সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
নির্মল হাওয়ায় আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য কিশোরগঞ্জের অন্যতম স্পট নরসুন্দা লেকসিটির গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চ। শহুরে ক্লান্তি এড়াতে মুক্তমঞ্চের আশপাশের এলাকাজুড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় থাকে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী দর্শনার্থীর। কিন্তু এলাকার ১০-১২টি কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের কারণে এখন প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে আগত দর্শনার্থীরদের।
৩ নভেম্বর দুপুরে মুক্তমঞ্চ এলাকার ওয়াচটাওয়ারের পাশে একটি বেঞ্চে বসে গল্প করছিলেন এক যুগল। হঠাৎ ২০-২৫ জনের একটি দল এসে তাঁদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। ওই যুগল প্রতিবাদ করায় হেনস্তার শিকার হন। সেই সঙ্গে দুজনেরই মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয় ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। আশপাশে অন্য দর্শনার্থীরা থাকলেও কেউ ওই যুগলকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়ার সাহস করেননি।
গত দুই মাসে এ রকম অনেক ঘটনার কথা জানা গেছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে। তবে পরে আরও ঝামেলায় পড়তে পারে–এ আশঙ্কায় কেউ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেননি। কেননা, ওই তরুণদের ‘বড় ভাইয়েরা’ শহরের ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ জন্য ভয়ে ওই গ্যাংয়ের কোনো সদস্যের নামও প্রকাশ করতে চাননি তাঁরা।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্যাংয়ের সদস্যদের বয়স প্রায় ১৫-৩৫ বছরের মধ্যে। হানা দেওয়ার সময় ৫-১০ জনের কাছে থাকে দেশীয় অস্ত্র।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হারুয়া সওদাগরপাড়া, হারুয়া চৌরাস্তা, হয়বতনগর, নগুয়া, আখড়া বাজার, বত্রিশ এলাকায় ১০-১২টি গ্যাং রয়েছে। তারা ভাগে ভাগে এসে বিভিন্ন সময়ে শক্তি প্রদর্শনের জন্য মহড়া দেয় গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চসহ আশপাশ এলাকায়। নারীদের উত্ত্যক্ত করা এবং দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই। এর প্রতিবাদ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে থাকে গ্যাংয়ের সদস্যরা।
মুক্তমঞ্চে ঘুরতে আসা অনেক অভিভাবক জানান, শিশুদের খেলাধুলার জন্য যে দোলনা, স্লিপার রয়েছে, তাও ঘিরে থাকে ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। বসার বেঞ্চগুলোও দখলে থাকে তাদের। আর তাদের অশ্লীল কথাবার্তার কারণে বাধ্য হয়ে দর্শনার্থীদেরই ফিরে যেতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দর্শনার্থী বলেন, ‘শহরে তো এখন খেলার মাঠ নেই। বিকেল বেলায় আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসি খেলাধুলার জন্য। তাদের (কিশোর-তরুণদের গ্যাং) জন্য আমরা বাচ্চাদের নিয়ে খেলতেও পারি না। তাঁরা আমাদের সামনেই অশ্লীল কথাবার্তা বলে। কারও কারও সঙ্গে অস্ত্রও থাকে। মুক্তমঞ্চ, স্মৃতিস্তম্ভ ও আশপাশের এলাকায় তাদের উৎপাত বেশি।’
মুক্তমঞ্চের পাশের এক দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তারা ঝাঁক বেঁধে আসে। প্রায়ই খাওয়াদাওয়া করে বিল না দিয়েই চলে যায়। এমনকি বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদাও নেয়। আমরা গরিব মানুষ, কয় টাকা আর রোজগার করতে পারি। তাদের ভয়ে কেউ আইনের আশ্রয় নেওয়ার সাহস পাই না। আমরা এ জুলুম থেকে মুক্তি চাই।’
কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, কিছুদিন ধরেই তাদের উৎপাত ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা, এমনকি তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ব্যাগ ও চেইন ছিনতাই করছে তারা। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজির শিক্ষক মো. আল আমিন বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, মানুষের শান্তি নষ্ট হবে।
তরুণ গ্যাংয়ের নানা অপরাধের বিষয়ে জেলাজজ আদালতের আইনজীবী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল করিম মবিন বলেন, এটি মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধ। প্রশাসন যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার জানামতে, দুয়েক মাসে মুক্তমঞ্চসহ আশপাশের এলাকায় ছিনতাই হচ্ছে, এমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, যারা এমন কাজ করছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
নির্মল হাওয়ায় আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য কিশোরগঞ্জের অন্যতম স্পট নরসুন্দা লেকসিটির গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চ। শহুরে ক্লান্তি এড়াতে মুক্তমঞ্চের আশপাশের এলাকাজুড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় থাকে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী দর্শনার্থীর। কিন্তু এলাকার ১০-১২টি কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের কারণে এখন প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে আগত দর্শনার্থীরদের।
