তুহিন কান্তি দাস, ঢাকা
সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রতি লাইনে তিনজন করে দুই লাইনে দাঁড়িয়ে ছয় শিক্ষার্থী। সবার কোমরে বাঁধা সাদা, কালো ও লাল রঙের বেল্ট। কোমরে কালো বেল্ট জড়ানো একজন সবার মাঝখানে সামনে দাঁড়িয়ে দিচ্ছেন নির্দেশনা।
সামনে এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষামূলক বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ‘ব্যুত্থান’ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুত্থান ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এই আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচির প্রশিক্ষণ নির্দেশক শাকিল বোরহান প্রিন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মাত্র দুজন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে প্রিন্সের হাত ধরেই ২০১৮ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে এই ক্লাব ৷ করোনা মহামারি সৃষ্ট লকডাউন-পরবর্তী সময়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বর্তমানে টিএসসি প্রাঙ্গণে নিয়মিত ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ক্লাবের উদ্যোগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল বোরহান প্রিন্স। ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের সূচনাদ্বার রাজশাহী শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ২০১০ সাল থেকে ব্যুত্থান চর্চা শুরু করে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ অর্জন করেন প্রিন্স। তারপর থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও তাঁর উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হয়।
প্রিন্সের উদ্যোগে ২০২০ সালের ৩-৫ ফেব্রুয়ারি নারীদের জন্য ‘আত্মরক্ষা ও আত্মসচেতনতা কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়, যেখানে ৮৫ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। চলতি বছর ১৩-১৫ জানুয়ারি একটি মাদ্রাসায় ১৫ জন ছাত্রীকে ব্লুমিং লোটাস প্রোজেক্টের মাধ্যমে ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রিন্সের সহায়তায়।
গল্পে গল্পে প্রিন্স জানান, প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশ মার্শাল আর্টের পীঠস্থান। ভারতীয় উপমহাদেশর বর্তমান কাঞ্চিপুরামের এক ব্যক্তি ছিলেন, যার নাম বোধিধর্মা। তিনি পদ্ধতিগত মার্শাল আর্টের স্রষ্টা। বোধিধর্মা চীন দেশে যান। সেখান থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মার্শাল আর্ট ছড়িয়ে যায় তাঁর মাধ্যমে ৷ তার পর সারা পৃথিবীতে মার্শাল আর্ট প্রসার লাভ করে।
প্রিন্স বলেন, ‘কালক্রমে আমাদের মার্শাল আর্টের যে ঐতিহ্য, ছিল সেটা হারিয়ে যায় ৷ সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সন্তান গ্র্যান্ডমাস্টার ইউরি বজ্রমুনি মার্শাল আর্ট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার পর তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি অর্ধশতাধিক দেশে ভ্রমণ করে প্রায় চল্লিশের অধিক মার্শাল আর্ট বিদ্যা রপ্ত করেন ৷ সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি আধুনিক মার্শাল আর্ট প্রচলন করেন, যার নাম “ব্যুত্থান”। ব্যুত্থান অনেক পুরোনো কোন মার্শাল আর্ট নয়, নতুন একটা মার্শাল আর্ট, যেটা বাংলাদেশেরই সম্পদ এবং বাংলাদেশ থেকেই উৎপন্ন। ১৯৮১ সালে রাজশাহীতে বজ্রমুনির হাত ধরে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয় “ব্যুত্থান” মার্শাল আর্ট চর্চা। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যুত্থান বাংলাদেশের একটি ক্রীড়া বা কমব্যাট স্পোর্টস হিসেবে অনুমোদন লাভ করে।’
যারা নিজে থেকে ব্যুত্থান চর্চা করেন, তাঁরা ‘ব্যুত্থানচারী’ আখ্যা পান। আর যারা ব্যুত্থান জ্ঞান চর্চা, দর্শন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তা নিজে গ্রহণ ও পরবর্তীতে এই বিদ্যা প্রচার-প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন, তাঁদের বলা হয় ‘ব্যুত্থানপণচারী’। প্রিন্স একজন ব্যুত্থানপণচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কমব্যাট ও স্পোর্টস দুই শ্রেণির ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় সাদা ও কালো—দুই ধরনের পোশাক রীতি (ড্রেসকোড) অনুসরণ করা হয়। স্পোর্টস বা প্রদর্শনধর্মী ব্যুত্থানের জন্য সাদা পোশাক বা ধাবক এবং অন্যান্য ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় কালো পোশাক পরিধান করা হয়। আন্তর্জাতিক নিয়মে দশ রঙের বেল্ট থাকে। সাদা থেকে শুরু হয়ে একদম শেষে দশম বেল্ট হচ্ছে কালো। যিনি দশম বেল্ট অর্জন করেন, তাঁকে মাস্টার বলা হয়। অর্থাৎ, একজন ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় একটা পর্যায়ে পৌঁছেছেন। চার রকমের ব্যায়াম করা হয় এই চর্চায় ৷ আত্মরক্ষা কৌশল, দেহবর্ম, যুদ্ধ কৌশল ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে এখানে।
