নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সরে যাওয়ার জন্য কড়া ভাষায় শাসিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নে আয়োজিত এক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় বক্তব্য প্রদানকালে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ রশিদের প্রতি নিজের সমর্থন প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য। একই উপজেলায় নির্বাচনী মাঠে প্রচার প্রচারণায় নামা দুই প্রার্থীকে সরে আসতে বলেন তিনি।
প্রার্থী দুজন হলেন— বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। উভয়ের মধ্যে মুকুল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা এবং মাকসুদ জাতীয় পার্টির নেতা।
সেলিম ওসমান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন শেষে সব চেয়ারম্যানকে নিয়ে আমি বসেছিলাম আমার অফিসে। সবাই উপজেলা নির্বাচন করতে চায়। আমি বলেছি পুরোনো দুজনকে সমর্থন দেব। সেটা রশিদ ভাই আর সানু (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান)। এখন দুজন আমার অমতে নির্বাচন করার চিন্তা ভাবনা করছেন। একজন নিজেই বলেন ‘রাজাকার সন্তান’। আমি বলেছি, মানুষের জন্য কাজ করো, বাব দাদার পাপ ভুলে যাও। পাপে বাপেরেও ছাড়ে না। মাকসুদ সাহেব, আপনি আল্লাহর কাছে মাফ চান। নিজ দায়িত্বে ফিরে আসুন। আমি আপনাকে কিছু বলব না। তবে মনে রাখবেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা। যদি ভালোয় ভালোয় কথা শোনেন তো শুনবেন, না হলে মুগুর কীভাবে বানাতে হয় সেটা আমরা জানি। মুগুরের মাধ্যমেই আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে। আপনি আগামীকাল নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। আপনার সঙ্গে চারজন চেয়ারম্যান যেভাবে আমার কথা শুনেছে, আপনিও সেই পথে আসেন।’
তিনি মাকসুদ হোসেনের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘আপনার এত টাকা কোথা থেকে হলো মাকসুদ সাহেব? আপনি বাড়ি বাড়ি টাকা বিলানো শুরু করেছেন। আমার হিসেবে প্রায় তিন কোটি টাকা ইতিমধ্যে খরচ করেছেন। কেন এই রমজান মাসে মহিলাদের বলছেন, ‘‘আমাকে ভোট দিলে ৩০০ টাকা দেবেন।’’ কেন একটা মানুষকে খারাপ বানাচ্ছেন? কেন আপনি বসলেন না? কেন আলোচনা করলেন না? কেন অনুমতি নিলেন না? আপনি মনে করলেন আমাকে একটা চাদর, দুই প্যাকেট মিষ্টি আর আমার বউকে শাড়ি দিয়ে আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন।’
সেলিম ওসমান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুকুলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আরেকজন আমার অত্যন্ত প্রিয়। তিনি রশিদ ভাইয়ের আগে এখানে চেয়ারম্যান ছিলেন। উনাকে তার দল বহিষ্কার করেছে। উনি আমার কাছে গিয়ে শুনতে চেয়েছিলেন আমার মতামত। আমি তাকে বলেছি, আপনাকে মানুষ ভালোবাসে সন্দেহ নাই। আপনি মুরুব্বি হিসেবে থাকেন। আপনাকে বিভিন্ন স্কুলের সভাপতি বানিয়ে দিয়েছি। আপনি মানসম্মান নিয়ে বাকি জীবনটা কাটান। আর আপনি রাজনীতির পথে হাঁটিয়েন না। আমি সরাসরি বলছি, মুকুল আমার ছোট ভাই। আপনি এই পথ থেকে সরে দাঁড়ান।’
দুই প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সরে দাঁড়াতে বলার বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও সেলিম ওসমানের এই বক্তব্যের বিপরীতে মাকসুদ হোসেন ও আতাউর রহমান মুকুল আজকের পত্রিকার কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজন আইনপ্রণেতা কিছুতেই দেশের কোনো নাগরিককে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলার নির্দেশনা বা চাপ দিতে পারেন না। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যোগ্যতাসম্পন্ন সকলের নির্বাচন করার সুযোগ আছে। একজন আইনপ্রণেতার এমন বক্তব্যে স্পষ্ট যে তিনি চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তার পছন্দের প্রার্থীকে জয়লাভ করাতে চাচ্ছেন। দেশের নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী নয় তা এই ঘটনায় আরও বেশি সুস্পষ্ট হলো।’