৩ নভেম্বর দুপুরে মুক্তমঞ্চ এলাকার ওয়াচটাওয়ারের পাশে একটি বেঞ্চে বসে গল্প করছিলেন এক যুগল। হঠাৎ ২০-২৫ জনের একটি দল এসে তাঁদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। ওই যুগল প্রতিবাদ করায় হেনস্তার শিকার হন। সেই সঙ্গে দুজনেরই মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয় ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। আশপাশে অন্য দর্শনার্থীরা থাকলেও কেউ ওই যুগলকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়ার সাহস করেননি।
গত দুই মাসে এ রকম অনেক ঘটনার কথা জানা গেছে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে। তবে পরে আরও ঝামেলায় পড়তে পারে–এ আশঙ্কায় কেউ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেননি। কেননা, ওই তরুণদের ‘বড় ভাইয়েরা’ শহরের ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ জন্য ভয়ে ওই গ্যাংয়ের কোনো সদস্যের নামও প্রকাশ করতে চাননি তাঁরা।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গ্যাংয়ের সদস্যদের বয়স প্রায় ১৫-৩৫ বছরের মধ্যে। হানা দেওয়ার সময় ৫-১০ জনের কাছে থাকে দেশীয় অস্ত্র।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হারুয়া সওদাগরপাড়া, হারুয়া চৌরাস্তা, হয়বতনগর, নগুয়া, আখড়া বাজার, বত্রিশ এলাকায় ১০-১২টি গ্যাং রয়েছে। তারা ভাগে ভাগে এসে বিভিন্ন সময়ে শক্তি প্রদর্শনের জন্য মহড়া দেয় গুরুদয়াল মুক্তমঞ্চসহ আশপাশ এলাকায়। নারীদের উত্ত্যক্ত করা এবং দর্শনার্থীদের কাছ থেকে টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই। এর প্রতিবাদ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে থাকে গ্যাংয়ের সদস্যরা।
মুক্তমঞ্চে ঘুরতে আসা অনেক অভিভাবক জানান, শিশুদের খেলাধুলার জন্য যে দোলনা, স্লিপার রয়েছে, তাও ঘিরে থাকে ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা। বসার বেঞ্চগুলোও দখলে থাকে তাদের। আর তাদের অশ্লীল কথাবার্তার কারণে বাধ্য হয়ে দর্শনার্থীদেরই ফিরে যেতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দর্শনার্থী বলেন, ‘শহরে তো এখন খেলার মাঠ নেই। বিকেল বেলায় আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে এখানে আসি খেলাধুলার জন্য। তাদের (কিশোর-তরুণদের গ্যাং) জন্য আমরা বাচ্চাদের নিয়ে খেলতেও পারি না। তাঁরা আমাদের সামনেই অশ্লীল কথাবার্তা বলে। কারও কারও সঙ্গে অস্ত্রও থাকে। মুক্তমঞ্চ, স্মৃতিস্তম্ভ ও আশপাশের এলাকায় তাদের উৎপাত বেশি।’
মুক্তমঞ্চের পাশের এক দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তারা ঝাঁক বেঁধে আসে। প্রায়ই খাওয়াদাওয়া করে বিল না দিয়েই চলে যায়। এমনকি বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদাও নেয়। আমরা গরিব মানুষ, কয় টাকা আর রোজগার করতে পারি। তাদের ভয়ে কেউ আইনের আশ্রয় নেওয়ার সাহস পাই না। আমরা এ জুলুম থেকে মুক্তি চাই।’
কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরুদয়াল কলেজের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, কিছুদিন ধরেই তাদের উৎপাত ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা, এমনকি তাদের কাছ থেকে মোবাইল, ব্যাগ ও চেইন ছিনতাই করছে তারা। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজির শিক্ষক মো. আল আমিন বলেন, কর্তৃপক্ষের উচিত প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, মানুষের শান্তি নষ্ট হবে।
তরুণ গ্যাংয়ের নানা অপরাধের বিষয়ে জেলাজজ আদালতের আইনজীবী ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল করিম মবিন বলেন, এটি মারাত্মক ফৌজদারি অপরাধ। প্রশাসন যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমার জানামতে, দুয়েক মাসে মুক্তমঞ্চসহ আশপাশের এলাকায় ছিনতাই হচ্ছে, এমন কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম।’
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, যারা এমন কাজ করছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে বিক্রির তালিকায় থাকা সব গাছ সেন্টারে নেই। উদ্যানে নিজস্বভাবে চারা উৎপাদনের জন্য ‘রিভলভিং’ ফান্ডের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও সেটি করা হচ্ছে না। চারা উৎপাদন না করে বাইরে থেকে কম দামে মানহীন চারা এনে উদ্যানে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। সেন্টারে একটি ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্ট
১০ মিনিট আগেচট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মাসুদ নামের এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৫ মিনিট আগেগতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৬ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগে