গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইনের নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমল হোসেন ভূঁইয়া ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় জড়িত সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং সক্রিয় সদস্য। তাঁরা দলের নেতার চাপে দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করতে রেললাইনে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহবুব আলম বলেন, ‘মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি যে একদল দুষ্কৃতকারী ১৩ ডিসেম্বর ভোর আনুমানিক ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের বনঘরিয়া চিনাই রেল ব্রিজের পাশে রেললাইন কেটে ফেলে। এ কারণে মোহনগঞ্জ-ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। উক্ত দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয় এবং ১০ জন হয়।’
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা শনিবার দুষ্কৃতকারী দলের সদস্য জান্নাতুল ইসলাম ও মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে করলে তাঁরা উক্ত ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম, কাজী আজিমুদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ত্বোহাসহ মোট আটজন জড়িত আছে মর্মে জানান। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা ও সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হাসান আজমল ভূঁইয়া, জুলকার নাইন আশরাফি ওরফে হৃদয়, শাহানুর আলম, মো. সাইদুল ইসলাম, সোহেল রানাসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ওই নাশকতার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নকারী সদস্যরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ কমিশনার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ওই ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যে তাঁরা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর ঢাকা যাওয়ার কথা বলে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। ওই গাড়ি নিয়ে ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও ঢাকায় না গিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে থাকেন। পরে ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে তাঁরা নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। পথিমধ্যে তাঁরা শিববাড়ী, জোড় পুকুরপাড়সহ আরও বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকজনকে গাড়িতে ওঠায়।
এ সময় সবাই মুখোশ পরা ছিলেন। এ কারণে চালক ভয় পেয়ে ঢাকায় না যাওয়া এবং মুখোশ পরার কারণ জিজ্ঞেস করলে তাঁদের একজন মুখোশ খুলে ড্রাইভারকে বলেন, ‘দেখো, আমাকে তুমি চিনে কি না?’ তারপর ড্রাইভার তাঁকে চিনতে পেরে আর কিছু বলেননি।
তিনি আরও জানান, পরে আসামিরা গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন জোর পুকুরপাড়ে ইবনে সিনহা তোহার বাড়ির সামনে থেকে রেললাইন কাটার যন্ত্রপাতি ও এক রেস্টুরেন্ট থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার তোলেন। পরে তাঁরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সময় ক্ষেপণ করেন। রাত ১০টার দিকে তাঁরা শিমুলতলীতে এক রেস্টুরেন্ট খাবার খান। পরে তাঁরা রাত ১১টার দিকে শহরের ভেতরে বিভিন্ন অলিগলিতে ঘোরাঘুরি করে আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি নিয়ে বনমরিয়া চিনাই রেল ব্রিজের পাশে যান। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সুযোগ বুঝে আনুমানিক রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে আসামিরা ২০ ফুট রেললাইন কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এরপর আনুমানিক সোয়া ৪টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
তিনি আরও বলেন, রেললাইন কেটে আসামিরা গাড়ি নিয়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় গিয়ে আসামিদের কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে নেমে যান এবং বাকিরা মিরপুরে গিয়ে নামেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ‘১১ ডিসেম্বর রাতে সাবেক বিএনপি নেতা আজমল ভূঁইয়ার বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে রেললাইন কেটে নাশকতা ঘটানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা করা হয়। সেখানে আলোচনা হয়, দলীয় উচ্চপর্যায় থেকে বড় কিছু করার চাপ আছে, বড় কোনো ঘটনা ঘটলে দেশ ও বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হবে, বিধায় তাঁরা রেললাইনে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করেন। সরকারের বর্তমান নির্বাচনী কার্যক্রমকে বিতর্কিত করা, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমানে বিরাজমান রাষ্ট্রীয় সুশৃঙ্খল পরিবেশকে নষ্ট করা, জনমনে ভীতি সঞ্চার করা এবং ব্যাপক প্রাণহানির ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য রেললাইনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল; যা দেশ ও বিদেশে আলোড়ন তৈরি করতে পারে।’
তিনি জানান, এই ঘটনার কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের চালক ঘটনার সঙ্গে সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন এবং নাশকতার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, পিবিআইয়ের মো. মাকসুদের রহমানসহ জিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলাধীন ভাওয়াল গাজীপুর ও রাজেন্দ্রপুর রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় চিলাই ব্রিজের কাছে রেললাইন কেটে ফেলা হয়। এতে ১৩ ডিসেম্বর (গত বুধবার) ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনের এক যাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকো মাস্টারসহ ১০ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় গত বৃহস্পতিবার মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, রেলওয়ে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইনের নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজমল হোসেন ভূঁইয়া ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় জড়িত সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং সক্রিয় সদস্য। তাঁরা দলের নেতার চাপে দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করতে রেললাইনে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়। এতে মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহবুব আলম বলেন, ‘মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি যে একদল দুষ্কৃতকারী ১৩ ডিসেম্বর ভোর আনুমানিক ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের বনঘরিয়া চিনাই রেল ব্রিজের পাশে রেললাইন কেটে ফেলে। এ কারণে মোহনগঞ্জ-ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। উক্ত দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয় এবং ১০ জন হয়।’
তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা শনিবার দুষ্কৃতকারী দলের সদস্য জান্নাতুল ইসলাম ও মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে করলে তাঁরা উক্ত ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম, কাজী আজিমুদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ত্বোহাসহ মোট আটজন জড়িত আছে মর্মে জানান। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, অর্থদাতা ও সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হাসান আজমল ভূঁইয়া, জুলকার নাইন আশরাফি ওরফে হৃদয়, শাহানুর আলম, মো. সাইদুল ইসলাম, সোহেল রানাসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ওই নাশকতার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নকারী সদস্যরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা এবং সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ কমিশনার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, ওই ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যে তাঁরা ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর ঢাকা যাওয়ার কথা বলে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। ওই গাড়ি নিয়ে ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও ঢাকায় না গিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে থাকেন। পরে ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে তাঁরা নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশ্যে বের হয়। পথিমধ্যে তাঁরা শিববাড়ী, জোড় পুকুরপাড়সহ আরও বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকজনকে গাড়িতে ওঠায়।
এ সময় সবাই মুখোশ পরা ছিলেন। এ কারণে চালক ভয় পেয়ে ঢাকায় না যাওয়া এবং মুখোশ পরার কারণ জিজ্ঞেস করলে তাঁদের একজন মুখোশ খুলে ড্রাইভারকে বলেন, ‘দেখো, আমাকে তুমি চিনে কি না?’ তারপর ড্রাইভার তাঁকে চিনতে পেরে আর কিছু বলেননি।
তিনি আরও জানান, পরে আসামিরা গাজীপুর মহানগরীর সদর থানাধীন জোর পুকুরপাড়ে ইবনে সিনহা তোহার বাড়ির সামনে থেকে রেললাইন কাটার যন্ত্রপাতি ও এক রেস্টুরেন্ট থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার তোলেন। পরে তাঁরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সময় ক্ষেপণ করেন। রাত ১০টার দিকে তাঁরা শিমুলতলীতে এক রেস্টুরেন্ট খাবার খান। পরে তাঁরা রাত ১১টার দিকে শহরের ভেতরে বিভিন্ন অলিগলিতে ঘোরাঘুরি করে আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি নিয়ে বনমরিয়া চিনাই রেল ব্রিজের পাশে যান। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সুযোগ বুঝে আনুমানিক রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে আসামিরা ২০ ফুট রেললাইন কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এরপর আনুমানিক সোয়া ৪টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
তিনি আরও বলেন, রেললাইন কেটে আসামিরা গাড়ি নিয়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় গিয়ে আসামিদের কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে নেমে যান এবং বাকিরা মিরপুরে গিয়ে নামেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ‘১১ ডিসেম্বর রাতে সাবেক বিএনপি নেতা আজমল ভূঁইয়ার বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে রেললাইন কেটে নাশকতা ঘটানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা করা হয়। সেখানে আলোচনা হয়, দলীয় উচ্চপর্যায় থেকে বড় কিছু করার চাপ আছে, বড় কোনো ঘটনা ঘটলে দেশ ও বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হবে, বিধায় তাঁরা রেললাইনে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করেন। সরকারের বর্তমান নির্বাচনী কার্যক্রমকে বিতর্কিত করা, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমানে বিরাজমান রাষ্ট্রীয় সুশৃঙ্খল পরিবেশকে নষ্ট করা, জনমনে ভীতি সঞ্চার করা এবং ব্যাপক প্রাণহানির ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য রেললাইনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল; যা দেশ ও বিদেশে আলোড়ন তৈরি করতে পারে।’
তিনি জানান, এই ঘটনার কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের চালক ঘটনার সঙ্গে সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন এবং নাশকতার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, পিবিআইয়ের মো. মাকসুদের রহমানসহ জিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলাধীন ভাওয়াল গাজীপুর ও রাজেন্দ্রপুর রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় চিলাই ব্রিজের কাছে রেললাইন কেটে ফেলা হয়। এতে ১৩ ডিসেম্বর (গত বুধবার) ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনের এক যাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকো মাস্টারসহ ১০ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় গত বৃহস্পতিবার মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে গাজীপুর জেলা প্রশাসন, রেলওয়ে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
২৫ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
২৮ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
৪৩ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে