তারা বন্ধ করে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। কই, মজলিশ তো বন্ধ করতে পারল না।’
এত মানুষের যাতায়াত হলেও একটিও ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) নেই রাজারবাগ পীরের আস্তানায়। তাদের দাবি, ছবি তোলা হারাম। এক মুরিদ বললেন, ইসলাম বুঝতে হলে এখানে আসতে হবে।
বরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
৬ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
৩২ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
৪৩ মিনিট আগে