বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। গত ১৫-১৬ বছরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বর্তমানের প্রযুক্তি আগামী এক দশকে বাংলাদেশকে আরও অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে টেলিযোগাযোগ খাতসংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তিভিত্তিক একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চান। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তি খাতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী অনেক কাজ করছেন। এই দেশকে বিশ্বের সেরা প্রযুক্তির দেশ হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে চান। আর এটিই হবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ।’

মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এই খাত এগিয়ে না গেলে উন্নত বিশ্ব থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে। দেশকে আরও প্রযুক্তিনির্ভর করার দিকে আমাদের নজর থাকবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির স্বাতন্ত্র্যের কথা তুলে ধরে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোম্পানি নয়, বিটিআরসি কমিশন হিসেবেই কাজ করছে। বিটিআরসি স্বাতন্ত্র্যের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে।’

গণমাধ্যমকর্মীদের দ্রুত তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন কোনো নীতি বাস্তবায়নের আগে খসড়া তৈরির পর বিষয়টি নিয়ে আগামীতে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করা হবে। পাশাপাশি তাদের পরামর্শও নেওয়া হবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোবাইল টাওয়ার থেকে যে মাত্রার রেডিয়েশন বর্তমানে হচ্ছে, সেটা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক নয়। অনেকেই নানা শঙ্কায় টাওয়ার বসাতে দিচ্ছে না। বিটিআরসির কাছে সেই তালিকা আছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার বাড়ছে উল্লেখ করে বিটিআরসির পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, বেটিং সাইড, বেটিং অ্যাপ এবং পর্নো সাইট বন্ধে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বিটিআরসি। ফেসবুকের সঙ্গে বিটিআরসি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। এই মাধ্যমে উসকানি ও গুজব ঠেকাতে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও সেখানে জানানো হয়।

প্রশ্নোত্তর পর্বে বিটিআরসির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অপারেটররা জনপ্রিয় সব প্যাকেজের দাম কমিয়েছে। এরই মধ্যে ক্যাশ সার্ভার ও ব্যান্ডউইথের দাম কমার সুযোগ তৈরি হওয়ায় আগামীতে আবারও মোবাইল ফোনের খরচ কমানো হবে। নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি রিপোর্ট করে।

টাওয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে না পারলে কল ড্রপ বা কোয়ালিটি অব সার্ভিস ঠিক রাখা সম্ভব নয়। তাই টাওয়ারের সংখ্যা বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলেও সেখানে জানানো হয়।

বিটিআরসির সচিব নূরুল হাফিজের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিটিআরসির কমিশনার, মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।