প্রিন্স বিশ্বাস করেন, ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট বাংলাদেশে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে যুব সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনে ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এই ব্যুত্থানপণচারী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একজন ছাত্রের থেকে জানতে পারি যে, সে ব্যুত্থান চর্চার আগে অ্যান্টিডিপ্রেশন পিল নিত। কিন্তু ব্যুত্থান চর্চার পর আর সেটার প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন নারীর থেকে জানতে পারি, তিনি ভাবতেই পারতেন না যে, এভাবে আত্মরক্ষা কৌশল কাজে লাগিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। এসব অভিজ্ঞতা থেকে দাবি করাই যায় ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট মানুষের জীবনে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’
মাঠভর্তি টিএসসিতে এক কাতারে সারবদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যুত্থান চর্চা করছেন—একদিন এমন চিত্র দেখার অপেক্ষায় আছেন প্রিন্স। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ব্যুত্থানকে পৌঁছে দিতে কাজ করার পাশাপাশি প্রিন্সের স্বপ্ন, মার্শাল আর্ট ব্র্যান্ড হিসেবে মানুষজন একদিন যেন বাংলাদেশি ব্যুত্থানকে বোঝে।
সকালের স্নিগ্ধ হাওয়ায় সবুজের গন্ধ। নীরব নিস্তব্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সূর্যের আলো। ঘড়ির কাঁটায় তখন সাড়ে ৬টা বাজে। ফাঁকা টিএসসি চত্বরে সবুজ ঘাসের ওপর কালো টি-শার্ট আর ট্রাউজার গায়ে সাত শিক্ষার্থীর কারিকুরিতে চোখ আটকে যায় ৷ নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রতি লাইনে তিনজন করে দুই লাইনে দাঁড়িয়ে ছয় শিক্ষার্থী। সবার কোমরে বাঁধা সাদা, কালো ও লাল রঙের বেল্ট। কোমরে কালো বেল্ট জড়ানো একজন সবার মাঝখানে সামনে দাঁড়িয়ে দিচ্ছেন নির্দেশনা।
সামনে এগিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, এই শিক্ষার্থীরা আত্মরক্ষামূলক বাংলাদেশি মার্শাল আর্ট ‘ব্যুত্থান’ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুত্থান ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এই আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচির প্রশিক্ষণ নির্দেশক শাকিল বোরহান প্রিন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে মাত্র দুজন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে প্রিন্সের হাত ধরেই ২০১৮ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করে এই ক্লাব ৷ করোনা মহামারি সৃষ্ট লকডাউন-পরবর্তী সময়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বর্তমানে টিএসসি প্রাঙ্গণে নিয়মিত ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ক্লাবের উদ্যোগে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল বোরহান প্রিন্স। ব্যুত্থান মার্শাল আর্টের সূচনাদ্বার রাজশাহী শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ২০১০ সাল থেকে ব্যুত্থান চর্চা শুরু করে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ অর্জন করেন প্রিন্স। তারপর থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরেও তাঁর উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালিত হয়।
প্রিন্সের উদ্যোগে ২০২০ সালের ৩-৫ ফেব্রুয়ারি নারীদের জন্য ‘আত্মরক্ষা ও আত্মসচেতনতা কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়, যেখানে ৮৫ জন নারী অংশগ্রহণ করেন। চলতি বছর ১৩-১৫ জানুয়ারি একটি মাদ্রাসায় ১৫ জন ছাত্রীকে ব্লুমিং লোটাস প্রোজেক্টের মাধ্যমে ব্যুত্থান প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় প্রিন্সের সহায়তায়।
গল্পে গল্পে প্রিন্স জানান, প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশ মার্শাল আর্টের পীঠস্থান। ভারতীয় উপমহাদেশর বর্তমান কাঞ্চিপুরামের এক ব্যক্তি ছিলেন, যার নাম বোধিধর্মা। তিনি পদ্ধতিগত মার্শাল আর্টের স্রষ্টা। বোধিধর্মা চীন দেশে যান। সেখান থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মার্শাল আর্ট ছড়িয়ে যায় তাঁর মাধ্যমে ৷ তার পর সারা পৃথিবীতে মার্শাল আর্ট প্রসার লাভ করে।
