গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় দখল করে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের ওয়্যারহাউস নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে নোটিশ অব ডিমান্ড ফর জাস্টিস বা লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নোটিশটি ডাকযোগে পাঠানো হয়।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলার আইনজীবী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এস হাসানুল বান্না। তিনি বলেন, ‘নোটিশ পাঠানোর ৭ দিনের মধ্যে নদীর তীরে সকল নির্মাণকাজ বন্ধ করা ও গৃহীত পদক্ষেপ আমাদের জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় নোটিশ প্রাপকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের চারটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৭ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
লিগ্যাল নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা। এ তালিকায় আরও রয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, প্রধান বন সংরক্ষক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, ঘোড়াশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক, গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, গাজীপুরের কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থাপনা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে অত্র নোটিশের মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয়ে কার্যকরী প্রতিকার চেয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, চলতি বছরের গত ৩১ আগস্ট ঘোড়াশাল নদীবন্দরের উপপরিচালক ভরাট বা কোনো রূপ বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন না করার শর্তে ই-ক্রেন জেটি স্থাপনের জন্য আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় ২২৮ শতাংশ নদীতীর ব্যবহারের অনুমতি দেন। অনুমোদিত এ স্থানকে ঘোড়াশাল নদীবন্দরের উপপরিচালক শীতলক্ষ্যা নদীর তীর হিসেবে উল্লেখ করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নদী বিশেষজ্ঞদের মতে এটি মূলত নদীর নিম্নাঞ্চলের অংশবিশেষ।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নদীটির গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ভরাট করছে মর্মে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, এরই মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড ড্রেজার দিয়ে নদী ও নদীসংলগ্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে নদীটির ১৫০ ফুট তীরের প্রায় ৭৫ ফুট অংশ ভরাট করেছে। শুধু নদীতীর ভরাট নয়, নদীসংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষিজমি ভরাটেরও পাঁয়তারা চলছে মর্মে সংবাদে উল্লেখ রয়েছে। ভরাট করা স্থানে বনজ দ্রব্য মজুতের উদ্দেশ্যে ডিপো স্থাপনের জন্য বন বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স-সম্পর্কিত সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। যদিও বন বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্সে কোনো জায়গার উল্লেখ নেই।
নোটিশে বলা হয়েছে, দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী নদীর তীর ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নদীর তীরের ভরাট করা স্থান পুনরুদ্ধার করে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা আপনার দায়িত্ব, যা পালনে আপনি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
নোটিশে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে নদীর তীর ভরাটের সকল কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ভরাট করা নদীতীর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নদীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি নিরূপণ করে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে সমুদয় অর্থ আদায়ের অনুরোধ জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘোড়াশাল নদীবন্দরের উপপরিচালক কর্তৃক জেটি নির্মাণের অনুমোদন ও ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বনজ দ্রব্য মজুতের জন্য ডিপো স্থাপনের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।
নোটিশে এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ নোটিশ প্রেরণের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বেলার আইনজীবীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় দখল করে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের ওয়্যারহাউস নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে নোটিশ অব ডিমান্ড ফর জাস্টিস বা লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নোটিশটি ডাকযোগে পাঠানো হয়।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলার আইনজীবী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এস হাসানুল বান্না। তিনি বলেন, ‘নোটিশ পাঠানোর ৭ দিনের মধ্যে নদীর তীরে সকল নির্মাণকাজ বন্ধ করা ও গৃহীত পদক্ষেপ আমাদের জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় নোটিশ প্রাপকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের চারটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৭ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
লিগ্যাল নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা। এ তালিকায় আরও রয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, প্রধান বন সংরক্ষক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, ঘোড়াশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক, গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, গাজীপুরের কাপাসিয়া ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থাপনা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে অত্র নোটিশের মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিষয়ে কার্যকরী প্রতিকার চেয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, চলতি বছরের গত ৩১ আগস্ট ঘোড়াশাল নদীবন্দরের উপপরিচালক ভরাট বা কোনো রূপ বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন না করার শর্তে ই-ক্রেন জেটি স্থাপনের জন্য আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় ২২৮ শতাংশ নদীতীর ব্যবহারের অনুমতি দেন। অনুমোদিত এ স্থানকে ঘোড়াশাল নদীবন্দরের উপপরিচালক শীতলক্ষ্যা নদীর তীর হিসেবে উল্লেখ করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নদী বিশেষজ্ঞদের মতে এটি মূলত নদীর নিম্নাঞ্চলের অংশবিশেষ।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড নদীটির গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ভরাট করছে মর্মে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, এরই মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেড ড্রেজার দিয়ে নদী ও নদীসংলগ্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে নদীটির ১৫০ ফুট তীরের প্রায় ৭৫ ফুট অংশ ভরাট করেছে। শুধু নদীতীর ভরাট নয়, নদীসংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষিজমি ভরাটেরও পাঁয়তারা চলছে মর্মে সংবাদে উল্লেখ রয়েছে। ভরাট করা স্থানে বনজ দ্রব্য মজুতের উদ্দেশ্যে ডিপো স্থাপনের জন্য বন বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্স-সম্পর্কিত সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে। যদিও বন বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্সে কোনো জায়গার উল্লেখ নেই।
নোটিশে বলা হয়েছে, দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী নদীর তীর ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নদীর তীরের ভরাট করা স্থান পুনরুদ্ধার করে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা আপনার দায়িত্ব, যা পালনে আপনি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
নোটিশে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে নদীর তীর ভরাটের সকল কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ভরাট করা নদীতীর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নদীর পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি নিরূপণ করে আকিজ পার্টিকেল বোর্ড মিলস লিমিটেডের কাছ থেকে সমুদয় অর্থ আদায়ের অনুরোধ জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘোড়াশাল নদীবন্দরের উপপরিচালক কর্তৃক জেটি নির্মাণের অনুমোদন ও ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত বনজ দ্রব্য মজুতের জন্য ডিপো স্থাপনের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।
নোটিশে এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ নোটিশ প্রেরণের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বেলার আইনজীবীকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৩ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
১ ঘণ্টা আগে