উল্লেখ্য, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এদের মধ্যে রয়েছে, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সরে যাওয়ার জন্য কড়া ভাষায় শাসিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। আজ শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নে আয়োজিত এক সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় বক্তব্য প্রদানকালে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমএ রশিদের প্রতি নিজের সমর্থন প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য। একই উপজেলায় নির্বাচনী মাঠে প্রচার প্রচারণায় নামা দুই প্রার্থীকে সরে আসতে বলেন তিনি।
প্রার্থী দুজন হলেন— বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। উভয়ের মধ্যে মুকুল নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা এবং মাকসুদ জাতীয় পার্টির নেতা।
সেলিম ওসমান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন শেষে সব চেয়ারম্যানকে নিয়ে আমি বসেছিলাম আমার অফিসে। সবাই উপজেলা নির্বাচন করতে চায়। আমি বলেছি পুরোনো দুজনকে সমর্থন দেব। সেটা রশিদ ভাই আর সানু (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান)। এখন দুজন আমার অমতে নির্বাচন করার চিন্তা ভাবনা করছেন। একজন নিজেই বলেন ‘রাজাকার সন্তান’। আমি বলেছি, মানুষের জন্য কাজ করো, বাব দাদার পাপ ভুলে যাও। পাপে বাপেরেও ছাড়ে না। মাকসুদ সাহেব, আপনি আল্লাহর কাছে মাফ চান। নিজ দায়িত্বে ফিরে আসুন। আমি আপনাকে কিছু বলব না। তবে মনে রাখবেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা। যদি ভালোয় ভালোয় কথা শোনেন তো শুনবেন, না হলে মুগুর কীভাবে বানাতে হয় সেটা আমরা জানি। মুগুরের মাধ্যমেই আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে। আপনি আগামীকাল নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। আপনার সঙ্গে চারজন চেয়ারম্যান যেভাবে আমার কথা শুনেছে, আপনিও সেই পথে আসেন।’
তিনি মাকসুদ হোসেনের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘আপনার এত টাকা কোথা থেকে হলো মাকসুদ সাহেব? আপনি বাড়ি বাড়ি টাকা বিলানো শুরু করেছেন। আমার হিসেবে প্রায় তিন কোটি টাকা ইতিমধ্যে খরচ করেছেন। কেন এই রমজান মাসে মহিলাদের বলছেন, ‘‘আমাকে ভোট দিলে ৩০০ টাকা দেবেন।’’ কেন একটা মানুষকে খারাপ বানাচ্ছেন? কেন আপনি বসলেন না? কেন আলোচনা করলেন না? কেন অনুমতি নিলেন না? আপনি মনে করলেন আমাকে একটা চাদর, দুই প্যাকেট মিষ্টি আর আমার বউকে শাড়ি দিয়ে আপনি উপজেলা চেয়ারম্যান হবেন।’
সেলিম ওসমান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুকুলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আরেকজন আমার অত্যন্ত প্রিয়। তিনি রশিদ ভাইয়ের আগে এখানে চেয়ারম্যান ছিলেন। উনাকে তার দল বহিষ্কার করেছে। উনি আমার কাছে গিয়ে শুনতে চেয়েছিলেন আমার মতামত। আমি তাকে বলেছি, আপনাকে মানুষ ভালোবাসে সন্দেহ নাই। আপনি মুরুব্বি হিসেবে থাকেন। আপনাকে বিভিন্ন স্কুলের সভাপতি বানিয়ে দিয়েছি। আপনি মানসম্মান নিয়ে বাকি জীবনটা কাটান। আর আপনি রাজনীতির পথে হাঁটিয়েন না। আমি সরাসরি বলছি, মুকুল আমার ছোট ভাই। আপনি এই পথ থেকে সরে দাঁড়ান।’
দুই প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সরে দাঁড়াতে বলার বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও সেলিম ওসমানের এই বক্তব্যের বিপরীতে মাকসুদ হোসেন ও আতাউর রহমান মুকুল আজকের পত্রিকার কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজন আইনপ্রণেতা কিছুতেই দেশের কোনো নাগরিককে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলার নির্দেশনা বা চাপ দিতে পারেন না। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যোগ্যতাসম্পন্ন সকলের নির্বাচন করার সুযোগ আছে। একজন আইনপ্রণেতার এমন বক্তব্যে স্পষ্ট যে তিনি চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তার পছন্দের প্রার্থীকে জয়লাভ করাতে চাচ্ছেন। দেশের নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী নয় তা এই ঘটনায় আরও বেশি সুস্পষ্ট হলো।’
উল্লেখ্য, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এদের মধ্যে রয়েছে, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
৬ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১২ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৩ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে