নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই দলে অন্তত ২০-২৫ জন ছিল। তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ের হাজি ভিলায় ঘটনাটি ঘটে।
র্যাব জানিয়েছে, র্যাবের পোশাকে যাদের সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, তারা র্যাবের কেউ নয়। এরা একটি ডাকাত চক্র। যারা র্যাবের আদলে ইউনিফর্ম পরে ডাকাতি করেছে। তাদের গ্রেপ্তারে র্যাব, পুলিশসহ যৌথ বাহিনী কাজ করছে।
পাঁচতলা এই বাড়ির মালিক পাঁচ ব্যক্তি। তাঁরা আপন পাঁচ ভাই, একই বাড়িতেই থাকেন। তাঁদের মধ্যে এক ভাইয়ের নাম আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি বাড়িটির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন। ডাকাতেরা তাঁর ফ্ল্যাটেই ডাকাতি করে।
আবু বক্কর সিদ্দিক ব্যবসায়ী। তাঁর ইট, কয়লা ও জমির ব্যবসা রয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার ভোররাত সাড় ৩টার দিকে সেনা ও র্যাবের পোশাক পরে ২০-২৫ জন একটি গাড়িতে করে বাড়ির সামনে আসেন। গেটের সামনে এসে গেট ধাক্কাধাক্কি করেন। বাসার কেয়ারটেকার ভয়ে গেট খুলে দেন। এরপর কেয়ারটেকারকে নিয়ে তাঁরা আমার ফ্ল্যাটে আসেন। দরজা খুলে দেখি তাঁদের সবার গায়ে র্যাব ও সেনাসদস্যের পোশাক। তাঁরা আমার বাসায় অস্ত্র আছে বলে তল্লাশি করতে চান। আমি বলি, আমার লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা দিয়ে দিয়েছি। কোনো অস্ত্র নেই। এরপর তাঁরা ফ্ল্যাটের সব কক্ষের আলমারি ও ড্রয়ার ভেঙে খুলে ফেলে, যা পায় তা–ই তাঁরা বস্তায় ভরে। এভাবে তাঁরা সব আলমারি খুলে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘চক্রের একজনের কাছে একটি অস্ত্র ছিল। বাকিদের হাতে কিছু ছিল না। তবে তাদের চুল ছোট ছোট ছিল। তাদের দেখে মনে হয়নি, তারা র্যাব বা সেনাবাহিনীর সদস্য নয়। তবে তারা যখন আলমারি ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিতে থাকে তখন একটু সন্দেহ হয়। তবে ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।’
ঘটনার সময় বাসায় আবু বক্কর, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে ছিলেন। ডাকাত চক্র ২৫ মিনিটের মতো ছিল। এরপর তারা চলে যায়।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনিম ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা কাজ শুরু করেছি। বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছি। গাড়ি নম্বরও পেয়েছি। এরা একটি ডাকাত চক্র। এই চক্রটি র্যাব ও সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ডাকাতি করেছে। এরা র্যাবের কেউ নন।’
বাড়ির প্রধান ফটকে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির মূল গেট দিয়ে প্রথমে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ১১ জন লোক প্রবেশ করে। তাদের সঙ্গে র্যাবের কোটি পরিহিত চারজন এবং সিভিল পোশাকে পাঁচজন লোক বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে প্রবেশ করার সময় সবাই মুখোশ পরা অবস্থায় ছিল। তারা বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে।
বাড়ির সিসিটিভি ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চারটি হাইস ব্র্যান্ডের গাড়ি এসে বাড়ির পাশে থামে। সেখান থেকে তিন-চারজন লোক গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির পাশে একটি বিরিয়ানির দোকানে অপেক্ষা করছিল। বাড়ি থেকে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরা লোকজন নামলে অপেক্ষমাণ থাকা লোকজন তারাও গাড়িতে ওঠে চলে যায়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লে. কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি র্যাব ও সেনাবাহিনীর নজরে এসেছে। যার যার জায়গা থেকে তদন্ত করছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডাকাতি শেষে ডাকাতেরা নির্ভয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানান আবু বক্কর সিদ্দিক। ভোররাতেই পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা ওই বাড়িতে যান। অভিযান শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার বলেন, ডাকাতেরা এমনভাবে এসেছে, তাদের দেখলে মনে হবে না তারা ভুয়া। চক্রের কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গভীর রাতে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই দলে অন্তত ২০-২৫ জন ছিল। তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ের হাজি ভিলায় ঘটনাটি ঘটে।
র্যাব জানিয়েছে, র্যাবের পোশাকে যাদের সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, তারা র্যাবের কেউ নয়। এরা একটি ডাকাত চক্র। যারা র্যাবের আদলে ইউনিফর্ম পরে ডাকাতি করেছে। তাদের গ্রেপ্তারে র্যাব, পুলিশসহ যৌথ বাহিনী কাজ করছে।
পাঁচতলা এই বাড়ির মালিক পাঁচ ব্যক্তি। তাঁরা আপন পাঁচ ভাই, একই বাড়িতেই থাকেন। তাঁদের মধ্যে এক ভাইয়ের নাম আবু বক্কর সিদ্দিক। তিনি বাড়িটির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন। ডাকাতেরা তাঁর ফ্ল্যাটেই ডাকাতি করে।
আবু বক্কর সিদ্দিক ব্যবসায়ী। তাঁর ইট, কয়লা ও জমির ব্যবসা রয়েছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার ভোররাত সাড় ৩টার দিকে সেনা ও র্যাবের পোশাক পরে ২০-২৫ জন একটি গাড়িতে করে বাড়ির সামনে আসেন। গেটের সামনে এসে গেট ধাক্কাধাক্কি করেন। বাসার কেয়ারটেকার ভয়ে গেট খুলে দেন। এরপর কেয়ারটেকারকে নিয়ে তাঁরা আমার ফ্ল্যাটে আসেন। দরজা খুলে দেখি তাঁদের সবার গায়ে র্যাব ও সেনাসদস্যের পোশাক। তাঁরা আমার বাসায় অস্ত্র আছে বলে তল্লাশি করতে চান। আমি বলি, আমার লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা দিয়ে দিয়েছি। কোনো অস্ত্র নেই। এরপর তাঁরা ফ্ল্যাটের সব কক্ষের আলমারি ও ড্রয়ার ভেঙে খুলে ফেলে, যা পায় তা–ই তাঁরা বস্তায় ভরে। এভাবে তাঁরা সব আলমারি খুলে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘চক্রের একজনের কাছে একটি অস্ত্র ছিল। বাকিদের হাতে কিছু ছিল না। তবে তাদের চুল ছোট ছোট ছিল। তাদের দেখে মনে হয়নি, তারা র্যাব বা সেনাবাহিনীর সদস্য নয়। তবে তারা যখন আলমারি ভেঙে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিতে থাকে তখন একটু সন্দেহ হয়। তবে ভয়ে কিছু বলতে পারিনি।’
ঘটনার সময় বাসায় আবু বক্কর, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে ছিলেন। ডাকাত চক্র ২৫ মিনিটের মতো ছিল। এরপর তারা চলে যায়।
এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনিম ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা কাজ শুরু করেছি। বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছি। গাড়ি নম্বরও পেয়েছি। এরা একটি ডাকাত চক্র। এই চক্রটি র্যাব ও সেনাবাহিনীর পোশাক পরে ডাকাতি করেছে। এরা র্যাবের কেউ নন।’
বাড়ির প্রধান ফটকে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির মূল গেট দিয়ে প্রথমে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত ১১ জন লোক প্রবেশ করে। তাদের সঙ্গে র্যাবের কোটি পরিহিত চারজন এবং সিভিল পোশাকে পাঁচজন লোক বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে প্রবেশ করার সময় সবাই মুখোশ পরা অবস্থায় ছিল। তারা বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে।
বাড়ির সিসিটিভি ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চারটি হাইস ব্র্যান্ডের গাড়ি এসে বাড়ির পাশে থামে। সেখান থেকে তিন-চারজন লোক গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির পাশে একটি বিরিয়ানির দোকানে অপেক্ষা করছিল। বাড়ি থেকে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরা লোকজন নামলে অপেক্ষমাণ থাকা লোকজন তারাও গাড়িতে ওঠে চলে যায়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লে. কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি র্যাব ও সেনাবাহিনীর নজরে এসেছে। যার যার জায়গা থেকে তদন্ত করছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডাকাতি শেষে ডাকাতেরা নির্ভয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানান আবু বক্কর সিদ্দিক। ভোররাতেই পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা ওই বাড়িতে যান। অভিযান শুরু করে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার বলেন, ডাকাতেরা এমনভাবে এসেছে, তাদের দেখলে মনে হবে না তারা ভুয়া। চক্রের কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
বাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেযশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে