মাহিদুল ইসলাম মাহি, হরিরামপুর
চপলা রানী দাস হলেন মাঝি। নৌকা বেয়ে জীবন চালান। স্বামী মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। তার আগের তিন বছর অসুস্থ স্বামীকেও দেখতে হয়েছে। এই ১৮ বছর ধরে জীবন আর সংগ্রাম তাঁর জীবনে মিলেমিশে গেছে। চারটি সন্তান নিয়ে এই অকূল দরিয়া পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। সন্তানেরা এখন বড় হয়েছেন, কিন্তু অভাব কাটেনি তাঁদের।
চপলার নামের সঙ্গে ‘রানী’ শব্দটি আছে। কিন্তু রানির জীবন তাঁর নয়। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা নতুন বাজার থেকে গোপীনাথপুর বটতলা (মনু পীরের মাজার) ইছামতী নদীতে মানুষ পারাপার করেন তিনি।
একসময় গোপীনাথপুর মজমপাড়া, উত্তরপাড়া, উজানপাড়া, কদমতলী, কুটির বাজার, মোহাম্মদপুর, কোটকান্দি, কুশিয়ারচরসহ অনেক এলাকার মানুষ এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করত। কিন্তু কয়েক বছর আগে ঝিটকা-গোপীনাথপুর-বাল্লা সড়কটি পাকা হলে এ ঘাটে পারাপারের চাহিদা কমে যায়। সড়কপথে যেতে পারলে নদীপথের কী দরকার?
পঞ্চাশোর্ধ্ব চপলা রানী দাসের স্বামী ছিলেন সুবাস চন্দ্র দাস। তাঁদের বড় মেয়ে সরস্বতী রানী দাসের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে সঞ্জীব চন্দ্র দাস পেশায় কাঠমিস্ত্রির সহকারী। কাজ করেন টাঙ্গাইলে। বউ নিয়ে সেখানে থাকেন। ছোট মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া চার শতাংশ জায়গার ওপর প্রায় ১৫ বছর আগে কারিতাসের দেওয়া একটি ঘরে বসবাস করেন চপলা রানী। ঘরটিও টাকার অভাবে মেরামত করতে না পারায় জরাজীর্ণ।
এলাকার অনেকেই আছেন, যাঁরা কোলের ছেলেকে নিয়ে নৌকা বাইতে দেখেছেন চপলা রানী দাসকে। তাঁদেরই একজন ঝিটকা নতুন বাজারের ব্যবসায়ী রাজিব। তিনি জানালেন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন হওয়ায় এই ঘাটে এখন মানুষ পারাপারের চাপ নেই। ফলে খেয়া নৌকায়ও আগের মতো আয়-রোজগার নেই। তারপরও টুকটাক যা হয়, তা দিয়েই চপলা রানী খুব কষ্ট করে চলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর এই খেয়া নৌকাই ছিল তাঁর জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। নদীর পাড়ে টংঘর তুলে সারা রাত নদীর পাড়েও কাটিয়েছেন মানুষ পারাপারের জন্য।
চপলা রানীর ছোট ছেলে আকাশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘শিশুকালেই বাবাকে হারিয়েছি। আমার মা এই নৌকা চালিয়েই আমাদের বড় করেছেন। আমি ও আমার ছোট বোন গোপীনাথপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। টাকার অভাবে আর পড়াশোনা করতে পারিনি। ছোট বোনটির বিয়ের বয়স হয়েছে। কিন্তু আমাদের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, তাতে খুব চিন্তায় আছি। বর্তমানে নতুন বাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী শফি ভাইয়ের মাধ্যমে কুটির বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করি। বাজার ভাঙার পর আমি বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই খেয়াঘাটে নৌকা চালাই। আর সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমার মা নৌকা চালান। মূলত আমরা মা-ছেলে মিলেই যে যখন পারি এই খেয়া চালাই।’
গোপীনাথপুর গ্রামের মানুষ প্রতিবছর ধান দেয়। ঈদের মাঠ থেকেও কিছু টাকাপয়সা তারা উঠিয়ে দেয়। বিধবা ভাতার একটা কার্ড পেয়েছেন। এ দিয়েই সংসার চলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিগগিরই চপলা রানীকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।
চপলা রানী দাস হলেন মাঝি। নৌকা বেয়ে জীবন চালান। স্বামী মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। তার আগের তিন বছর অসুস্থ স্বামীকেও দেখতে হয়েছে। এই ১৮ বছর ধরে জীবন আর সংগ্রাম তাঁর জীবনে মিলেমিশে গেছে। চারটি সন্তান নিয়ে এই অকূল দরিয়া পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। সন্তানেরা এখন বড় হয়েছেন, কিন্তু অভাব কাটেনি তাঁদের।
চপলার নামের সঙ্গে ‘রানী’ শব্দটি আছে। কিন্তু রানির জীবন তাঁর নয়। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা নতুন বাজার থেকে গোপীনাথপুর বটতলা (মনু পীরের মাজার) ইছামতী নদীতে মানুষ পারাপার করেন তিনি।
একসময় গোপীনাথপুর মজমপাড়া, উত্তরপাড়া, উজানপাড়া, কদমতলী, কুটির বাজার, মোহাম্মদপুর, কোটকান্দি, কুশিয়ারচরসহ অনেক এলাকার মানুষ এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করত। কিন্তু কয়েক বছর আগে ঝিটকা-গোপীনাথপুর-বাল্লা সড়কটি পাকা হলে এ ঘাটে পারাপারের চাহিদা কমে যায়। সড়কপথে যেতে পারলে নদীপথের কী দরকার?
