কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দিলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বন্ধের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জানিয়ে দেওয়ার তাগিদও দিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আজিজ উল্যাহর এমন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার আনন্দবাজারের ওই সমাবেশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাসেম মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিলন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের বক্তব্যে এস এম আজিজ উল্যাহ বলেন, ‘খুব ভালো একটা কথা সকলের মুখ থেকে বের হয়ে আসছে। আমাদের এই সরকারের যে সুযোগ-সুবিধাদি যারা নিচ্ছে, ওরা যদি ৭ তারিখের নির্বাচনে যাইয়া ভোট না দেয়, ওদের যে সুবিধাটা আছে, এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা এই পরিষদ থেকে করা হবে।
‘যাঁরা ভোট সেন্টারে যাইয়া ভোট না দিবেন, তাঁদের যেকোনো সার্টিফিকেট, যেকোনো ভেরিফিকেশন, যদি আপনারা বলেন, যেমন ধরেন, এটা আজকের এই মিটিং কিন্তু খুব সুন্দর মিটিং এবং এই মিটিং আমরা আসলে সকলে যদি চেষ্টা করি এই প্রক্রিয়ায় আমরা ফরিদপুর ইউনিয়ন আগাইয়া যাইতে পারব। যেমন, আমাদের মধ্যে যে চেইন অব কমান্ড, সেটা আসলে অতীতে ভাইঙ্গা গেছিল, আজকা পর্যন্ত ভাঙা অবস্থায় ছিল।
‘তবে আমি সর্বোচ্চ আপনাদের উপস্থিতিতে আজকে আমি ঘোষণা করতে চাই, আমাদের মধ্যে এই ভঙ্গুরতা যাতে আর ভবিষ্যতে সৃষ্টি না হয় বা কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতা না হয়, সে সর্বোচ্চ চেষ্টা এই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি সভাপতি হিসেবে আপনাদের আশ্বস্ত করলাম।
‘যেমন কোনো কারণে কোনো বিএনপির লোক, কোনো বিতর্কিত লোক যে কেউ সার্টিফিকেট, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট ইত্যাদি সম্পর্কে আপনারা আপনাদের ওয়ার্ডে সকলকে বলবেন যে, যদি আপনারা ভোট দিতে না যান এবং এটা যদি প্রমাণিত হয়, চেয়ারম্যান কিন্তু আওয়ামী লীগের, সভাপতিও সে, চেয়ারম্যানও সে।
‘কাজেই আপনাকে কিন্তু এই পরিষদে যাইতে হবে। গেলে আপনি সার্টিফিকেট, আপনারা আমি যেকোনো বিতর্কিত লোক বা যাকে আমরা দেখি নাই, এই ধরনের লোক যখন আসবে, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট বা ইয়ার কারণে তখন আমি অবশ্যই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ মানে সিনিয়র নেতৃবর্গসহ সকলকে আমি জিজ্ঞেস করব—এই লোককে কি এই ধরনের সার্টিফিকেট দেওয়া যায় কি না?
‘যদি বলে, সে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় নাই, সেন্টারে যায় নাই, তাহলে তার সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ হয়ে যাবে। সব ওয়ার্ডে অন্তত পক্ষে বলে দিবেন, যদি ওই দিন ভোট দিতে না যায়, পরিষদের কোনো সুযোগ-সুবিধা, দলের কোনো সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা টোটালি বঞ্চিত হবে এবং এটা অবশ্যই আপনাদের মাধ্যমে বঞ্চিত হবে। কারণ, আপনারা যারা ওয়ার্ডের নেতৃবর্গ আছেন, তাঁদের সকলকে জিজ্ঞেস করে নিয়েই আমি এই সার্টিফিকেট ইস্যু করব। এটা আপনারা আশ্বস্ত থাকতে পারেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আজিজ উল্যাহর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে বলা হয়েছে। তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট না দিলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বন্ধের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। এমনকি বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জানিয়ে দেওয়ার তাগিদও দিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আজিজ উল্যাহর এমন বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার আনন্দবাজারের ওই সমাবেশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাসেম মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিলন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
দুই মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের বক্তব্যে এস এম আজিজ উল্যাহ বলেন, ‘খুব ভালো একটা কথা সকলের মুখ থেকে বের হয়ে আসছে। আমাদের এই সরকারের যে সুযোগ-সুবিধাদি যারা নিচ্ছে, ওরা যদি ৭ তারিখের নির্বাচনে যাইয়া ভোট না দেয়, ওদের যে সুবিধাটা আছে, এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা এই পরিষদ থেকে করা হবে।
‘যাঁরা ভোট সেন্টারে যাইয়া ভোট না দিবেন, তাঁদের যেকোনো সার্টিফিকেট, যেকোনো ভেরিফিকেশন, যদি আপনারা বলেন, যেমন ধরেন, এটা আজকের এই মিটিং কিন্তু খুব সুন্দর মিটিং এবং এই মিটিং আমরা আসলে সকলে যদি চেষ্টা করি এই প্রক্রিয়ায় আমরা ফরিদপুর ইউনিয়ন আগাইয়া যাইতে পারব। যেমন, আমাদের মধ্যে যে চেইন অব কমান্ড, সেটা আসলে অতীতে ভাইঙ্গা গেছিল, আজকা পর্যন্ত ভাঙা অবস্থায় ছিল।
‘তবে আমি সর্বোচ্চ আপনাদের উপস্থিতিতে আজকে আমি ঘোষণা করতে চাই, আমাদের মধ্যে এই ভঙ্গুরতা যাতে আর ভবিষ্যতে সৃষ্টি না হয় বা কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতা না হয়, সে সর্বোচ্চ চেষ্টা এই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি সভাপতি হিসেবে আপনাদের আশ্বস্ত করলাম।
‘যেমন কোনো কারণে কোনো বিএনপির লোক, কোনো বিতর্কিত লোক যে কেউ সার্টিফিকেট, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট ইত্যাদি সম্পর্কে আপনারা আপনাদের ওয়ার্ডে সকলকে বলবেন যে, যদি আপনারা ভোট দিতে না যান এবং এটা যদি প্রমাণিত হয়, চেয়ারম্যান কিন্তু আওয়ামী লীগের, সভাপতিও সে, চেয়ারম্যানও সে।
‘কাজেই আপনাকে কিন্তু এই পরিষদে যাইতে হবে। গেলে আপনি সার্টিফিকেট, আপনারা আমি যেকোনো বিতর্কিত লোক বা যাকে আমরা দেখি নাই, এই ধরনের লোক যখন আসবে, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট বা ইয়ার কারণে তখন আমি অবশ্যই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ মানে সিনিয়র নেতৃবর্গসহ সকলকে আমি জিজ্ঞেস করব—এই লোককে কি এই ধরনের সার্টিফিকেট দেওয়া যায় কি না?
‘যদি বলে, সে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় নাই, সেন্টারে যায় নাই, তাহলে তার সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ হয়ে যাবে। সব ওয়ার্ডে অন্তত পক্ষে বলে দিবেন, যদি ওই দিন ভোট দিতে না যায়, পরিষদের কোনো সুযোগ-সুবিধা, দলের কোনো সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা টোটালি বঞ্চিত হবে এবং এটা অবশ্যই আপনাদের মাধ্যমে বঞ্চিত হবে। কারণ, আপনারা যারা ওয়ার্ডের নেতৃবর্গ আছেন, তাঁদের সকলকে জিজ্ঞেস করে নিয়েই আমি এই সার্টিফিকেট ইস্যু করব। এটা আপনারা আশ্বস্ত থাকতে পারেন।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আজিজ উল্যাহর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে বলা হয়েছে। তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
৩ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
৩৮ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
৩৮ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
৩৮ মিনিট আগে