প্রিন্স বলেন, ‘কালক্রমে আমাদের মার্শাল আর্টের যে ঐতিহ্য, ছিল সেটা হারিয়ে যায় ৷ সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সন্তান গ্র্যান্ডমাস্টার ইউরি বজ্রমুনি মার্শাল আর্ট নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার পর তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি অর্ধশতাধিক দেশে ভ্রমণ করে প্রায় চল্লিশের অধিক মার্শাল আর্ট বিদ্যা রপ্ত করেন ৷ সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি আধুনিক মার্শাল আর্ট প্রচলন করেন, যার নাম “ব্যুত্থান”। ব্যুত্থান অনেক পুরোনো কোন মার্শাল আর্ট নয়, নতুন একটা মার্শাল আর্ট, যেটা বাংলাদেশেরই সম্পদ এবং বাংলাদেশ থেকেই উৎপন্ন। ১৯৮১ সালে রাজশাহীতে বজ্রমুনির হাত ধরে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয় “ব্যুত্থান” মার্শাল আর্ট চর্চা। ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক ব্যুত্থান বাংলাদেশের একটি ক্রীড়া বা কমব্যাট স্পোর্টস হিসেবে অনুমোদন লাভ করে।’
যারা নিজে থেকে ব্যুত্থান চর্চা করেন, তাঁরা ‘ব্যুত্থানচারী’ আখ্যা পান। আর যারা ব্যুত্থান জ্ঞান চর্চা, দর্শন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তা নিজে গ্রহণ ও পরবর্তীতে এই বিদ্যা প্রচার-প্রসারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন, তাঁদের বলা হয় ‘ব্যুত্থানপণচারী’। প্রিন্স একজন ব্যুত্থানপণচারী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কমব্যাট ও স্পোর্টস দুই শ্রেণির ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় সাদা ও কালো—দুই ধরনের পোশাক রীতি (ড্রেসকোড) অনুসরণ করা হয়। স্পোর্টস বা প্রদর্শনধর্মী ব্যুত্থানের জন্য সাদা পোশাক বা ধাবক এবং অন্যান্য ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় কালো পোশাক পরিধান করা হয়। আন্তর্জাতিক নিয়মে দশ রঙের বেল্ট থাকে। সাদা থেকে শুরু হয়ে একদম শেষে দশম বেল্ট হচ্ছে কালো। যিনি দশম বেল্ট অর্জন করেন, তাঁকে মাস্টার বলা হয়। অর্থাৎ, একজন ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চায় একটা পর্যায়ে পৌঁছেছেন। চার রকমের ব্যায়াম করা হয় এই চর্চায় ৷ আত্মরক্ষা কৌশল, দেহবর্ম, যুদ্ধ কৌশল ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ চলতে থাকে এখানে।
প্রিন্স বিশ্বাস করেন, ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট বাংলাদেশে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে যুব সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এবং আত্মবিশ্বাস অর্জনে ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট চর্চা সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এই ব্যুত্থানপণচারী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একজন ছাত্রের থেকে জানতে পারি যে, সে ব্যুত্থান চর্চার আগে অ্যান্টিডিপ্রেশন পিল নিত। কিন্তু ব্যুত্থান চর্চার পর আর সেটার প্রয়োজন হচ্ছে না। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন নারীর থেকে জানতে পারি, তিনি ভাবতেই পারতেন না যে, এভাবে আত্মরক্ষা কৌশল কাজে লাগিয়ে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়। এসব অভিজ্ঞতা থেকে দাবি করাই যায় ব্যুত্থান মার্শাল আর্ট মানুষের জীবনে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’
মাঠভর্তি টিএসসিতে এক কাতারে সারবদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যুত্থান চর্চা করছেন—একদিন এমন চিত্র দেখার অপেক্ষায় আছেন প্রিন্স। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে ব্যুত্থানকে পৌঁছে দিতে কাজ করার পাশাপাশি প্রিন্সের স্বপ্ন, মার্শাল আর্ট ব্র্যান্ড হিসেবে মানুষজন একদিন যেন বাংলাদেশি ব্যুত্থানকে বোঝে।
খুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
২৩ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহরে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর গোলজার হোসেন (৫৩) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের খলিশাগাড়ী বিলের কাজীর নালা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগেঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। আজ শুক্রবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে রানওয়ে।
৩০ মিনিট আগে