পঞ্চাশোর্ধ্ব চপলা রানী দাসের স্বামী ছিলেন সুবাস চন্দ্র দাস। তাঁদের বড় মেয়ে সরস্বতী রানী দাসের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে সঞ্জীব চন্দ্র দাস পেশায় কাঠমিস্ত্রির সহকারী। কাজ করেন টাঙ্গাইলে। বউ নিয়ে সেখানে থাকেন। ছোট মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া চার শতাংশ জায়গার ওপর প্রায় ১৫ বছর আগে কারিতাসের দেওয়া একটি ঘরে বসবাস করেন চপলা রানী। ঘরটিও টাকার অভাবে মেরামত করতে না পারায় জরাজীর্ণ।
এলাকার অনেকেই আছেন, যাঁরা কোলের ছেলেকে নিয়ে নৌকা বাইতে দেখেছেন চপলা রানী দাসকে। তাঁদেরই একজন ঝিটকা নতুন বাজারের ব্যবসায়ী রাজিব। তিনি জানালেন, রাস্তাঘাট উন্নয়ন হওয়ায় এই ঘাটে এখন মানুষ পারাপারের চাপ নেই। ফলে খেয়া নৌকায়ও আগের মতো আয়-রোজগার নেই। তারপরও টুকটাক যা হয়, তা দিয়েই চপলা রানী খুব কষ্ট করে চলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর এই খেয়া নৌকাই ছিল তাঁর জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। নদীর পাড়ে টংঘর তুলে সারা রাত নদীর পাড়েও কাটিয়েছেন মানুষ পারাপারের জন্য।
চপলা রানীর ছোট ছেলে আকাশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘শিশুকালেই বাবাকে হারিয়েছি। আমার মা এই নৌকা চালিয়েই আমাদের বড় করেছেন। আমি ও আমার ছোট বোন গোপীনাথপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছি। টাকার অভাবে আর পড়াশোনা করতে পারিনি। ছোট বোনটির বিয়ের বয়স হয়েছে। কিন্তু আমাদের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, তাতে খুব চিন্তায় আছি। বর্তমানে নতুন বাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী শফি ভাইয়ের মাধ্যমে কুটির বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করি। বাজার ভাঙার পর আমি বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই খেয়াঘাটে নৌকা চালাই। আর সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আমার মা নৌকা চালান। মূলত আমরা মা-ছেলে মিলেই যে যখন পারি এই খেয়া চালাই।’
গোপীনাথপুর গ্রামের মানুষ প্রতিবছর ধান দেয়। ঈদের মাঠ থেকেও কিছু টাকাপয়সা তারা উঠিয়ে দেয়। বিধবা ভাতার একটা কার্ড পেয়েছেন। এ দিয়েই সংসার চলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিগগিরই চপলা রানীকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।
রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ১১ হাজার ৬০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত তুরাগের বাউনিয়া, বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশনের স্টাফ কোয়ার্টার ও উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
৩ মিনিট আগেগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১০ টাকার একটি চিতই পিঠার সঙ্গে বিনা মূল্যে মিলছে ৩০ রকমের ভর্তা। সুস্বাদু ভর্তার টানে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠার দোকানে ভিড় লেগে থাকে। আর ভোজন রসিকেরা পরম তৃপ্তির সঙ্গে পিঠার স্বাদ নেন।
৬ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসচাপায় আহনাফ হোসেন (৭) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে মহাসড়কে জকসিন বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সদর উপজেলার যাদৈয়া এলাকার সফিকুল আলমের ছেলে।
৭ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে