শরীয়তপুর প্রতিনিধি
গোপন নথি দেখতে না দেওয়ায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেকে অপদস্থ করার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও আদালতের (সরকারি কৌঁসুলি) জিপি আলমগীর মুন্সীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার পালং মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেসবাহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিপি অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সীর বিরুদ্ধে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জল আকনের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জিপি অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সী।
তথ্যমতে, গতকাল ১৫ মে বিকেলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজ নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যাচ্ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে।
পথিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ক্যাম্পাসের পূর্ব দিকে জিপি আলমগীর মুন্সী নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দের পথরোধ করেন এবং পূর্ববর্তী দিনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-সংক্রান্ত একটি তালিকা কেন গোপন করা হয়েছিল সে বিষয়ে জানতে চান এবং অশ্রাব্য বাক্য উচ্চারণ করেন।
এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা কোনো কথা না বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রওনা হন। সে মুহূর্তে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন নিচে নেমে আসেন।
তখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দুর্ব্যবহারে প্রসঙ্গ তুলতেই আলমগীর মুন্সী ক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেকে হাত উঁচিয়ে মারতে উদ্যত হন।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এন ডিসি) উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আলমগীর মুন্সীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে বাদী হয়ে আলমগীর মুন্সীকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদী নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের তালিকা ও ভোটকেন্দ্রের তথ্য-সংক্রান্ত গোপনীয় কিছু নথি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাই। সেখানে এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুদ্দিন গিয়াস স্যারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে সময় ওই কক্ষে প্রবেশ করেন জিপি আলমগীর মুন্সী।
‘তিনি তখন ওই গোপনীয় নথিপত্র দেখতে চান। আমি নথিগুলো সরিয়ে রাখি। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে পরের দিন তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং মারার জন্য উদ্যত হন। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আমি মামলা করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সী বলেন, ‘নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে আমার বিরুদ্ধে যে মামলাটি করেছেন, তা মিথ্যা ও অসত্য। সে উদ্দেশ্যমূলক আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, ‘নির্বাচনী কাজের নথি না দেখানোর কারণে কর্মকর্তাকে অপদস্থ করা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। আমরা বিষয়টি কমিশনকে জানিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ‘আমাদের সামনেই নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’
গোপন নথি দেখতে না দেওয়ায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেকে অপদস্থ করার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও আদালতের (সরকারি কৌঁসুলি) জিপি আলমগীর মুন্সীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার পালং মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেসবাহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জিপি অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সীর বিরুদ্ধে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জল আকনের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জিপি অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সী।
তথ্যমতে, গতকাল ১৫ মে বিকেলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজ নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যাচ্ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে।
পথিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ক্যাম্পাসের পূর্ব দিকে জিপি আলমগীর মুন্সী নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দের পথরোধ করেন এবং পূর্ববর্তী দিনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা-সংক্রান্ত একটি তালিকা কেন গোপন করা হয়েছিল সে বিষয়ে জানতে চান এবং অশ্রাব্য বাক্য উচ্চারণ করেন।
এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা কোনো কথা না বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রওনা হন। সে মুহূর্তে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন নিচে নেমে আসেন।
তখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দুর্ব্যবহারে প্রসঙ্গ তুলতেই আলমগীর মুন্সী ক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেকে হাত উঁচিয়ে মারতে উদ্যত হন।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এন ডিসি) উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আলমগীর মুন্সীকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে বাদী হয়ে আলমগীর মুন্সীকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাদী নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের তালিকা ও ভোটকেন্দ্রের তথ্য-সংক্রান্ত গোপনীয় কিছু নথি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাই। সেখানে এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুদ্দিন গিয়াস স্যারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে সময় ওই কক্ষে প্রবেশ করেন জিপি আলমগীর মুন্সী।
‘তিনি তখন ওই গোপনীয় নথিপত্র দেখতে চান। আমি নথিগুলো সরিয়ে রাখি। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে পরের দিন তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন এবং মারার জন্য উদ্যত হন। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আমি মামলা করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সী বলেন, ‘নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে আমার বিরুদ্ধে যে মামলাটি করেছেন, তা মিথ্যা ও অসত্য। সে উদ্দেশ্যমূলক আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, ‘নির্বাচনী কাজের নথি না দেখানোর কারণে কর্মকর্তাকে অপদস্থ করা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। আমরা বিষয়টি কমিশনকে জানিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, ‘আমাদের সামনেই নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’
রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১১ হাজার ৬০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত তুরাগের বাউনিয়া, বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশনের স্টাফ কোয়ার্টার ও উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
৯ মিনিট আগেগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১০ টাকার একটি চিতই পিঠার সঙ্গে বিনা মূল্যে মিলছে ৩০ রকমের ভর্তা। সুস্বাদু ভর্তার টানে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠার দোকানে ভিড় লেগে থাকে। আর ভোজনরসিকেরা পরম তৃপ্তির সঙ্গে পিঠার স্বাদ নেন।
১২ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসচাপায় আহনাফ হোসেন (৭) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে মহাসড়কে জকসিন বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সদর উপজেলার যাদৈয়া এলাকার সফিকুল আলমের ছেলে।
১৩ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে