গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেদগ্রাম-সিলনা সড়কে সিলনা বাজার সংলগ্ন শির খালে নির্মিত সেতুটি ভেঙে যায়। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সদর উপজেলার একাংশকে টুঙ্গিপাড়ার বর্ণী ইউনিয়নের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
১৯৯৪ সালে নির্মিত ২৭ মিটার দীর্ঘ ও ১২ মিটার প্রস্থের সেতুটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদরের একাংশের মানুষ। সড়কটি দিয়ে টুঙ্গিপাড়ার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জেলা শহর, কোটালীপাড়া উপজেলা এবং সদর উপজেলার অর্ধ লাখ মানুষ টুঙ্গিপাড়াসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। ওই স্থানে সেতু পুনর্নির্মাণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সিলনা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আলম বলেন, ‘প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে অনেক যানবাহন চলাচল করে। যদি এটা বন্ধ থাকে, তাহলে মানুষ নিশ্বাস ছাড়তে পারবে না, এমন অবস্থা হবে। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এখান দিয়ে না গেলেও নয়। এলাকাবাসীর পক্ষে আমি অনুরোধ রাখলাম যত দ্রুত সম্ভব এখান দিয়ে যেন মানুষের যাতায়াত এবং যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. লুৎফার মোল্লা বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় কয়েক অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হয়েছে। ঝড়ের সময় এখানে স্রোত ছিল অত্যধিক। স্রোতের কারণে সেতুর গোড়ার গাছ পড়ে গেছে, সঙ্গে ব্রিজও ভেঙে পড়েছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া, হাটবাজারে যাওয়া সবকিছুতে সমস্যা হয়েছে।’
ওই সেতু দিয়ে চলাচলকারী টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাফায়েত মোল্লা বলেন, ‘লাখের বেশি মানুষ প্রতিদিন এই ব্রিজ ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এখান দিয়ে গোপালগঞ্জ যায়, টুঙ্গিপাড়া যায়, কোটালীপাড়া যায়। এই ব্রিজ ভেঙে গেছে। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় মালামাল নিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। মালামাল নিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে।’
পথচারী বালা খান বলেন, ‘ব্রিজের কাজ হয়তো ঠিকমতো করে নাই। ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় জলোচ্ছ্বাসের কারণে এই ব্রিজ ভেঙে গেছে। হয়তোবা কর্তৃপক্ষের দেখভালের অভাব ছিল, এ জন্য ব্রিজ এত দ্রুত ভেঙে গেল।’
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সারা দেশের মতো গোপালগঞ্জেও কিছু ক্ষতি হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়ার বর্ণী ইউনিয়নের সংযোগ রাস্তায় এলজিইডি নির্মিত একটি সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এ কারণে গোপালগঞ্জ এবং টুঙ্গিপাড়ার একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের কথা ইতিমধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক বলেন, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রাম-সিলনা সড়কের একটি সেতুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। দুর্ভোগ লাঘবে এলজিইডি থেকে একটি বেইলি ব্রিজ অথবা টেম্পোরারি ব্যাম্বো ব্রিজ করে দেওয়া হবে, যাতে মানুষ এবং হালকা যানবাহন এখান দিয়ে চলাচল করতে পারে। পরবর্তী সময়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেদগ্রাম-সিলনা সড়কে সিলনা বাজার সংলগ্ন শির খালে নির্মিত সেতুটি ভেঙে যায়। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সদর উপজেলার একাংশকে টুঙ্গিপাড়ার বর্ণী ইউনিয়নের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
১৯৯৪ সালে নির্মিত ২৭ মিটার দীর্ঘ ও ১২ মিটার প্রস্থের সেতুটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদরের একাংশের মানুষ। সড়কটি দিয়ে টুঙ্গিপাড়ার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ জেলা শহর, কোটালীপাড়া উপজেলা এবং সদর উপজেলার অর্ধ লাখ মানুষ টুঙ্গিপাড়াসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। ওই স্থানে সেতু পুনর্নির্মাণের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
সিলনা গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আলম বলেন, ‘প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে অনেক যানবাহন চলাচল করে। যদি এটা বন্ধ থাকে, তাহলে মানুষ নিশ্বাস ছাড়তে পারবে না, এমন অবস্থা হবে। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এখান দিয়ে না গেলেও নয়। এলাকাবাসীর পক্ষে আমি অনুরোধ রাখলাম যত দ্রুত সম্ভব এখান দিয়ে যেন মানুষের যাতায়াত এবং যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।’
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. লুৎফার মোল্লা বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় কয়েক অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হয়েছে। ঝড়ের সময় এখানে স্রোত ছিল অত্যধিক। স্রোতের কারণে সেতুর গোড়ার গাছ পড়ে গেছে, সঙ্গে ব্রিজও ভেঙে পড়েছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া, হাটবাজারে যাওয়া সবকিছুতে সমস্যা হয়েছে।’
ওই সেতু দিয়ে চলাচলকারী টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাফায়েত মোল্লা বলেন, ‘লাখের বেশি মানুষ প্রতিদিন এই ব্রিজ ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এখান দিয়ে গোপালগঞ্জ যায়, টুঙ্গিপাড়া যায়, কোটালীপাড়া যায়। এই ব্রিজ ভেঙে গেছে। ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় মালামাল নিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। মালামাল নিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে।’
পথচারী বালা খান বলেন, ‘ব্রিজের কাজ হয়তো ঠিকমতো করে নাই। ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় জলোচ্ছ্বাসের কারণে এই ব্রিজ ভেঙে গেছে। হয়তোবা কর্তৃপক্ষের দেখভালের অভাব ছিল, এ জন্য ব্রিজ এত দ্রুত ভেঙে গেল।’
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দীন বলেন, ‘প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সারা দেশের মতো গোপালগঞ্জেও কিছু ক্ষতি হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রাম থেকে টুঙ্গিপাড়ার বর্ণী ইউনিয়নের সংযোগ রাস্তায় এলজিইডি নির্মিত একটি সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এ কারণে গোপালগঞ্জ এবং টুঙ্গিপাড়ার একাংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের কথা ইতিমধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক বলেন, গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামো কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রাম-সিলনা সড়কের একটি সেতুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। দুর্ভোগ লাঘবে এলজিইডি থেকে একটি বেইলি ব্রিজ অথবা টেম্পোরারি ব্যাম্বো ব্রিজ করে দেওয়া হবে, যাতে মানুষ এবং হালকা যানবাহন এখান দিয়ে চলাচল করতে পারে। পরবর্তী সময়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে